• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাতে ঢাকায় আসছেন মিয়ানমারের মন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ০১ অক্টোবর ২০১৭, ১২:৫১

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির দপ্তর বিষয়ক মন্ত্রী উ কিয়া তিন্ত সোয়ে রোববার রাতে ঢাকা আসছেন। যদিও কক্সবাজারের শরণার্থীদের ক্যাম্প পরিদর্শনের সূচি নেই এ সফরে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আগামীকাল সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন, সেই কক্সবাজারে তার সফরের কোনো সূচি নেই। সু চির মন্ত্রী একটাই বৈঠক করবেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। কিয়া তিন্ত সোয়ে সোমবারই ঢাকা ছাড়বেন বলেও জানান তিনি।

গেলো সপ্তাহে মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী উ উইন মিত আয়ে জানান, সু চির দপ্তর বিষয়ক মন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঢাকা আসবেন।

সম্প্রতি মিয়ানমার ঘুরে আসা ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড সাংবাদিকদের বলেন, অং সান সু চি সব রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে চান বলে তাকে আশ্বস্ত করেছেন। সু চি একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আছেন এবং তিনি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাপের মধ্যে একটি সঠিক পথ বের করার চেষ্টা করছেন।

দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে বসবাসকারী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি নিজেদের আত্মপরিচয় নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশটির কতৃপক্ষ তাদের ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে পরিচয় দিতে নারাজ।

সরকারের দাবি এরা অবৈধ নাগরিক। অন্যদিকে, রোহিঙ্গারা নিজেদেরকে মিয়ানমারের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য লড়ছিল।

এরই মধ্যে গেলো মাসের শেষ দিকে জঙ্গি সংগঠন সলিডারিটি অর্গানাইজেশন অব রোহিঙ্গা (আরএসও) রাখাইনে কয়েকটি নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হন।

এর জের ধরে সরকারি বাহিনী রাখাইনের গ্রামগুলোতে সেনা অভিযান শুরু করে। এতে নারী, শিশুসহ নির্দোষ অনেকেই হতাহত হন। গ্রামের পর গ্রাম আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। বাধ্য হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিতে থাকেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মতে এ পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের উপকূলে অবস্থান নিয়েছে।

মিয়ানমার সরকারের দাবি, রাখাইনে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা হচ্ছে’। যদিও বিশ্বের কোন সংবাদ সংস্থা বা মানবাধিকার সংগঠনকে সেখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না তারা।

তাই সেখানে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম কেন্দ্র করেই তথ্য আদান প্রদান করা হচ্ছে।

ওয়াই/এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ভবনের নকশা অনুমোদনে এসটিপি স্থাপনের শর্ত আরোপের নির্দেশ
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh