সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে সহিংসতা, ৫ আইনজীবী গ্রেপ্তার
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজধানীর বনানীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন আইনজীবী কাজী বশির আহমেদ, ৯ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট তুষার, ১১ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট তরিকুল, ৮ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট সুমন ও ৬ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট ওসমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, সহিংসতায় জড়িত সবাইকে খোঁজা হচ্ছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া গ্রেপ্তারদের কারা ইন্ধন দিয়েছে, সেটাও জানার চেষ্টা চলছে।
এর আগে, শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। এ ছাড়া মামলায় ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের নিচ তলার শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে হঠাৎ স্বতন্ত্র সম্পাদক পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জন অস্ত্র হাতে অডিটরিয়ামে অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় আমাকেসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করেন। এ ছাড়া হত্যার চেষ্টাসহ নানাভাবে আঘাতের কথা এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলায় আসামিরা হলেন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, উসমান, চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), শাকিলা রৌশন, কাজী বশির আহম্মেদ, আরিফ, সুমন, তুষার, রবিউল, সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, তরিকুল, সোহাগ, জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন ও আসলাম রাইয়ান।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৬ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় শেষ হয়। কিন্তু গণনা নিয়ে হট্টগোল ও মারধরে ঘটনায় আটকে যায় নির্বাচনের ফল। অবশেষে শনিবার (৯ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়। ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত প্যানেল থেকে সভাপতি পদে আবু সাঈদ সাগর, সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক, সহ-সভাপতি পদে রমজান আলী শিকদার ও দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন সেতু, কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনসারী, সহ-সম্পাদক পদে মো. হুমায়ুন কবির ও মোহাম্মদ হুমায়ন কবির প্রার্থী হয়েছেন।
এই প্যানেল থেকে সাতটি সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূইয়া, মাহমুদা আফরোজ, মো. বেলাল হোসেন, খালেদ মোশাররফ, মো. রায়হান রনি, সৌমিত্র সরদার ও রাশেদুল হক খোকন।
অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে সভাপতি পদে এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, সহ-সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির ও সরকার তাহমিনা বেগম, কোষাধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম এবং সহ-সম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান ও মো. আব্দুল করিম প্রার্থী হয়েছেন।
এ ছাড়া সাতটি সদস্য পদে আছেন ফাতিমা আক্তার, সৈয়দ ফজলে এলাহী, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, মো. রাসেল আহমেদ, মো. আশিকুজ্জামান নজরুল, মহিউদ্দিন হানিফ ও মো. ইব্রাহিম খলিল।
এই দুই প্যানেলের বাইরে সভাপতি পদে মো. ইউনুছ আলী আকন্দ ও মো. খলিলুর রহমান বাবলু (এম কে রহমান) স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন। আর সম্পাদক পদে নাহিদ সুলতানা যুথী ও ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভুইয়া এবং কোষাধ্যক্ষ পদে মো. সাইফুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মন্তব্য করুন