‘নতুন এমপিদের ৯০ শতাংশ কোটিপতি’
একাদশ জাতীয় সংসদের তুলনায় দ্বাদশ সংসদে কোটিপতি এমপির সংখ্যা বেড়েছে। নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের প্রায় ৯০ শতাংশই কোটিপতি। এ ছাড়া প্রায় ৬৭ শতাংশ ব্যবসায়ী।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন ও সুজনের পর্যবেক্ষণ’ বিষয়ক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীর কুমার সরকার সংবাদ সম্মেলনে পর্যবেক্ষণগুলো তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২৬৯ জনের বা ৮৯.৯৭ শতাংশের সম্পদ কোটি টাকার ওপরে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত ২১২ জন বা ৯৫.০৬ শতাংশ, জাতীয় পার্টির ১০ জন বা ৯০.৯১ শতাংশ, অন্যান্য দলের মধ্যে ৩ জন বা ১০০ শতাংশ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৪৪ জন বা ৭০.৯৬ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের মধ্যে ২৫ লাখ টাকার কম সম্পদের মালিক ৯ জন বা ৩.০১ শতাংশ, সম্পদের ঘর পূরণ না করা দুজনসহ ১১ জন বা ৩.৬৭ শতাংশ।
সুজনের বিশ্লেষণ বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৬.৪৫ শতাংশ কোটিপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছেন ৮৯.৯৬ শতাংশ। আর ২৫ লাখ টাকা ও তার কম মূল্যের সম্পদের মালিক ৪৩.৮৫ শতাংশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছেন ৩.৬৭ শতাংশ। অধিক সম্পদের মালিকদের নির্বাচিত হওয়ার হার অনেক বেশি, স্বল্প সম্পদের অধিকারীদের নির্বাচিত হওয়ার হার যথেষ্ট কম।
সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদে কোটিপতি ছিলেন ২৪৭ জন বা ৮২.৩৩ শতাংশ, অন্যদিকে বর্তমান সংসদে ২৬৯ জন বা ৮৯.৯ শতাংশ। যা বিগত সংসদের তুলনায় ৭.৬৪ শতাংশ বেশি। জাতীয় সংসদে অধিক সম্পদের অধিকারীদের অংশগ্রহণ ক্রমশ বাড়ছে।
সুজন সম্পাদক বদি-উল আলম মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য নেওয়া হয়েছে। হলফনামায় অনেক ক্ষেত্রে তথ্য গোপন এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য থাকে। নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করে না। ফলে যে উদ্দেশ্যে আদালত প্রার্থীদের হলফনামায় তথ্য দিতে বাধ্যতামূলক করেছিলেন, তা পূরণ হচ্ছে না।
মন্তব্য করুন