৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে
ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে। জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে জলদস্যুরা। এবার জিম্মি জাহাজে অবস্থানরত চার জলদস্যুর ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) দেশটির নৌবাহিনীর মুখপাত্রের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি প্রকাশ করা হয়। এতে জিম্মি জাহাজে ভারী অস্ত্রসহ টহলরত জলদস্যুদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
এক্সের পোস্টে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, গত ১২ মার্চ এমভি আব্দুল্লাহ নামের জাহাজটি থেকে সাহায্যের আবেদন পেয়ে জাহাজটির কাছে প্রথমে তাদের একটি নজরদারি বিমান মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্র্যাফ্ট এলআরএমপি পি-৮১ গিয়েছিল। কিন্তু বিমানটি এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি। পরে, হাইজ্যাক করা ক্রু সদস্যদের (বাংলাদেশি নাগরিক) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যুদ্ধজাহাজটি সোমালিয়ার আঞ্চলিক জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি অবস্থানে থাকে। ওই সময় নাবিকদের অবস্থান ও পরিস্থিতি নিরূপণ করে যুদ্ধজাহাজটি। কিন্তু দস্যুদের কিছু করতে না পারায় ছিনতাই হওয়া জাহাজটির পিছু নেয় ভারতীয় নৌ সেনারা। সোমালিয়ার জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত বাংলাদেশি জাহাজটির কাছাকাছি অবস্থান করে ভারতের যুদ্ধজাহাজটি।
এদিকে শুক্রবার সকালে ইইউ নৌবাহিনী জানিয়েছে, অপারেশন আটলান্টার আওতায় জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে অনুসরণ করছে তারা। তাদের সংগৃহীত ভিজ্যুয়াল তথ্যে দেখা গেছে, বর্তমানে জাহাজটিতে কমপক্ষে ১২ জন জলদস্যু অবস্থান করছে।
শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমভি আব্দুল্লাহকে যেখানে নোঙর করা ছিল, সেখান থেকে আজ ৪৫-৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তর দিকে সরিয়ে সোমালিয়ার গদবজিরান উপকূলে নেওয়া হয়েছে। জাহাজটিকে গদবজিরান শহর থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করা হয়েছে।
এস আর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যাপ্টেন মেহেরুল করিম জানিয়েছেন, ‘কী কারণে জলদস্যুরা জাহাজটি সরিয়ে নিয়েছে তা জানি না। তবে আমরা জাহাজের অবস্থানের বিষয়ে নজর রাখছি।’
ধারণা করা হচ্ছে, দস্যুরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করছে।
এদিকে জাহাজে আটক নাবিকদের উদ্ধার নিয়ে সরকার ও মালিকপক্ষ উদ্বিগ্ন। সরকারের পক্ষ থেকে যেমন যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে তেমনিভাবে মালিকপক্ষও পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন