• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে সুজনের পরামর্শ (ভিডিও)

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২২ আগস্ট ২০১৭, ১৪:৪০

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনকে ২০টি পরামর্শ দিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সুজন আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

এছাড়া গোলটেবিল আলোচনায় নির্বাচনী বিধি-বিধানে সংস্কার, কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ করণীয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বের কথা কুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে কলামিস্ট সৈয়দ মকসুদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের আচরণ দেখে সহজেই বোঝা যাচ্ছে তারা অনেক অসহায়। আর সেই জন্য বিভিন্নজনকে ডেকে শক্তি সঞ্চার করার চেষ্টা করছে।

সিনিয়র এ সাংবাদিক বলেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে সবার আগে তাদের করণীয় ঠিক করা। আর সেজন্য তারা সরকারের সঙ্গে বারবার আলোচনা করতে পারে।

অনুষ্ঠানে সাবেক নির্বাচন কমিশন বিগ্রেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আকারের দিক থেকে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন বড়। কিন্তু বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ভোট সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, নতুন কমিশন গঠনের পর যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে গ্রহণযোগ্য ভোটের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ভালো নির্বাচন করতে হলে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন, গ্রহণযোগ্য মনোনয়ন পদ্ধতি, প্রশাসনের দলীয়করণ বন্ধ করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল বলেন, সুষ্ঠু ভোট করতে হলে সবার সমান সুযোগ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যদি নিরপেক্ষ ভোট আয়োজন সম্ভব না হয় তাহলে সে সরকারের অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে থাকবে।

তিনি আরো বলেন, আসছে একাদশ সংসদ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করতে না পারলে ভবিষ্যতে দেশের অবস্থা উত্তর কোরিয়ার মতো হবে।

সুজনের গোলটেবিল আলোচনায় যেসব বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয় সেগুলো হলো- নির্বাচন কমিশনের করণীয় নির্ধারণ, আইন কাঠামো, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করণ, সীমানা পুনর্নির্ধারণ, মনোনয়নের লক্ষ্যে তৃণমূল থেকে প্যানেল তৈরির বিধানের প্রয়োগ, হলফনামা যাচাই-বাছাই ও ছকে পরিবর্তন, নির্বাচনী সহিংসতা রোধ, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, দলের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, নির্বাচনী ব্যয়সীমা কমিয়ে আনা, নির্বাচনী বিরোধ দূরীকরণ, কমিশনে নিয়োগ আইন তৈরি, রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন ও বৈদেশিক শাখা তৈরি, গণমাধ্যমের ভূমিকা, কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা সৃষ্টি, সরকারের স্মরণীয়, রাজনৈতিক দলের করণীয়, নাগরিক সমাজের করণীয় ও ভোটারদের করণীয় ঠিক করা।

এইচটি/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নির্বাচনী প্রচারণায় সোহমকে হরলিক্স উপহার
হিলিতে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
উপজেলা নির্বাচন: দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন আজ
প্রথম ধাপের ভোটে ১৪১ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
X
Fresh