• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মেট্রোরেলে চড়ে অফিস পরিদর্শনে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

আরটিভি নিউজ

  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪২
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
ছবি : সংগৃহীত

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মেট্রোরেলে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিস পরিদর্শনে গিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ সচিবালয় (জাতীয় প্রেস ক্লাব) মেট্রোরেল স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে তিনি পৌঁছান বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান।

এরপর সেখান থেকে তিনি আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিস পরিদর্শনে যান এবং সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

বাংলাদেশ সচিবালয় (জাতীয় প্রেস ক্লাব) মেট্রোরেল স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র ১৬ মিনিট। পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-শাহবাগ-কারওয়ান বাজার-ফার্মগেট-বিজয় সরণি স্টেশনে প্রায় এক মিনিট করে যাত্রী ওঠা-নামার সময় ছিল।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মেট্রোরেল আমাদের জীবন ও জীবিকার সাথে যুক্ত। সময় কত মূল্যবান ঢাকার মানুষ সেটি বুঝতেছি। এ রুটে যারা যাতায়াত করে এখন তাদের দুই তিন ঘণ্টা সময় বেঁচে যাচ্ছে। এটি আনন্দের। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা শত চ্যালেঞ্জের মধ্যেও মেট্রোরেল করতে পেরেছেন।

মেট্রোরেল যাতে নির্মাণ না হয়- সেজন্য ভয়ংকর হলি আর্টিজানের ঘটনা ঘটিয়েছিল। জাপানের সাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে যে সম্পর্ক সেটি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র ছিল। ঢাকাবাসী যেন মেট্রোরেলের মত এরকম একটি পরিবহন না পায় সেজন্য ষড়যন্ত্র ছিল। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সুন্দর একটি মেট্রোরেল উপহার দিয়েছেন। একজন নাগরিক হিসেবে আমি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে সচিবালয় থেকে আগারগাঁওয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করলেই মন খারাপ হয়ে হয়ে যেতো। এখন সেটা আনন্দের বিষয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা গড়ে তোলার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন, দিন বদলের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। আজকে বাংলাদেশ বদলে গেছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগে মতিঝিল থেকে মিরপুর পর্যন্ত যাতায়াতে যাত্রীদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এখন এই রোডে যানজট যেটা নিত্যদিনের ছিলো সেটা কিন্তু নাই। যাত্রীদের ভোগান্তি নাই। মাত্র কয়েক মিনিটেই চলে যাচ্ছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কর্মচারীরা এখন মেট্রো রেলে যাতায়াত করে। আগে যেখানে দুই ঘণ্টা লাগতো এখন মাত্র ১০/১২ মিনিটে আগারগাঁও চলে যাচ্ছে, এখন দেড় ঘণ্টার মত সময় বেঁচে গেছে। দেড় ঘণ্টা যানজটে বসে থেকে একটা ক্লান্তি চলে আসতো, এখন সেই ক্লান্তিটা নাই।

তিনি বলেন, এখনই যেমন মিরপুর রোডে গণপরিবহনে যাত্রী নেই, চাপ নেই। আর এমআরটি লাইনের বাকিগুলো চালু হয়ে গেলে ঢাকার পরিবেশটাই সুন্দর হয়ে যাবে।

প্রতিমন্ত্রী আগারগাঁও বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য মো. মুসা, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান, পরিচালনার পরিষদের সদস্য
জিয়াউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পাওয়ার পর আজকে আমার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোন সংস্থায় প্রথম সফর। আজকের অনুভূতিটা একটু ভিন্ন ধরনের- কারণ আজকে মেট্রোরেলে চড়ে সচিবালয় থেকে আগারগাঁও এসেছি। প্রতিমন্ত্রী স্থলবন্দরের মাধ্যমে প্রতিবেশীদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর আহবান জানান।

তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা থাকতে হবে; শৃঙ্খলা রাখতে হবে। আমার খুব ভালো লাগছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের এফডিআর এ জমা আছে ৮০০ কোটি টাকা। সেটি মিলিয়ন বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আন্দোলন থামবে না : ফখরুল
ভূমি মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
X
Fresh