বিমানের প্রথম নারী পরিচালক হলেন ক্যাপ্টেন তাসমিন
প্রথম নারী হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ক্যাপ্টেন তাসমিন দোজা। এর আগে, ক্যাপ্টেন দোজা বিমানের ট্রেনিং ফ্লাইট অপারেশন্স বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) এক অফিস আদেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অপারেশন্স পরিচালক হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
জানা গেছে, বিমানের মোট ৪ জন পাইলট এই পদের জন্য আবেদন করলেও সিভিল এভিয়েশনের পরীক্ষায় পাস করেছেন একমাত্র ক্যাপ্টেন তাসমিন দোজা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্নাতক এই নারী বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি থেকে ফ্লাইং লাইসেন্স লাভ করেন।
তিনি ফকার-২৮ এ প্রশিক্ষক পাইলট, বোয়িং-৭৩৭ এর ফ্লিট প্রধান ও প্রশিক্ষক এবং বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনারের প্রশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরটিভি/একে/এসএ
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কোন সময় হবে জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বতী সরকারের মেয়াদ যত কম হয় ততই ভালো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৪ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-টোয়েন্টি নাইন সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনের আগে সংস্কার করা হবে। আর যত দ্রুত সংস্কার শেষ হবে তত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হবে। সংস্কারের গতি নির্ধারণ করবে কত দ্রুত সময়ে নির্বাচন হবে।
সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা জানান, যত দ্রুত নির্বাচন দেওয়া যায় সে পথেই রয়েছেন তারা। দায়িত্ব নেওয়ার সময় অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্যই ছিলো দেশকে ভোটের জন্য প্রস্তত করা। তবে, সবপক্ষে ঐকমত্যে সংস্কার আগে শেষ হতে হবে, আর তা সম্পন্নে সঙ্গে সঙ্গেই দেওয়া হবে নির্বাচন।
প্রফেসর ইউনূস জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর ক্ষমতা নিয়ে তিনি কথা দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক দেশের দিকে নিয়ে যাবেন। আর সেই কথা তিনি রাখবেন।
ড. ইউনূস বলেন, এটি একটি ওয়াদা, আমরা এই ওয়াদা করেছিলাম যে যত দ্রুত নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত হব, আমরা নির্বাচন দেব। যেন নির্বাচিতরা ক্ষমতা নিতে এবং দেশ চালাতে পারে।
তিনি জানিয়েছেন, সংবিধান, সরকারের গঠন, সংসদ এবং নির্বাচনী আইনে যেসব প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা হবে সেগুলোতে সবার দ্রুত সময়ের মধ্যে একমত হতে হবে। যেন তারা দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেন।
ড. ইউনূস বলেন, আমরা হলাম অন্তর্বর্তী সরকার। তাই আমাদের মেয়াদ যত কম হওয়া সম্ভব তত কম হওয়া উচিত।
গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ছাত্র-জনতা ড. ইউনূসকে সর্বসম্মতিক্রমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করার পক্ষে মত দেন।
হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর গুলিতে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়। শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। তবে এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণে আনতে একটু সময় লাগবে ইঙ্গিত দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, বিপ্লবের মাত্র তিন মাস পার হয়েছে।
আরটিভি/একে
তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সানজিদ সিদ্দিকী ও তাহসিনা মৃদু।
রাজধানীতে বর্তমানে সবমিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করছে। এর বড় একটি অংশ হলো ব্যাটারিচালিত। এ ছাড়া পুরাতন প্যাডেলচালিত অনেক রিকশায় ব্যাটারি লাগিয়ে যান্ত্রিক করা হচ্ছে।
রাজধানীর অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বেশি। সুযোগ পেলে মূল সড়কেও দাপিয়ে বেড়ায় এসব রিকশা। বিশেষ করে রাতের বেলা।
রাজধানীর মানিকনগর, খিলগাঁও, মান্ডা, বাসাবো, রামপুরা, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, সবুজবাগ, শ্যামপুর, ডেমরা, উত্তরা, ভাটারা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, ময়নারটেক, মিরপুর, পল্লবী, মোহাম্মদপুর, বছিলা এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা বেশি।
এই রিকশা চলাচলের কারণে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে আহত হচ্ছেন অনেকে, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করলেও অবৈধ এসব বাহনের দৌরাত্ম্য থেমে নেই।
আরটিভি/এফএ-এস
ভাঙা হতে পারে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক
পরিবেশগত কারণে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের (কিশোরগঞ্জের অল ওয়েদার সড়ক) বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সিলেটে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা জানান তিনি। সিলেট মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে নগরীর একটি কনভেনশন হলে ‘হাওরে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় স্টেকহোল্ডার্স কনসালটেশন ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক এ আয়োজন হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, নির্বিচারে হাওর ভরাট হচ্ছে। আধুনিকতার নামে হাওরে অপরিকল্পিতভাবে বাধ ও রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাওর ও মৎস্য সম্পদ। ফলে পানিপ্রবাহ ব্যাহত হয়েছে।
তিনি বলেন, সিলেটের নদ-নদীর অবাধ পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে ও বিভাগটিকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের (কিশোরগঞ্জের অল ওয়েদার সড়ক) বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হতে পারে। এজন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।
এর আগে, কর্মশালায় দেশের হাওর অধ্যুষিত সাতটি জেলা থেকে আগত মৎস্য সম্পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি হাওর ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় বিভিন্ন দাবির কথাও উল্লেখ করেন তারা।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা আর ঢুকতে পারবে না
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত চিকিৎসাধীন ও চিকিৎসা নিতে আসা সবার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য এবং হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনার একটি হচ্ছে, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
গত ১৮ নভেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব উম্মে হাবিবার সই করা এক নির্দেশনা দেশের সব হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতালে আগত আহতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দিতে হবে। সব আহত ব্যক্তির চিকিৎসা বিনামূল্যে করতে হবে।
এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যদি কেউ চিকিৎসায় অসমর্থ হয়- তবে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তির ওষুধের খরচ সরকার বহন করবে। এক্ষেত্রে উপযুক্ত বিল-ভাউচার স্বাস্থ্য অধিদফতরে দাখিল করা হলে তা যাচাই করে পরিশোধ করা হবে।
