• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সাক্ষাৎকারে ইউনূসকন্যা

‘সরকার ও ড. ইউনূস একসঙ্গে কাজ করলে সেটা চমৎকার হবে’

আরটিভি নিউজ

  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:২১
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মেয়ে মনিকা ইউনূস (সংগৃহীত ছবি)

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তার মেয়ে মনিকা ইউনূস। সরকার ও ড. ইউনূসের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানিয়েছেন মনিকা।

সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সাংবাদিক ক্রিস্টিনা আমানপোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আহ্বান জানান।

মনিকা বলেন, আমি যতদূর জানি কোনো এক সময়ে সরকার ও ড. ইউনূস একসঙ্গে কাজ করেছেন। আমি আশা করি, সেই সময়টি আবার ফিরে আসুক। যদি সরকার আবারও ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করে, তাহলে সেটা চমৎকার হবে।

তিনি বলেন, আমার মনে হয়, এসব ভিত্তিহীন-মিথ্যা অভিযোগ-মামলায় সময় নষ্ট না করে আবারও সরকার ও ড. ইউনূসের একসঙ্গে কাজ করার সময় এসেছে। তাকে প্রায় ১০ বছর ধরে এ ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ইউনূসকন্যা বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সমস্যা দাবি করে মামলাটি দেওয়ানি আদালতে চালানো উচিত। এ সময় ড. ইউনূস ও তার সহকর্মীদের শতভাগ নির্দোষ দাবি করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের বরাত দিয়ে মনিকা বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি চাই, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করা হোক।

‘ড. ইউনূস দেশ ছেড়ে যাবেন না’-এ প্রসঙ্গে মেয়ে মনিকা বলেন, সারাজীবন তিনি দারিদ্রমুক্ত বিশ্ব তৈরির স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেছেন এবং বাংলাদেশে সহকর্মীদের নিয়ে তিনি এই যাত্রা শুরু করেছেন। যে দেশকে তিনি এতটা ভালোবাসেন, সেই দেশ ছেড়ে তিনি কেন চলে যাবেন?

এর আগে, রোববার (২৮ জানুয়ারি) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদিন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চার আসামি। আপিলে জামিন আবেদনের পাশাপাশি শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চাওয়া হয় তাদের পক্ষে। এর প্রেক্ষিতে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের জামিন দিয়েছেন শ্রম আপিলেট ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশ কাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ
মনোনয়নপত্র নিতে প্রার্থীর বাড়িতে লোক পাঠালেন রিটার্নিং কর্মকর্তা
X
Fresh