দুদক কর্মীদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার জনশ্রুতি একেবারে মিথ্যা নয়: প্রধানমন্ত্রী
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনেকে দুর্নীতিতে জড়িত বলে যে জনশ্রুতি আছে তা একেবারে মিথ্যা নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই (দুদক কর্মী) তো ধোয়া তুলসি পাতা নয়। কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না যে সবাই একশ ভাগ সৎ। যারা কাজ করবেন তাদের (দুদক কর্মী) ব্যাপারে সংস্থাকে এখন থেকেই সচেতন হতে হবে, যাতে তারা এমন কার্যক্রমে জড়িত না হন যা এ ধরনের জনশ্রুতি সৃষ্টি করে।
এর আগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান (সংরক্ষিত আসন-৪৭) প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেন। সেখানে থাকা ‘দুদকের অনেকে দুর্নীতি ব্যাধিতে আক্রান্ত’- শব্দগুলো বাদ দিতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে দাবি জানান রফিকুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী এ দাবির বিরোধিতা করে বলেন, রওশন আরা মান্নানের প্রশ্নে কোনো ভুল নেই। শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ সদস্য (রওশন আরা মান্নান তার প্রশ্নে) জনশ্রুতি আছে বলেছেন, কিন্তু বলেননি যে তারা নিশ্চিতভাবে দুর্নীতিতে জড়িত। তাই, শব্দগুলো বাতিল করার প্রয়োজন নেই। কারণ এটি একেবারে মিথ্যা নয়।
রওশন আরা মান্নানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, দুদককে শক্তিশালী করা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে দুর্নীতিকে শূন্য মাত্রায় নামিয়ে আনার জন্য তার সরকারের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে।
‘একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং সুশাসন ভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর,’ যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দুদক এখন তাদের চাওয়া অনুযায়ী যেকোনো সময় যেকোনো সরকারি সংস্থার সহযোগিতা পাচ্ছে। তাই বিভিন্ন এলিট ফোর্স থেকে লোকবল নিয়ে আলাদা একটি সংস্থা গড়ার প্রয়োজন নেই।
দুদক একটি স্বাধীন ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমিশন নিরপেক্ষভাবে যেকোনো দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত করে। যার ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
ডি/এসএস
মন্তব্য করুন