• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চিকনগুনিয়ায় মৃত্যু হয় না, ভোগান্তি আছে

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৮ মে ২০১৭, ২১:১৩

চিকনগুনিয়ায় নয়, মৃত্যু হয় ডেঙ্গুতে। যদিও রোগ দুটি এডিস মশার মাধ্যমেই মানবদেহে ছড়ায়। তবে ভোগান্তি আছে। বললেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বক্তারা।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) সাংবাদিক অবহিতকরণ সভায় তারা এ কথা বলেন।

সভায় অংশ নেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মেহেরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম।

বক্তরা বলেন, চিকুনগুনিয়া হলে সমস্যা নেই, ডেঙ্গু হলে আছে। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সভায় অংশ নেয়া মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম বলেন, ডেঙ্গু হলে মাংসপেশীতে আর চিকুনগুনিয়া হলে জয়েন্টে ব্যথা হবে। চিকুনগুনিয়াতে হাত ও পায়ের মাথায় এবং মুখমণ্ডলে ছোপ ছোপ দাগ হয়। কিন্তু ডেঙ্গু জর হলে পুরো শরীরে ছোপ ছোপ দাগ হয়।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু মানবদেহের রক্তের প্লাটিলেট কমিয়ে দেয়। কিন্তু চিকুনগুনিয়াতে এমন সমস্যা হয় না।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, চিকনগুনিয়া নিয়ে আতঙ্ক না ছড়িয়ে গণসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এজন্য গণমাধ্যমকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, চিকুনগুনিয়াতে মৃত্যুর রেকর্ড নেই, তবে ভোগান্তির শিকার হন রোগীরা। পরিবারের সদস্যদের এই দুটির বিষয়ে সচেতন হতে হবে। চিকুনগুনিয়া নিজেই সেরে যায়, তাই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আবশ্যক নয়।

অন্যদিকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মেহেরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এখনো আমাদের কাছে গেলো এপ্রিল ও মে মাসে ১৩৯টি চিকুনগুনিয়ার স্যাম্পল গেছে। তার মধ্যে ৮৬টি পজিটিভ। চিকনগুনিয়া থেকে বাঁচতে ঘরের কোথাও যেন পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাকতে হবে। তাহলেই এ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

এইচটি/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh