বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়েছে ইসি
বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) উচ্চ আদালতে কোনো আপিলও করবে না। ইসি হাইকোর্টের নির্দেশই মেনে নিয়েছে।
ইসির এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দুই একদিনের মধ্যে চিঠি দিয়ে বিএনপি এবং হাইকোর্টকে জানানো হবে। এরই মধ্যে চিঠির খসড়াও তৈরি করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায় মানতে বাধ্য নির্বাচন কমিশন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি হাইকোর্টের রায় মেনে নেবো। এই বিষয়ে একটি চিঠি তৈরি করা হয়েছে। কমিশন কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালত আমাদের সরাসরি আদেশ দিয়েছেন। যেহেতু এ আদেশে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হইনি, তাই আপিল করব না।
গঠনতন্ত্র নির্ধারণ, গ্রহণ বা বর্জনের বিধান না থাকা সত্ত্বেও ৭ নম্বর ধারা বাতিল করে সংশোধিত বিএনপির গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া এক মাসের মধ্যে বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধন কেন অবৈধ নয় এর ব্যাখ্যা ইসির কাছে চেয়েছে হাইকোর্ট। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর, বুধবার হাইকোর্ট ওই নির্দেশনা জারি করায় অনেকটা দোটানায় পড়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত তাদের গঠনতন্ত্র নির্ধারণ করে সাংগঠনিকভাবে। সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই গঠনতন্ত্রের সংযোজন-বিয়োজন বা সংশোধন করে থাকে তারা। তেমনিভাবে ২০১৬ সালের মার্চে ৭ নম্বর ধারা বাদ দিয়ে গঠনতন্ত্রের সংশোধনী প্রস্তাব কাউন্সিলের মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দেয় বিএনপি। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ থাকায় ইসিকে এখন জবাবদিহি করতে হবে, বিএনপি ৭ নম্বর ধারা গঠনতন্ত্র থেকে বাদ দিতে পারবে কি না।
বিএনপির গঠনতন্ত্রের বাদ দেওয়া ৭ নম্বর ধারাটি হলো- ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৮-এর বলে দণ্ডিত ব্যক্তি, দেউলিয়া, উন্মাদ ও দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত ব্যক্তি দলটির জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যেকোনো পর্যায়ের যেকোনো নির্বাহী কমিটির সদস্যপদের কিংবা সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীপদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
আরসি / এমকে
মন্তব্য করুন