• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ওমিক্রন নিয়ে যা বললেন ড. বিজন কুমার শীল

আরটিভি নিউজ

  ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:১১
ওমিক্রন নিয়ে যা বললেন ড. বিজন কুমার শীল
ছবি: সংগৃহীত

ধারণার চেয়েও দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। যা ইতোমধ্যে ৪৫টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। তবে ডেল্টা ধরনের ন্যায় এটি ভয়ংকর নয়।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন ডেল্টা-ওমিক্রন' ভিত্তিক'-বিজ্ঞান, নৈতিকতা ও বৈষম্য বিষয়ক এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল।

অনুষ্ঠানে জুমের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং অধ্যাপক (ডা.) মো. সায়েদুর রহমান, চেয়ারম্যান, ফারমাকোলজি বিভাগ, বিএসএমএমসইউ।

বিজন কুমার বলেন, ওমিক্রনকে ভয়ংকর ভাবার কারণ এর মিউটেশন। এখন পর্যন্ত ডেল্টা ধরনের সর্বোচ্চ ১৫টি মিউটেশন হয়েছে। সেখানে ওমিক্রনের হয়েছে
৫০টি। যার ৩২টি স্পাইক প্রোটিন। যা দিয়ে সে মানুষকে খুব সময়ে সংক্রমিত করে এবং এর মাধ্যমে ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়। এই যে ব্যাপক পরিবর্তন। এতে করে ধরনটি শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। আর এ জন্যই মনে করা হচ্ছে, হয়তো ওমিক্রন ডেল্টার চেয়েও ভয়ানক হবে।

তিনি বলেন, ফিউরিন নামক একটি প্রোটিন পুরো ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। এটি সার্সকপ-১ এ ছিল না, তবে সার্সকপ-২তে আছে। এখন এটি যদি আরও বিস্তার লাভ করে তাহলে ডেল্টার চেয়েও মারাত্মক হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে ডেল্টার মত আতঙ্কিত করার মত অবস্থায় যায়নি ওমিক্রন। তবে এটাই শেষ নয়, খারাপ হতে পারে। আফ্রিকা থেকে অন্যান্য দেশে শনাক্তের পর এটি আরও শক্তিশালী হয়েছে, সংক্রমণ যত বাড়বে ততটাই এটি মারাত্মক হতে থাকবে।

এই গবেষক বলেন, ইতোমধ্যে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তারা অনেকটা সুরক্ষিত। তবে এর বিপরীতে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কতটুকু সেটি সম্পর্কে এখনও পর্যালোচনা চলছে।

একই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারমাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান খসরু বলনে, একদিনের লকডাউনে তিন হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। অথচ যদি বিনা টাকায় নমুনা পরীক্ষা যেত, প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করাতে পারতাম তাহলে অর্থনীতি সচল থাকত। এই দেশে এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের অর্ধেক বেলা খাবারে জন্য কাজ ফেলে আসা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে পরীক্ষার জন্য মানুষকে টাকা দিতে হবে, তবেই আমরা লকডাউন নামক এই জঞ্জাল থেকে মুক্তি পাব।

তিনি বলেন, দেশের ১৫ কোটি মানুষকে ৩০ কোটি মাস্ক বিনামূল্যে দিতে কি সমস্যা। সাদা-লাল রংয়ের দুই ধরনের মাস্ক দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রতিটি শহরে সাত দিনের মধ্যে মানুষকে সচেতন করা যায়। ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু করেন, এতে সরকারে পদক্ষেপ সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে, গুরুত্ব দেবে। একই সঙ্গে প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিকুয়েন্স করার সক্ষমতা আছে, পিসিআর পরীক্ষা একেবারেই সহজ অবস্থায়। তাহলে এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে কি এত সময় লাগে?

এসএস/এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh