পাঁচ বছরের প্রকল্প শেষ হয়নি আট বছরেও
দিন দিন বেড়েই চলেছে ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কে নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের মেয়াদ। পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্পের কাজ আট বছরে শেষ হয়েছে ৪০ শতাংশ। নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারায়, গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে শুরু করে টঙ্গি, আব্দুল্লাহপুর-উত্তরাসহ সব কটি মোড়েই লেগে থাকে যানজট। অসহনীয় এমন দুর্ভোগের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তদারকির অভাবকেই দুষছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে ঢাকা টু গাজীপুরের পুরো সড়কে যাতায়াতে পদে পদে ভোগান্তি। গেলো কয়েক বছরে যানজটের যে অবস্থা তাতে মাত্র ২০ কিলোমিটারের এই মহাসড়ক পাড়ি দিতে সময় লাগছে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের কারণে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত পুরো সড়ক সরু হয়ে অর্ধেকেরও কম অংশে যান চলাচল করতে পারছে। তাও আবার বেশিরভাগ জায়গায় ভাঙ্গাচোরা, খানাখন্দে ভরা, যাকে অসহনীয় যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি বলছেন এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগীরা জানান, কাজের গতি কম হওয়ার কারণে দিনের পর দিন তাদের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। এ সমস্যা সমাধানের মতো কেউ নাই বলেও অভিযোগ করেন তারা।
অথচ মাত্র ২০ কিলোমিটারের বাস র্যা পিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ করে ২০১৬ সালে ওই সড়কে বাস চলার কথা ছিলো।
তদারকিতে বড় ধরনের গাফেলতি থাকায় ঠিকাদাররা উদাসীনতা দেখাচ্ছেন বলেই জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ সামছুল হক বলেন, এসব সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসনকে তদারকি বাড়াতে হবে।
তবে এই বর্ষার পরে এই প্রকল্পে আর কোনো দুর্ভোগ থাকবে না বলে দাবি করেছেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী।
আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জনগণ এর সুফল পাবে বলে আশ্বাস দেন সড়ক ও জলপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর
ইজে/জেএইচ
মন্তব্য করুন