নয়াপল্টনে একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে র্যাব
![](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/10/image-277657-1717998712.jpg)
রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) সরঞ্জামাদির সন্ধান পেয়েছে র্যাব।
সোমবার (১০ জুন) সকাল থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব-৩ এর আভিযানিক একটি দল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর।
তিনি জানান, অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করছে একটি চক্র। তারা নয়াপল্টনের একটি বাড়িতে (বাড়ি নং-৬৩) এ ব্যবসা করে আসছিলেন বলে গোয়েন্দা তথ্যে জানা গেছে। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতেন তারা। বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যে অভিযান পরিচালিত হবে।
অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক।
মন্তব্য করুন
‘শরীফার গল্প’ বাদ দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফার গল্প’ শীর্ষক বহুল আলোচিত গল্পটি বাদ দেওয়াকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘নতজানু’ সিদ্ধান্ত বলে প্রতিবাদ জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
শুক্রবার (২৮ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।
গণমাধ্যমে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বলেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের ‘নতজানু’ সিদ্ধান্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানুষদের সংগ্রাম ও ইতিহাসকে অশ্রদ্ধারই শামিল। হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার যে নীতিমালা গ্রহণ করেছে, তার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
এর আগে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ৩৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ নামক অধ্যায়ে থাকা পাঠ্যবইতে থাকা ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। পরে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুর রশীদকে আহ্বায়ক করে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে গত ৪ জুন পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফার গল্প’ বাদ দিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়।
ওই বিশেষজ্ঞ কমিটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বলেছে, উচ্চপর্যায়ের এই বিশেষজ্ঞ কমিটিতে কোনো চিকিৎসক, মনোবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও হিজড়া সম্প্রদায়ের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না।
সংগঠনটি মনে করে, ‘শরীফার গল্প’টি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে বহুত্ববাদের তত্ত্বের ভিত্তিতে যে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হলো, তা প্রথম পর্যায়েই বড় ধাক্কা খেল। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গল্পটিকে বাদ দেওয়ার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা প্রমাণ করে মৌলবাদ আর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকার যে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহিষ্ণুতা) নীতিতে এগিয়ে চলছে, মন্ত্রণালয় তার গুরুত্ব অনুধাবন করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এই বিবৃতিতে শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক অনুপম সেন, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুন নবী, ফওজিয়া মোসলেম, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরসহ অনেকে সই করেছেন।
![‘শরীফার গল্প’ বাদ দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/28/image-280306-1719583836.jpg)
দেশে ব্রাহমা প্রজাতির গরু যে কারণে নিষিদ্ধ
উচ্চবংশীয় গরু ও দেশের সর্বোচ্চ দামের ছাগলকে জড়িয়ে আলোচনায় আসা সাদিক এগ্রো ফার্মে নিষিদ্ধ ‘ব্রাহমা প্রজাতি’র ১৩টি গরুর সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ফলে ফের আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবন করা এ জাতের গরু।
জানা গেছে, গরুর এ প্রজাতিটির উৎপত্তি ভারতে হলেও যুক্তরাষ্ট্রে আরও দু-তিনটি জাতের সংমিশ্রণে ব্রাহমা গরুকে উন্নত করা হয়। এ জাতের গরু লালন-পালন করা হয় মূলত মাংসের জন্য। এ জাতের গরু উচ্চ তাপমাত্রায় ভালো থাকে, রোগবালাই কম, বাড়েও দ্রুত। কিন্তু গাভির দুধ উৎপাদনক্ষমতা খুবই কম। সে কারণেই বাংলাদেশে ব্রাহামা জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ জাতের গরু বাংলাদেশে পালন ও উৎপাদন নিষিদ্ধ না হলেও ২০১৬ সালে এক নীতিমালা দিয়ে এই জাতটিকে আমদানি নিষিদ্ধের তালিকায় রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে ফ্রিজিয়ান গরুর সংকর হোলস্টেইন জাত আমদানি করে থাকে। এই প্রজাতির গাভি দিনে ৬ থেকে ৩০ লিটার পর্যন্ত দুধ দেয়। আর এই জাতের ষাঁড়ের ওজন ৮০০ থেকে ১ হাজার কেজি। অন্যদিকে ব্রাহামা প্রজাতির ষাঁড়ের ওজন ১ হাজার ৪০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রতিদিন দেড় কেজি পর্যন্ত এই গরুর ওজন বাড়ে। কিন্তু সমস্যাটা হলো ব্রাহামা প্রজাতির গাভি দিনে তিন-চার লিটারের বেশি দুধ দেয় না।
ব্রাহমা জাতের গরু তার আকৃতি অনুযায়ী বেশি দুধ দেয় না। যতটা দুধ দেয়, তাতে শুধু বাছুরের চাহিদাটুকু মেটে। খামারিরা অধিক মুনাফার আশায় যদি ব্যাপক হারে ব্রাহমা উৎপাদন করে তাহলে দেশে গরুর দুধের উৎপাদন কমে যাবে। মূলত, বাংলাদেশে দুগ্ধ উৎপাদন খাতকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই বেসরকারি পর্যায়ে এ জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
![দেশে ব্রাহমা প্রজাতির গরু যে কারণে নিষিদ্ধ](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/01/image-280773-1719854167.jpg)
মডেল মসজিদ নির্মাণে প্রকৌশলীর কুকীর্তি প্রকাশ্যে আনলেন স্ত্রী
মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পে ঘুষ নেওয়ায় প্রমাণসহ স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন নীলফামারী গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামানের স্ত্রী রেজওয়ান আহমেদ খুশবু।
বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছী উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ জমা দেন তিনি।
২০১৭ সালে ইসলামিক জ্ঞান ও সংস্কৃতি প্রসারের লক্ষ্যে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৬৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এই প্রকল্পের নির্মাণকাজের দায়িত্ব পালন করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্প নির্দিষ্ট সময় শেষ না হওয়ায় তিন দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই সঙ্গে ৮৪২ কোটি টাকার প্রকল্পের খরচ বেড়ে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আর বিভিন্ন অনিয়মে এই প্রতিষ্ঠান নির্মাণ প্রকল্পকে বিতর্কিত করে তোলে অনিয়মকারীরা।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামানের স্ত্রী রেজওয়ানা হাসনাত খুশবু বলেন, মসজিদ নির্মাণকাজে স্বামীর ঘুষ নেওয়ার তথ্য পেয়ে বারবার অনুরোধ করেও তাকে দুর্নীতি থেকে সরাতে ব্যর্থ হয়েছি। এমনকি দুর্নীতিতে বাধা দেওয়ায় আমার শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ অবস্থায়, পরিবার ও দেশের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করার কোনো বিকল্প ছিল না।
তিনি আরও বলেন, বিয়ের সময় অতি সাধারণ পরিবারের একজন সন্তান হলেও বর্তমানে আমার স্বামীর রয়েছে বিলাসবহুল বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি। ঘুষ দুর্নীতি ছাড়া এটি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। দুর্নীতির তদন্ত এবং আমার ওপর নির্যাতনের প্রতিকার চাই।
এ বিষয়ে মডেল মসজিদ প্রকল্পের পরিচালক নজিবুর রহমান বলেন, ধর্মীয় এই প্রকল্পে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
![মডেল মসজিদ নির্মাণে প্রকৌশলীর কুকীর্তি প্রকাশ্যে আনলেন স্ত্রী](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/03/image-281000-1720004425.jpg)
কোটা নিয়ে এত কীসের আন্দোলন: প্রধান বিচারপতি
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে ছাত্রদের চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, কোটা নিয়ে এত কীসের আন্দোলন? রাজপথের আন্দোলন দেখে সুপ্রিম কোর্ট-হাইকোর্ট রায় পরিবর্তন করে না।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য (স্ট্যান্ডওভার) মুলতবি করে। এরপর হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল (নিয়মিত আপিল) করতে বলে আপিল বিভাগ। রিট আবেদনকারীপক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ‘নট টুডে’ (আজ নয়) বলে আদেশ দিয়েছেন।
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল কোটা আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে এ মামলায় স্থিতাবস্থা চান। জবাবে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, এতো কীসের আন্দোলন? সুপ্রিম কোর্ট-হাইকোর্ট কি আন্দোলন দেখে বিচার করবে? এ সময় আবারও এই মামলার স্তিতাবস্তা চাইলে আজ মামলাটির শুনানি হবে না বলে জানিয়ে দেয় আপিল বিভাগ।
এর আগে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।
ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানান তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত।
