• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঝটিকা অভিযানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, অবৈধ হাসপাতাল মালিকদের হুঁশিয়ারি

আরটিভি নিউজ

  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫১
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজারের সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঝটিকা অভিযানে
ছবি : সংগৃহীত

অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজারের সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঝটিকা অভিযানে গিয়ে মালিকদের প্রতি এ হুঁশিয়ারি জানান তিনি।

এদিন কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি সদর হাসপাতাল ও ইউনিয়ন হাসপাতাল লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি হাসপালে ঝটিকা অভিযান চালান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় তার সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) মইনুল হোসেন এবং চট্রগ্রাম সিভিল সার্জন উপস্থিত ছিলেন।

বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পরিদর্শনে গিয়ে সেখানকার বেশ কিছু অনিয়ম চোখে পড়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। হাসপাতালটিতে আইসিইউ, সিটি স্ক্যান চিকিৎসা ব্যবস্থার অনুমোদন না থাকলেও সেখানে আইসিইউ ও সিটি স্ক্যান ব্যবস্থার মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে দেখতে পান। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স অনুপস্থিত দেখতে পেয়ে হাসপাতালের ম্যানেজারের কক্ষে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ম্যানেজারকে ধুমপানরত অবস্থায় ধরে ফেলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ডা. সামন্ত লাল সেনের চোখে মানসম্মত ছিল না হাসপাতালের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও। এরপরও সেখানে অনেক রোগী ভর্তি দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করেন তিনি এবং বলেন, 'একটি বেসরকারি বি ক্যাটেগরির হাসপাতালে ডাক্তার নেই, নার্স নেই, ম্যানেজার নিজেই ধুমপান করেন অথচ সেই হাসপাতালে এত রোগী ভর্তি হলো কী করে, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। অবৈধভাবে এখানে আইসিইউতে রোগী ভর্তি রাখা হচ্ছে, অথচ আইসিইউ অনুমোদন নেই, আইসিইউ চালানোর দক্ষ লোকবলও নেই এই হাসপাতালে।'

এরপরই স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লিখিত বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইউনিয়ন হাসপাতাল লি. এর অবৈধ আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসারত গুরুতর অসুস্থ এক রোগীকে দ্রততম সময়ে পার্শ্ববর্তী সরকারি সদর হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা নেন এবং তৎক্ষণাৎ সঙ্গে উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালককে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।

তিনি এরপর বলেন, এসব অনিয়ম দেশের সর্বত্রই এতদিন করা হলেও এখন থেকে আর কেউ পার পাবে না। এসব অবৈধ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মালিকদের নিজ নিজ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ রাখতে প্রথমে বুঝিয়ে বলেছি। কেউ শুনেছে কথা, কেউ শোনেনি। আমি আবারো তাদেরকে অনুমোদনহীন অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করে দিতে অনুরোধ করছি। যারা বন্ধ করছে না, আমি এখন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

এছাড়া কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি সদর হাসপাতালে গিয়ে তত্ত্বাবধায়কের কাছে চিকিৎসক, নার্সদের হাজিরা খাতা অনুযায়ী উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এরপর তিনি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজ নেন। সরকারি হাসপাতালে সেবা ব্যবস্থা বৃদ্ধিতে আরও কী করতে হবে সে ব্যাপারে উপস্থিত হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, তিনদিন ব্যাপী কক্সবাজার জেলার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সফরের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের একটি হোটেলে "চিকিৎসক অধ্যক্ষ সম্মেলন-২০২৪" এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। কক্সবাজার জেলার সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রসমূহ পরিদর্শনের জন্য আগামীকাল শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারিত থাকলেও আজ বিকেলে আকষ্মিকভাবে স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল অভিযানে নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘আমি যেমন চিকিৎসকের মন্ত্রী, ঠিক তেমনি রোগীদেরও মন্ত্রী’
লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজ হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের হুঁশিয়ারি মেটার
X
Fresh