• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ শুরুটা আশা জাগানিয়া

আরটিভি নিউজ

  ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৪

আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনি ইশতেহার ছিলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের। ১১ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর উদ্যোগ ও বক্তব্য বিশ্লেষণ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শুরুটা বেশ আশা জাগাচ্ছে। এখন দরকার ধারাবাহিকভাবে কাজগুলো করে যাওয়া।

বনভূমি উজাড়ের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন প্রথম দিকে হওয়ার কথা বেশকিছুদিন ধরে নানা জায়গায় উদ্ধৃত হলেও এবারই জোরেশোরে সরকারি বক্তব্য পাওয়া গেলো। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানই বন ধ্বংস করে প্রকল্প বাস্তবায়নের করার চেষ্টা করে বলে স্বীকার করলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বললেন, দখল হওয়া আড়াই লাখ একর বনভূমির মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিটাও উদ্ধার করা হবে বলে জানালেন মন্ত্রী।

সরকারি হিসেবে এক লাখ ৬০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রায় আড়াই লাখ একর বনভূমি দখল করে রেখেছে। যেখানে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯৩ হাজার ৯২৩ একর বনভূমি।

নির্বাচনের পর হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়াকে অস্বাভাবিক বলে গত ২২ জানুয়ারি মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এর পেছনে কারা, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। অস্বাভাবিকভাবে দুরভিসন্ধিমূলক মজুদ করলে তাদের খুঁজে বের করে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেলে দিতে হবে। মানুষের খাদ্য নিয়ে খেলা মেনে নেওয়া হবে না। কেউ কালোবাজারি বা জিনিস মজুদ করলে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে, প্রয়োজনে প্রশাসনকে জানাতে হবে।সেদিন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের এবার ইতিহাস তৈরি হয়েছে। ১৯৭৫ এর পর প্রতিটি নির্বাচন সম্পর্কে জানা আছে। মানুষের ভোট-ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ।

তার আগের দিন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা। আন্তঃমন্ত্রণালয় এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরাও বৈঠকে অংশ নিয়েছে। বৈঠকে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর কৌশল নির্ধারণ, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ করা এবং প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করা নিয়ে কর্মকৌশল ঠিক করা হয়।

এদিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রথমদিনেই বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না এবং বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। তিনি বলেন, “মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে।” মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, যারা সাম্প্রদায়িক মানসিকতা নিয়ে রাজনীতি করে তারা নিজেদের জন্য গণতন্ত্র চায়, কিন্তু তারা অন্যদের গণতান্ত্রিক অধিকার দিতে চায় না। মৌলবাদ ও ধর্মান্ধতা গণতন্ত্রবিরোধী।” তিনি বলেন, প্রথমে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে, তারপর গণতন্ত্রের সন্ধান করতে হবে।

সাবেক কূটনীতিক মুন্সি ফয়েজ মনে করেন এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়। তিনি বলেন, নির্বাচন হয়ে গেছে, বাইরের দেশগুলো যাকিছু চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে সেগুলো এখন আর থাকবে না। ফলে এখন সরকার যদি তার কাজের জায়গাগুলো ধরে এগিয়ে যায় তাহলে সেটাই এই জয়ের প্রধান লক্ষ্য।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তথ্য সুরক্ষায় কোলোসিটির হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা
২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইডিয়ালে আলোচনা সভা
স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে প্রশিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারা : স্পিকার
X
Fresh