পরে এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু গত ৯ জুন প্রাথমিক শুনানির পর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।
![কোটা নিয়ে এত কীসের আন্দোলন: প্রধান বিচারপতি](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/04/image-281103-1720080523.jpg)
এবার কোকা-কোলাকে লিগ্যাল নোটিশ, ১ লাখ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি
দেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার অভিযোগে কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেড এবং দ্যা কোকা-কোলা কোম্পানির কাছে ১ লাখ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এতে কোক স্টুডিও বাংলার কার্যকলাপ কোকা-কোলা অনতিবিলম্বে বন্ধ না করলে কেন সংবিধান ও আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানাতে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) ডাকযোগে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে এ নোটিশটি পাঠান আইনজীবী জায়েদ বিন নাসের।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, গত ৯ জুন প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের দ্বারা শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিষয়টিই স্পষ্ট হয়নি, পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনেছে কোকা-কোলা। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনে বাংলাদেশে প্রচলিত দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ধারা ২৯৫ (ক) এবং সাইবার সিকিউরিটি আইন, ২০২৩ এর ধারা ২৮ ও ৩৫ এর অধীনে কোকা-কোলা কোম্পানি অপরাধ করেছে।
এতে দাবি করা হয়, কোক স্টুডিও বাংলা বহুজাতিক কোম্পানি কোকা-কোলা কর্তৃক রোপিত একটি বিষবৃক্ষ। এই বিষবৃক্ষের বিষফল কয়েক বছর পরেই আমরা সরাসরি পেতে শুরু করব। এটি জাতীয়তাবাদের ভিত নড়বড়ে করার পাঁয়তারা। বিভিন্ন কালজয়ী সৃজনশীল মৌলিক শিল্পকর্মকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে আসছে কোক স্টুডিও বাংলা, তথা কোকা-কোলা। এর ফলে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৩-কে পদদলিত করা হচ্ছে। কোকা-কোলা কোক স্টুডিওর মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪০ ও ৪৩ এরও লঙ্ঘন করে চলছে প্রতিনিয়ত। এতে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০ সরাসরি আঘাতপ্রাপ্ত। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের সংস্কৃতি ও অস্তিত্ব বিরাট হুমকির মুখে নিপতিত হয়ে আছে। প্রত্যেক ভূখণ্ডের নিজস্ব সংস্কৃতি ও স্বকীয়তা থাকে, থাকে নিজস্ব দাবি। কৃষ্টি-কালচার ও সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বাংলার রয়েছে নিজস্বতা। বাংলা সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী। জগাখিচুড়ি সংস্কৃতির আবহ গড়ে তোলা এবং বিজাতীয় সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে আকৃষ্ট করানোর মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের জাতীয়তাবাদ ও নিজস্ব রুচিশীলতায় পরিবর্তন আনার লক্ষ্য নিয়ে নেমেছে কোকা-কোলা। অথচ, বাংলা সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ ভাণ্ডার ও অর্জনের মানহানি করে, শিল্প গুণাগুণ নষ্ট করে ও শৈল্পিক অর্জনকে বিকৃত করে কোকা-কোলা কোম্পানি সামগ্রিকভাবে অপরিসীম ক্ষতি করে আসছে বিগত দুই বছর ধরে।
এর ক্ষতিপূরণ টাকার অঙ্কে কোটির ওপরে। সমৃদ্ধশালী, রুচিসম্মত শিকড়কে আঁকড়ে ধরা বাংলা সংস্কৃতিকে মনে ধারণ করলে দেশে সংবিধান ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে, প্রজন্ম হয়ে উঠবে দেশপ্রেমিক। পাশাপাশি কোকা-কোলার মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় নামবে ধস। দেশের মানুষ সচেতন হয়ে উঠবেন, মানুষের অস্তিত্বের ভিত আরও মজবুত হবে, পরের প্রজন্ম বাংলাকে করবে আরও সমৃদ্ধশালী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে এবং সংবিধানের মূলনীতিকে আঘাত দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করে সরাসরি রাষ্ট্রদ্রোহিতা করছে কোকা-কোলা।
এতে কোক স্টুডিও বাংলার কার্যকলাপ কোকা-কোলা অনতিবিলম্বে বন্ধ না করলে কেন সংবিধান ও আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানাতে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে আইনজীবী জায়েদ বিন নাসের বলেন, বিভ্রান্তিকর এই বিজ্ঞাপন দেখে আমার পরিবারের সদস্যসহ বাংলাদেশের আপামর জনতার অনেকেই গত ৯ জুনের পরে কোক ক্রয় করে পান করেছেন, যা ভোক্তার সঙ্গে চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রতারণা করার শামিল। এ ধরনের ঠকবাজির ফলে জনগণের সাংবিধানিক প্রতিবাদ কর্মসূচিকে যেমন নস্যাৎ করার চক্রান্ত করা হয়েছে ঠিক একইভাবে সাধারণ মানুষের মূল্যবোধ ও চেতনাকে আঘাতপ্রাপ্ত করা হয়েছে। কোকা কোলার অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও প্রতারণমূলক অপপ্রচারের ফলে অসামান্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের জনগণের, যার সমস্ত দায়ভার কোকা কোলা কোম্পানির। আমার, আমার মক্কেলগণ, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবসহ অগণিত মানুষের অর্থনৈতিক, বিশ্বাসমত ও সামাজিক মূল্যবোধে আঘাত হানা হয়েছে, যার মূল্যমান কোটি কোটি টাকার বেশি।
