• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নির্বাচনী সহিংসতায় তৃতীয় কোনও শক্তির ইন্ধন আছে কিনা না খতিয়ে দেখতে ইসির নির্দেশ

আরটিভি অনলাইন

  ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:২১

দুটি জীবন চলে যাওয়া মোটেই ছোট কোন ঘটনা না, এই ঘটনার পেছনে কেবল রাজনীতি ছাড়া তৃতীয় কোন শক্তির ইন্ধন আছে কিনা না তা খতিয়ে দেখতে সব গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।

এছাড়া গত দুই দিন ধরে নির্বাচনী প্রচারের সময় সহিংসতার ঘটনা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তির পাঁয়তারা কি না তাও খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন সিইসি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বৈঠক শুরু হয়।

নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

সিইসি বলেন, ২০১৪ সালে একটা ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, সে অবস্থার আলোকে আমাদের এ বছরের নির্বাচনের প্রস্তুতির রূপরেখা অবলম্বন করা প্রয়োজন। তখন মাঠে সব বাহিনী ছিল, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ছিল-তবুও আমরা দেখেছি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন, প্রিজাইডিং অফিসার নিহত হয়েছেন, ম্যাজিস্ট্রেট নিহত হয়েছেন, শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন, শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়েছে।

তিনি বলেন, ওইসব ঘটনা কী প্রেক্ষিতে হয়েছিল, সেটা আমরা কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি, সে প্রসঙ্গ আলোচনা করার প্রয়োজন আমি মনে করি না। সেটা আমাদের মনে রাখতে হবে, ভুলে গেলে চলবে না। সে অবস্থা থেকে কীভাবে উত্তরণ করা যায়, সে অবস্থার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেই পরিবেশ পরিস্থিতির সৃষ্টি যাতে না হয়, সেদিকে সতর্কতার সঙ্গে দৃষ্টি রাখতে হবে।

ইভিএম বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনে কয়েকটি আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে চাই। কারণ মাস্তানদের হাতে ভোটারদের সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেয়া যায় না। ব্যালটবাক্স ছিনতাইকারীর হাত থেকে ভোটারদের মুক্তি দিতে হবে। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ভোট চলছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ভালো হবে ইভিএম পদ্ধতি। ইভিএম একটি বিকল্প পদ্ধতি, যার মাধ্যমে ভোটারদের ভোটের নিশ্চয়তা থাকবে। যেখানে ইভিএম ব্যবহার হবে ওইসব এলাকায় আলাদা নজর দেয়া এবং আলাদাভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। ইভিএম সবখানে প্রয়োগ করা হলে এদেশের নির্বাচনের ৮০ ভাগ অনিয়ম কমে আসবে বলে মনে করি।

তিনি বলেন, নির্বাচন ভালোভাবে শেষ করতেই আমাদের সকল আয়োজন। আনসার, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, গোয়েন্দা সংস্থা সকলেই দায়িত্বশীল জায়গায় কাজ করবেন। তার বাইরে প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। সকলকে একটা কথাই বলব, সবাই মিলে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে ভোট শেষ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মোট ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন ভোটার রয়েছেন।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন ৫ জুন
দ্বিতীয় ধাপে ২০৫৫ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উৎসব মুখর পরিবেশে হবে’
প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন
X
Fresh