নায়করাজ রাজ্জাক আর নেই
বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আরটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন।
তিনি সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান।
ইউনাইটেড হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানায়, ৫টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয় রাজ্জাককে। তখন তার পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেন। ৬টা ১৩ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
রাজ্জাকের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালে কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় আসেন তিনি। এর পর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। দু’একটা সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করার পর ৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম ছায়াছবি বেহুলা। সেই থেকে শুরু।
রাজ্জাকের নায়ক জীবনে জন্ম হয়েছে বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো জুটি। রাজ্জাক-কবরী জুটির কথা আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।
প্রায় অর্ধশত বছরের অভিনেতা হিসেবে রাজ্জাকের ঝুলিতে রয়েছে ৩শ’র বেশি বাংলা ও উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র। এর মধ্যে বেশ কয়েকটিই পেয়েছে ক্লাসিকের খ্যাতি।
অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনার কাজও করেছেন রাজ্জাক। ১৬টির মতো ছায়াছবি পরিচালনা করেছেন তিনি।
১৯৭২ থেকে ’৮৯ সাল পর্যন্ত রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে—স্লোগান, আমার জন্মভূমি, অতিথি, কে তুমি, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, প্রিয়তমা, পলাতক, ঝড়ের পাখি, খেলাঘর, চোখের জলে, আলোর মিছিল, অবাক পৃথিবী, ভাইবোন, বাঁদী থেকে বেগম, সাধু শয়তান, অনেক প্রেম অনেক জ্বালা, মায়ার বাঁধন, গুণ্ডা, আগুন, মতিমহল, অমর প্রেম, যাদুর বাঁশী, অগ্নিশিখা, বন্ধু, কাপুরুষ, অশিক্ষিত, সখি তুমি কার, নাগিন, আনারকলি, লাইলী মজনু, লালু ভুলু, স্বাক্ষর, দেবর ভাবী, রাম রহিম জন, আদরের বোন, দরবার, সতীনের সংসার।
- নায়ক রাজের মৃত্যুতে চলচ্চিত্র পরিবারে শোকের ছায়া
- নায়ক রাজ যেভাবে হলেন কিংবদন্তি
- নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
- রাজ্জাকের মৃত্যুতে ৩ দিনের কর্মবিরতি
- পারবো না তোমার স্তব্ধ মুখটা দেখতে : রত্না
জেএইচ/এসএস
মন্তব্য করুন