এতে তিনি বলেন, আমি নিজে বিইউপি আইন অ্যালামনাই সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবং ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে পৃথিবীব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ অন্তত ১০টি দেশের শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং অ্যালামনাই সংগঠনের (বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন) নেতৃবৃন্দ ও গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের কাছে চিঠি লিখেছি। আমার পাঠানো চিঠির পাণ্ডুলিপি লিগ্যাল নোটিশের সঙ্গে সংযুক্তি আকারে দেওয়া হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশ অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনগণ সংবিধানের ৩৭, ৩৮, ৩৯ ও ৪৩ অনুচ্ছেদের সরাসরি প্রয়োগ ঘটানোর মাধ্যমে কোকা কোলাকে বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। যে সিদ্ধান্ত দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫ এর সঙ্গেও সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ। কোকা-কোলা বর্জনের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের সাংবিধানিক ক্ষমতার সর্বোচ্চ সুপ্রয়োগ ঘটাচ্ছেন বাংলাদেশের জনগণ। কিন্তু মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার মাধ্যমে কোকা কোলা কার্যত বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। যে দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই সেই দেশের সঙ্গে বন্ধুপ্রতিম ফিলিস্তিনের উপর অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলকভাবে চাপানো যুদ্ধে অবৈধ ইসরাইলের পক্ষ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী অপরাধ করেছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। প্রচলিত দণ্ডবিধি অনুযায়ী বাংলাদেশে কোকা কোলা জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গসহ আরও বেশ কিছু অপরাধ সংঘটন করেছে।
গত ৯ জুন প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে কোকা কোলার বিজ্ঞাপনে মিথ্যা তথ্য প্রদান স্পষ্টরূপে পরিষ্কার। জনগণের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কোকা-কোলা আর্থিকভাবে লাভবান হতে চেয়েছিল। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যে দেশে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে সে দেশের মানুষের মূল্যবোধ, চেতনা এবং বিশ্বাসকে আঘাত দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর পাঁয়তারা বরদাস্তযোগ্য নয়। পাশাপাশি যে দেশকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকার করে না সেই দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে এবং সংবিধান লঙ্ঘন করে ও প্রচলিত আইনে নানা ধরনের গুরুতর অপরাধ করে কোকা-কোলা কোনোভাবেই বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে না।
গত ৯ জুন থেকে কোকা-কোলার যেকোনো ধরনের মুনাফা করা অনৈতিকই শুধু নয়, অবৈধও বটে। বন্ধুপ্রতিম দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং বন্ধুপ্রতিম দেশের বিরুদ্ধাচরণ বাংলাদেশের সংবিধান এবং প্রচলিত ফৌজদারি আইনে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। কোকা-কোলা বাংলাদেশের সংবিধান এবং আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী। এই প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না।
একদিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণা করে ব্যবসায় মুনাফা করার লক্ষ্যে বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট করার অপচেষ্টা করেছে কোকা-কোলা; অন্যদিকে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের বিরুদ্ধে সুস্পষ্টভাবে ন্যক্কারজনক অবস্থান দেখা যাচ্ছে। গত ৯ জুনের পর কোকা-কোলা যত পণ্য বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করেছে তার সম্পূর্ণ অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এই বিজ্ঞাপন না সরালে কেন কোকা কোলার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে না তা জানানোর জন্য দ্য কোকা-কোলা কোম্পানি এবং কোকা-কোলা কোম্পানির বাংলাদেশি প্রতিনিধি কোম্পানি কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডকে ৭ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে।
নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর ধারা ৪১ মোতাবেক কোন ব্যক্তি কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্য উপকরণ বিপণন বা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত বিজ্ঞাপনের শর্তাদি লঙ্ঘন করে বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্তিকর বা অসত্য তথ্য প্রদান করে অথবা মিথ্যা নির্ভরতামূলক বক্তব্য প্রদান করে ক্রেতার ক্ষতিসাধন করতে পারবেন না। অথচ কোকা কোলা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন বানিয়ে বাংলাদেশের ক্রেতা সাধারণের অসামান্য ক্ষতি সাধন করেছে, এই ক্ষতিপূরণের মূল্যমান কোটি টাকার বেশি।
বিগত বছরগুলোতে কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশে পরিবেশের যথেষ্ট ক্ষতিসাধন করেছে। কোকা কোলা প্লাস্টিক মোড়ক তৈরির বিষয়টি অন্য কোম্পানির উপর ছেড়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তার পেছনে কোকা কোলার মতো প্লাস্টিক মোড়ক ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান অনেকাংশে দায়ী।
সর্বোপরি কোকা-কোলার এহেন ছলচাতুরীর আশ্রয়ে তৈরিকৃত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশের জনগণের সামষ্টিক মান-সম্মানে আঘাত এনে কোকা-কোলা কোম্পানি ন্যূনতম ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। শুধু দেশেই নয়, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশিদের সম্পর্কে ভুল বার্তা পৌঁছেছে। এ ধরনের ক্ষতি অপূরণীয় ও অবর্ণনীয়।
বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মানুষের মান-সম্মান, সুনাম ও খ্যাতি নষ্ট করার অপচেষ্টা করা হয়েছে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। আমার নিজের, আমার আত্মীয়-স্বজনসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের মানহানি করেছে কোকা-কোলা, যার মূল্যমান এক লাখ কোটি টাকার অধিক। দেশে, দেশের বাইরে সারা বিশ্বের সামনে বাংলাদেশের জনগণের মানহানি করায় দ্য কোকা-কোলা কোম্পানি এবং কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রচলিত আইনে প্রতিকার চেয়ে কেনো আদালতে মামলা-মোকদ্দমা দায়ের করা হবে না এবং কেনো অন্যান্য আইনসংগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানাতে ৭ দিন সময় দেওয়া হলো।
![এবার কোকা-কোলাকে লিগ্যাল নোটিশ, ১ লাখ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/07/image-281643-1720371734.jpg)
পিএসসির প্রশ্নফাঁস: গাড়িচালক আবেদ আলীকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আলোচনায় আসা সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী ও দুই পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে গাড়িচালক আবেদ আলীর নাম প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। ফেসবুকে সৈয়দ আবেদ আলী এবং তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমানকে বেশ সরব দেখা যায়। এ ছাড়াও সৈয়দ আবেদ আলী মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। ফেসবুকে তাদের জীবনযাপন এবং বিভিন্ন কর্মসূচির ছবি দেখে ধারণা করা কঠিন যে তিনি পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের ড্রাইভার ছিলেন। একজন সামান্য গাড়িচালক হয়েও কীভাবে এত সম্পদ এবং অর্থবিত্তের মালিক বনেছেন তা যেন এখন সবার কাছে পরিষ্কার।
সাবেক পিএসসি চেয়ারম্যানের এই গাড়িচালকের নিজের একটি ডুপ্লেক্স বাড়িসহ কুয়াটায় একটি থ্রিস্টার মানের হোটেল রয়েছে। এ হোটেল সম্পর্কে তার ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে তিনি লিখেন আমাদের নতুন হোটেল এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম আজ। হোটেল সান মেরিনা, কুয়াকাটা। সমুদ্রকন্যার পাড়ে আজীবন নিজের জন্য একটা থাকার ব্যবস্থা।
ছাত্রলীগের ডাসার উপজেলা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি ছিলেন তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। এ ছাড়াও বর্তমানে ঢাকা উত্তর শাখা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সেক্রেটারি তিনি। ফেসবুকে তাকে নানান সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত দেখা যায়। সেই সাথে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন বলে দেখা যায়।
তাদের এসব কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন মন্তব্য প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন লিখেছেন, আমার অফিসের গাড়ির ড্রাইভার যদি কামায় কোটি কোটি টাকা, তাহলে আমি তো কামিয়েছি বিলিয়ন বিলিয়ন!
