মামলা শ্রমিকেরা করেনি : ড. ইউনূস
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে যে মামলা করা হয়েছে, তা শ্রমিকেরা করেনি বলে দাবি করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) ওই মামলার সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করে আপিল করার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, সকল পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে সরকার মামলা করেনি। অথচ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর তো সরকারি, সরকারের অধীন। এটা তারা করেছে, শ্রমিক তো কোনো মামলা করেনি, সেটা আপনারা (সাংবাদিক) বলেন।
তিনি বলেন, আমরা একটা স্বপ্নের পেছনে ছুটেছি। এই স্বপ্নের মধ্যে পড়ে গিয়ে কারও বিরক্তিভাজন হয়েছি। কেন এই মামলা তা আমি বলতে পারব না।
ড. ইউনূস কথা বলার পর তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মহল থেকে শুরু করে সব জায়গায় এবং বিদেশিদের কাছেও বলা হচ্ছে সরকার মামলা করেনি। এটা করেছে শ্রমিকরা। কিন্তু ঘটনা সঠিক না। আপনারা জানেন এই মামলা করেছে সরকার। কলকারখানা অধিদপ্তর সরকারের প্রতিষ্ঠান।
এর আগে, এদিন বেলা পৌনে ১১টার দিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চার আসামি। আপিলে জামিন আবেদনের পাশাপাশি শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চাওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের জামিন দেন শ্রম আপিলেট ট্রাইব্যুনাল।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়।
এরপর গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যদিও রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে আসামিদের তখন এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন