• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ওয়াসার এমডি বারবার দায়িত্ব পাওয়ায় যা বললেন মন্ত্রী

আরটিভি নিউজ

  ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫২
মো. তাজুল ইসলাম
ছবি : সংগৃহীত

নিজের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার কারণে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান বারবার দায়িত্ব পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২১ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসা ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, বারবার কেন ঢাকা ওয়াসার দায়িত্বে বর্তমান এমডি? এমন প্রশ্নে সাংবাদিকরা আমাকে বিভিন্ন সময় শক্ত করে ধরেছেন। বারবার সমালোচনা হয়েছে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে নিয়ে। তারা বলেছেন, কেন বারবার ওয়াসা এমডি হিসেবে বর্তমান এমডি থাকেন। কেন এতবার তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাবে আমি সাংবাদিকদের বলেছি, কোনো মানুষই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে একজন কর্মকর্তা ২০, ৩০ অথবা ৪০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। ওয়াসার এমডি বারবার কেন দায়িত্ব পেয়েছেন, কারণ তিনি তার যোগ্যতা সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছেন। নিজের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার কারণে তিনি বারবার দায়িত্ব পেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীর উন্নয়ন দেখেই বিবেচনা করা হয় একটা রাষ্ট্র কতটা উন্নত। সে কারণে ঢাকা ওয়াসাকেও এমন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখা আমাদের দায়িত্ব। ইতোমধ্যে ঢাকা ওয়াসা তাদের গুণগতমান, অগ্রগতির দিক থেকে তার প্রমাণ দিয়েছে। ঢাকা ওয়াসা তাদের কোয়ান্টিটি, কোয়ালিটি এবং মানুষের চাহিদা পূরণ করেছে। এটা অবশ্যই আমাদের স্বীকার করতে হবে। তাদের অগ্রগতি অবশ্যই প্রশংসনীয়।

তাজুল ইসলাম বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের এমডির নেতৃত্বে কাজ করে ঢাকা ওয়াসাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। পানির দাম নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনার সময় আমি বলেছি, ঢাকা ওয়াসার পানি উৎপাদনে খরচ হয় ২৬ টাকা থেকে ৩০ টাকা। ৩০ টাকা যদি উৎপাদন খরচ হয় তাহলে সেটা যদি আমি ১৫ টাকায় বিক্রি করি, তবে বাকি ১৫ টাকা আমি কোথা থেকে পাব? তাহলে এটা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সারাদেশের মানুষের থেকে সরকার ট্যাক্সসহ বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে আর সেই অর্থ দিয়ে ওয়াসার পানির দাম না বাড়ানোর জন্য ভর্তুকি দিয়ে যাব?

তিনি বলেন, একজন মানুষ গুলশানে বসবাস করে সেখানে তার প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু ওয়াসার পানির দাম মাসে ১০০ বা ২০০ টাকা বেড়ে গেলে তাদের সহ্য হবে না। তাহলে কি গরিব মানুষের থেকে টাকা এনে সরকার এই গুলশানের মানুষের জন্য পানিতে ভর্তুকি দেবে? তাহলে গরিব মানুষের প্রতি যে আমাদের কমিটমেন্ট আছে তার কি হবে?

তিনি আরও বলেন, ওয়াসার নিজেদের মধ্যেকার কোনো দুর্নীতির কারণে যদি পানির দাম বাড়ে তাহলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু গরিব মানুষের টাকা এনে তা থেকে ওয়াসার পানির দাম কম রাখার জন্য ভর্তুকি দেওয়া হবে না।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জোরেশোরে চলছে কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেওয়ার কাজ (ভিডিও)
‘মানুষের রুচি উন্নত হলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়’
রাজধানীর পানি সংকট নিরসনে কাজে নামছে ওয়াসার ১০ মনিটরিং টিম
ঈদের পর কারওয়ান বাজার স্থানান্তর কাজ শুরু হবে
X
Fresh