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার লিখেছেন, পিএসসির প্রশ্ন ফাঁস করে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর জীবন ধ্বংস করা পিশাচ এই আবেদ আলী জীবন। প্রশ্ন বিক্রি করা টাকায় গড়ে তুলেছে নিজের সাম্রাজ্য। এই কুলাঙ্গারের ছবি ছড়িয়ে দিন। এরাই এই জাতির সবচেয়ে বড় শত্রু। সবাই চিনে রাখুক এই কুলাঙ্গারকে।
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালকের একটি ছবি দিয়ে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা হাসান আল মামুন লিখেছেন, আবেদ চাচা নামাজ থেকে উঠেন, সারাদেশের মানুষের নামাজ পড়া শেষ! উঠে দেখেন সারাদেশের ছাত্র সমাজ আপনার জন্য দোয়া করছে। আপনি কনফার্ম জান্নাতি।
এদিকে অভিনেত্রী সোহানা সাবা এক পোস্টে লিখেছেন, যারা দেখিয়ে দেখিয়ে ধর্মচর্চার নামে বাড়াবাড়ি করে, পাশে মসজিদ কিংবা নামাজের স্থান রেখে রাস্তায়, খেলার মাঠে, সমুদ্র তটে নামাজ পড়ে ছবি দেয় সোশাল মিডিয়ায়, এদের মাঝে আমি কোন ভালোমানুষ দেখি না। সবগুলোই বাটপার।যারা শুক্রবার “জুম্মা মুবারক” বলে ফেসবুকে পোস্ট দেয়, আর যারা নিজের আমলনামা বাদ দিয়ে অন্যদের পোস্টে কমেন্ট করে -পরকালে দোজখে যাবে!! আর দান খয়রাতের ছবি-হিসাব প্রচার করে মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেইগুলোকেও আমার একই ভন্ড মনে হয়।
অভিনেত্রী এই অভিনেত্রী একাই নন অনেক শোবিজ তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ছবি সহ আবেদ আলীর নানা সময়ের নানা কর্মকান্ড নিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
![পিএসসির প্রশ্নফাঁস: গাড়িচালক আবেদ আলীকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/08/image-281781-1720449202.jpg)
‘আমার অফিসের ড্রাইভার যদি কামায় কোটি কোটি, আমি তো বিলিয়ন বিলিয়ন’
বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আলোচনায় আসা সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী ও দুই পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম।
এ তালিকায় আরও রয়েছেন- পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, লিটন সরকার ও সায়েম হোসেন।
এদিকে, আলোচিত এই ঘটনার পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার অফিসের গাড়ির ড্রাইভার যদি কামায় কোটি কোটি টাকা, তাহলে আমি তো কামিয়েছি বিলিয়ন বিলিয়ন!!’
ধারণা করা হচ্ছে, পিএসসির প্রশ্নফাঁসের এই ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রোববার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে, বিপিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই প্রশ্নফাঁস করে অর্থ লোপাটে মেতে উঠত চক্রটি। এসব তথ্য নিশ্চিত করতে দেশের একটি গণমাধ্যম গেল ৫ জুলাই শুক্রবার অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ পরীক্ষাটিকে বেছে নেয়। প্রস্তুতি শেষে ছদ্মবেশী প্রার্থীকে তুলে দেয় চক্রের সদস্যদের হাতে। এরপর শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত যে প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, হোয়াটসঅ্যাপে তার একটা কপি পাঠানো হয় অন্তত ১ ঘণ্টা আগে। আর অজ্ঞাত স্থানে রেখে চুক্তিবদ্ধ শিক্ষার্থীদের তা পড়ানো হয় আগের রাতেই।
চক্রটির মূল হোতা বিপিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম বলেন, উপপরিচালক মো. আবু জাফরের মাধ্যমে ২ কোটি টাকার বিনিময়ে শুক্রবার (৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করা হয়। তিনি বড় কর্মকর্তাদের ট্রাঙ্ক থেকে পরীক্ষার আগের দিন আমাকে প্রশ্ন আমাকে সরবরাহ করেন।
তিনি আরও বলেন, আমি এটাও জানি ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস করা হয়।
এ ব্যাপারে সিআইডির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রশ্নফাঁসকারী চক্রের ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাঁড়াশি অভিযান চলছে। যাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যাবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছি।
![‘আমার অফিসের ড্রাইভার যদি কামায় কোটি কোটি, আমি তো বিলিয়ন বিলিয়ন’](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/09/image-281803-1720463352.jpg)