কাঁদলেন খালেদা
বাসাতে ‘অবরুদ্ধ’ থেকেও মামলার আসামি হওয়া ও সন্তানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার কথা বলতে গিয়ে আদালতে কাঁদলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন খালেদা। একপর্যায়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।
বেলা ১২টা ১৩ মিনিটে বক্তব্য শুরু করে শেষ করেন ১টা ১৭ মিনিটে। বক্তব্যের বেশিরভাগই ছিল লিখিত বক্তব্য।
খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে বলেন, ‘মাননীয় আদালত আপনি নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন,সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। জারি করা হচ্ছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। চার দশকের স্মৃতি বিজড়িত বসত বাড়ি থেকে আমাকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমাকে বাসা ও রাজনৈতিক কার্যালয়ে বালুর ট্রাক দিয়ে কয়েক দফায় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমি অফিসে অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোন, ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। আমি অবরুদ্ধ অবস্থাতে বিদেশে চিকিৎসাধীন ছোট ছেলের মৃত্যুর সংবাদ...।’
এ পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন খালেদা জিয়া। কিছুক্ষণ পর তিনি সংযত হয়ে আবার বক্তব্য দেয়া শুরু করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘কোকোর মৃত্যুর দিন আমার সঙ্গে যারা অফিসে অবরুদ্ধ ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বানোয়াট একটি মামলা করা হয়। অভিযোগ করা হয়- রাস্তায় গাড়ি পোড়ানো এবং বিস্ফোরক দিয়ে মানুষ হত্যার। অফিসে অবরুদ্ধ থাকাকালীন অবস্থায় আমরা এসব করেছি। এটা কি কোনো সভ্য মানসিকতার আচরণ হতে পারে?’
তিনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আপনি দেখেছেন, শাসক মহলের নির্দেশে স্বাধীনভাবে চলাচল বিভিন্নভাবে ব্যহত করা হয়েছে। বারবার হামলার ঘটনা বিশ্ব দেখেছে। আমার ওপর সশস্ত্র হামলা করা হয়েছে। আমার গাড়িতে গুলি চালানো হয়েছে। গাড়িবহরে সশস্ত্র হামলা হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীরা তাতে আহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীরা কেউ আটক হয়নি।’
এসজে
মন্তব্য করুন