পাশাপাশি চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কাউকে অধিকতর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে (দেশে যার চিকিৎসা সম্ভব নয় এবং বিদেশে পাঠানো হলে নিরাময় বা উন্নতি হবে এমন আহতদের) বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ মোতাবেক উপযুক্ত রেকর্ডপত্রসহ সংশ্লিষ্ট আহত ব্যক্তির আবেদন জরুরিভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে পাঠাতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, হাসপাতালে আগত সব উপযুক্ত দর্শনার্থীদের জন্য ভিজিটর কার্ড প্রবর্তন করতে হবে। ভিজিটর কার্ডবিহীন কোনো দর্শনার্থী হাসপাতালের ভেতরে বা রোগীর কক্ষে প্রবেশ বা অবস্থান করতে পারবেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
এ ছাড়া কোনো ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ বা বিভিন্ন কোম্পানির ডিলার কোনোভাবেই হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রত্যেক চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাইকে রোগী দেখার সময়সূচি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময়সূচি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
প্রতিটি হাসপাতালে সুশৃঙ্খল চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালে রিসিপশন ডেস্ক স্থাপন করতে হবে। অভ্যর্থনা কক্ষে আগত রোগীদের রোগের ধরন অনুযায়ী বাছাইপূর্বক নির্ধারিত চিকিৎসকের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, হাসপাতালে আগত সেবাপ্রার্থীদের টিকিট কেনার বিষয়টি সুশৃঙ্খল করতে হবে। সম্ভাব্য সব হাসপাতালে এ বিষয়ে ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিত বা সার্টিফায়েড নয় এমন কোনো ব্যক্তি চিকিৎসা দেওয়ার কোনো পর্যায়েই কোনো হাসপাতালে সংযুক্ত থাকতে পারবেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
আরটিভি/একে
চিন্ময় দাস গ্রেপ্তার, যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চিন্ময় দাস আটক হয়েছেন বলে আমরা জানি। তার নামে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আপনাদের (সাংবাদিক) জানাবেন।
ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজ শিক্ষার্থীদের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অ্যালার্ট ছিল। কিন্তু পাবলিক এক্সপেকটেশনের কারণে আমরা আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছি। পুলিশ লাঠিচার্জ করুক, এটাও সরকার দেখতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনিটরিং করছিলাম। সকালে একটা বাধাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আগের মতো ড্রিল বা দমানোর মতো পদক্ষেপ পুলিশ নেয়নি। যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত।
এর আগে, সোমবার বিকেলে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।
নতুন এই দাম আজ (২৬ নভেম্বর) থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বাজুস। গতকাল (২৫ নভেম্বর) সোমবার রাতে সংগঠনটি এ তথ্য নিশ্চিত করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৪ হাজার ৩২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ২৩ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২৪ নভেম্বর থেকে। আর চলতি মাসের গত ২২ ও ১৯ নভেম্বরও দেশে বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। এছড়া গত ১৪, ১২, ৭ ও ৪ নভেম্বর দাম কমানো হয়েছিল।
আর চলতি মাসের গত ২২ ও ১৯ নভেম্বরও দেশে বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। এ ছাড়া গত ১৪, ১২, ৭ ও ৪ নভেম্বর দাম কমানো হয়েছিল। এছাড়া, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫৩ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩১ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২২ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
আরটিভি/এআর-টি
‘চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল’
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশ বলেছে, ‘চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল’
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিবৃতিতে দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখ করেছে যে শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পর থেকে তার গ্রেপ্তারকে কিছু মহল ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে। বাংলাদেশ সরকার বলতে চায়, এই ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু সত্যকে বিকৃত করে না বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।
এর আগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার ও জামিন নাকচ করার বিষয়টি আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি। বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার পরে এ ঘটনা ঘটলো।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ঘটনার অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ চাপানো হয়েছে; যিনি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে ন্যায্য দাবিগুলো উপস্থাপন করেছিলেন। হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি বিবৃতি বাংলাদেশ সরকারের নজরে এসেছে।
ঢাকার ওই বিবৃতিতে বলা হয়, অত্যন্ত হতাশা এবং গভীর দুঃখের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখ করছে যে শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পর থেকে তার গ্রেপ্তারকে কিছু মহল ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে। বাংলাদেশ সরকার বলতে চায়, এই ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু সত্যকে বিকৃত করে না বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।
ভারতের বিবৃতিটি সকল ধর্মের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান সম্প্রীতি এবং এই বিষয়ে সরকার ও জনগণের প্রতিশ্রুতি এবং প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে না বলেও মন্তব্য করে বাংলাদেশের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে জনগণের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চলে আসছিল তা সমাপ্ত করার বিষয়ে সরকারের যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা রয়েছে এবং সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুদের একই নজরে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, ভারতের বিবৃতি সেটি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করে যে, প্রত্যেক বাংলাদেশির, তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, বজায় রাখা বা পালন করার বা বাধা ছাড়াই মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সকল নাগরিকের, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্ব। গত মাসে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের মাধ্যমে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার আবারও বলতে চায় যে, দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং এটি বিচার বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। প্রশ্নাধীন বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারও দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজ বিকেলে চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যেকোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ বন্দরনগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
প্রসঙ্গত, চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন-৬ এর কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন।
আরটিভি/কেএইচ