• ঢাকা রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাংলাদেশে পালিয়ে এলো মিয়ানমারের ৬৮ সীমান্তরক্ষী, আহত ১৫

আরটিভি নিউজ

  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১৫
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যরা
ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৬৮ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোববার রাত ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে এখন পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৬৮ জন সদস্য অস্ত্রসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে আহত ১৫ জন সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি সূত্র জানায়, রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বিজিপির আহত সদস্যসহ ৪৪ জন সীমান্ত অতিক্রম করে এপারে আশ্রয় নেয়। এর আগে সকালে পালিয়ে এপারে আশ্রয় নেয় ১৪ বিজিপি সদস্য। তাদের অস্ত্র ও গুলি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বিজিবি।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের জান্তা সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে জা নি মং ও নিম লাইন কিং নামে দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার রাত ৮টার দিকে বিজিবি সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এছাড়াও বেশ কয়েকজনকে কুতুপালংয়ের এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে তিন বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মর্টার শেল ও গুলি থেমে নেই। কয়েক হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। কিছু লোক এপারে ঢুকে বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। উৎকণ্ঠার মধ্যে কাটছে সীমান্তের লোকজনের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিজিবি সদস্য বলেন, শনিবার বিকেল থেকে মিয়ানমারের ভেতরে প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়। সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে এ সময় বিজিবি কঠোর অবস্থান নেয়। এ অবস্থায় রোববার ভোরে বিজিপির কিছু সশস্ত্র সদস্য বাংলাদেশে ঢোকে।

পালিয়ে আসা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীরা অস্ত্র ও গুলি বিজিবির কাছে জমা রেখেছে জানিয়ে ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মাশরাফি বলেন, ‘ মিয়ানমারের বেশ কয়েকজন সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশ সীমানায় সশস্ত্র অবস্থায় চলে আসে। তাদেরকে কর্ডন করে এনে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।’

গত ২৭ অক্টোবর অপারেশন ১০২৭ নামে জান্তাবিরোধী অভিযান শুরু করে আরাকান আর্মি। এরপর থেকে তারা উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের বেশির ভাগ এলাকা দখল করে নিয়েছে। এর মধ্যে ২০টি শহর এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পথ রয়েছে। চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে হামলা বন্ধ রেখেছিল আরাকান আর্মি। অবশ্য অপারেশন ১০২৭-এর আওতায় ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও পাশের চিন রাজ্যের পালেতোয়ায় বড় ধরনের আক্রমণ চালিয়ে আসছে আরাকান আর্মি। এ ছাড়া কাচিন প্রদেশ ও সাগায়িং অঞ্চলে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শক্তিশালী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) ও পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরাকান আর্মি।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরাকান আর্মির গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
‘মায়ের চেয়ে বড় আশ্রয়, বড় পৃথিবী নেই’
৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ওপারে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ, টেকনাফ সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন
X
Fresh