ইভ্যালির গ্রাহকদের ‘মাথায় হাত’ (ভিডিও)
প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন আটক হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে পাওনা ফেরত পাওয়া নিয়ে আশঙ্কায় গ্রাহকরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান বাস্তবতায় অর্থ ফেরত পাওয়া প্রায় শত ভাগই অনিশ্চিত। এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন তারা।
কোনও পণ্যে ৫০ ভাগ ছাড়, আবার কোনও পণ্যে শতভাগ। শুধু তাই নয়, দেড়শ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার দিয়ে গ্রাহক আকৃষ্ট করে ইভ্যালি। ‘সাইক্লোন’, ‘থান্ডারস্টর্ম’, ‘আর্থকোয়াক’ এর মতো নানা নামে অফারের ফাঁদে ফেলে গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় শত শত কোটি টাকা।
গ্রাহকরা জানান যে, ইভ্যালির সিইও তাদের পণ্য অথবা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা দিয়েছিল। কিন্তু এখনো কিছুই পায়নি বলে অভিযোগ করে তারা।
নানা অভিযোগে ইভ্যালির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছিল আগেই। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় তিন লাখ গ্রাহক এবং ২৫ হাজার মার্চেন্টের পাওনাই প্রায় হাজার কোটি টাকা। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের তদন্তে এর মধ্যে ৩৩৯ কোটি টাকার কোনও হদিস নেই। সরানো হয়েছে অন্যত্র।
যদিও শেষ রক্ষা হলো না রাসেল-শামীমা দম্পতির। গত বৃহস্পতিবার ধরা পড়েন র্যাবের হাতে। প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানের দুই কর্তা ব্যক্তি আটক হন। এবার গ্রাহকরা কি পাওনা বুঝে পাবেন?
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যরিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, আইনের মাধ্যমে এ টাকার সমাধান হবে না।
তবে কিছুটা বেসিসের সভাপতি আলমাস কবিরের মতে, এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশাসক বসাতে হবে অথবা নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। যাতে ব্যবসাটি পুনরায় চালিয়ে নেয়া যায়, তখন লাভ হতে পারে
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইভ্যালি কাণ্ডে গ্রাহকের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি বড় ক্ষতি হয়েছে ই-কমার্স খাতের। প্রতারকদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে মনে করেন তারা।
ইজে/এসএস
মন্তব্য করুন