‘তবে কী আমরা জেব্রা ক্রসিং এও চলতে পারবো না?’
সড়কে মৃত্যু যেন থামছেই না। একের পর এক বেড়েই চলছে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল। বাদ যাচ্ছে না পথচারী পারাপারের জন্য ব্যবহৃত জেব্রা ক্রসিংও। জেব্রা ক্রসিংয়েই এবার গাড়ির চাপায় পিষ্ট হলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী।
কুড়িল বিশ্বরোডে বাস চাপায় আবরার নিহতের এ ঘটনা নাড়া দিয়েছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মনেও। এ ঘটনায় এমনই এক ক্ষুদে শিক্ষার্থী অন্যান্যদের সঙ্গে প্রতিবাদ জানাতে 'তবে কি আমরা জেব্রা ক্রসিং এও চলতে পারবোনা?' প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়েছে সড়কে।
সকাল ৭টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোডে রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে আবরার মারা যান। নিহতের ঘটনায় বসুন্ধরা আবাসিক গেট এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে সকাল থেকেই বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অবরোধের কারণে বিমানবন্দর থেকে বাড্ডা হয়ে রামপুরা-গুলিস্তান রুটের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে ঘটনাস্থলে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দেন।
এদিকে, দুপুর দেড়টায় যোহরের নামাজের পর মিরপুর সেনানিবাসের মধ্যে বিইউপি এডিবি গ্রেড গ্রাউন্ড মাঠে আবরারের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সহপাঠীর মৃত্যুর প্রতিবাদে দিনভর বিক্ষোভের পর সন্ধ্যায় সড়ক থেকে সরে গেছেন বিইউপির শিক্ষার্থীরা।
তাদের পক্ষে মাইশা নূর নামে বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, সন্ধ্যা ৬টায় তারা সড়ক অবরোধ উঠিয়ে নেবেন। বুধবার সকাল ৮টায় আবার সড়কে অবস্থান নেবেন। সহপাঠীদের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেইটে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এটা কোনও রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। এখানে রাজনৈতিক উপস্থিতির কোনও প্রতিফলন আমরা দেখতে চাই না।’
শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- আবরারকে চাপা দেয়া বাসের চালককে ১০ দিনের মধ্যে ফাঁসি দিতে হবে, সুপ্রভাত বাসের রুট পারমিট বাতিল, সিটিং সার্ভিস বন্ধ, স্টপেজের ব্যবস্থা করা, চালকদের ছবি ও লাইসেন্স গাড়িতে ঝোলানোর ব্যবস্থা করা, প্রতিটি জেব্রা ক্রসিংয়ে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা এবং ট্রাফিক পুলিশের ‘দুর্নীতি’ বন্ধ করা।
আর/এসএস
মন্তব্য করুন