• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

অপরাধী যেই হোক শাস্তি পেতেই হবে : সংসদে প্রধানমন্ত্রী

অারটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৬ অক্টোবর ২০১৬, ২২:০৬

কাউকে দলীয় বিবেচনায় প্রশ্রয় দিচ্ছি না। অপরাধী যেই হোক শাস্তি তাকে পেতেই হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দশম সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার চাপাতির কোপে ছাত্রী আহত হাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, অপরাধীর কোনো দল থাকতে পারে না। ‘আমি কোনো দল দেখি না। যে অপরাধী, তার বিচার হবেই।’

তিনি বলেন, ‘মাত্র একজন নার্গিসকে কুপিয়েছে। আর সবাই ছবি তুলেছে, ভিডিও করেছে। কিন্তু বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসেনি। তারা কি তাকে বাঁচাতে পারতো না? ওই ছেলেটাকে ধাওয়া করার জন্য তাদের হাতে কি কিছুই ছিল না। এটি কি ধরনের মানবতা! অপরাধীর শাস্তি হবেই। কে কোন দল করে সেটি আমরা দেখবো না।’

গেলো সোমবার সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী নার্গিসকে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কুপিয়ে আহত করে বদরুল আলম। সে সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নানা পত্রিকায় এসেছে সে অমুক দলের, অমুক করে। কিন্তু এটি কোনো রাজনৈতিক বা দলীয় কোন্দল ছিল না। এ ঘটনা সবাই জানে, পত্র-পত্রিকায়ও এসেছে। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। আর যারা এ ঘটনা ঘটায় বা ঘটাচ্ছে তাদের আমরা দলীয় প্রশ্রয় দিচ্ছি না।

সিলেটে কুপিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই ঘটনার সময় সেখানে অনেক লোক উপস্থিত থাকলেও কেউ কেন এগিয়ে যায়নি? কেউ কি মেয়েটাকে রক্ষা করতে পারত না? মানুষের মানবিক মূল্যবোধ এত কমে গেল কেন? মেয়েটিকে রক্ষা করার জন্য কারও এগিয়ে না যাওয়ার ঘটনায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

এর জবাবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির অনেক নেতা অনেক কথা বলছে। আমার প্রশ্ন, জীবন্ত মানুষের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার কথা কি তারা ভুলে যাচ্ছে?’

নার্গিস বর্তমানে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন।

ঘটনার পরই স্থানীয় জনতা বদরুলকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরইমধ্যে বদরুল ওই ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। আর যুদ্ধাপরাধীদের যারা মন্ত্রী বানিয়েছে, আশ্রয় দিয়েছে তাদেরও বিচার হবে।

জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান সরকার প্রধান।

তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা রাখি, ২০২১ সালের মধ্যেই দেশ সমৃদ্ধ হবে। দারিদ্র্য দূরীকরণ ও খাদ্য নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছি। ১০ টাকায় চাল বিতরণ করেছি।

এদেশের মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ কথা বলেছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মাটি অতি উর্বর। এখানে ফসল ফলাতে বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়া আমাদের পক্ষে খুবই সহজ।

একই সঙ্গে দেশ গঠনে শিক্ষকদের আরো সচেতন হবার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আপনারা ছাত্রছাত্রীর প্রতি খেয়াল রাখুন। তারা কি করে, কোথায় যায়, পড়াশোনা কেমন করছে খোঁজখবর রাখুন।

ডিএইচ/ এপি/ এসজেড

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh