• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দেশের পথে কাজী আরিফের মরদেহ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০১ মে ২০১৭, ১৫:০৪

প্রখ্যাত আবৃত্তিকার, স্থপতি ও মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরিফের মরদেহ নিয়ে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের পথে তার ছোট মেয়ে।

এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে দুবাই হয়ে কাজী আরিফের মরদেহ ঢাকা আসছে।

রাষ্ট্রীয় খরচে তাঁর মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছেন সেখানকার কনসুলেট জেনারেল শামীম আহসান।

নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি হাসপাতালে শনিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে কাজী আরিফের লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়।

দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ কাজী আরিফের হার্টের ভাল্ব অকেজো হলে তাকে ম্যানহাটনের মাউন্ট সিনাই সেন্ট লিওক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গেলো মঙ্গলবার ভাল্ব পুনঃস্থাপন ও আর্টারিতে বাইপাস সার্জারি করা হয়।

তার ঘনিষ্ঠজন আবৃত্তিশিল্পী আহকাম উল্লাহ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘এবার চিকিৎসার জন্য আমেরিকা আসার আগে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে হঠাৎ করেই আমাকে ফোন করেছিলেন কাজী আরিফ। অনেক কথার পরে শুধু বলেছিলেন, অপারেশনের জন্য আমি আমেরিকা যাব। বাঁচবো কিনা জানি না। যদি মরে যাই, আমার কবর যেন বিদেশের মাটিতে না হয়। এ দায়িত্ব তোর আর হাসান আরিফের। হাসান আরিফকে বলেছি, আজ তোকে বললাম।’

আহকাম উল্লাহ বলেন, ‘এ বলেই তিনি ফোনটা রেখে দিয়েছিলেন। আমি জানতাম না এপ্রিলে তাঁর অপারেশন হবে। জানতাম না এপ্রিলে আমিও আমেরিকা আসবো। নিয়তি! ২৫ এপ্রিল তাঁর অপারেশন হলো। ঐদিন সারাদিন আমি হাসপাতালে ছিলাম। তারপর থেকে তাঁর আর জ্ঞান ফেরেনি। নিউইয়র্কে তাঁর জানাজা পড়েছি। জেএফকে এয়ারপোর্ট থেকে আজ তাঁর মরদেহ বাংলাদেশ যাওয়া নিশ্চিত করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আরিফ ভাই আপনাকে কথা দিয়েছিলাম, কথা রেখেছি। আপনার দাফন বাংলার মাটিতেই হবে। ঢাকা এয়ারপোর্টে হাসান আরিফ আপনার মরদেহ গ্রহণ করবেন। হাসান আরিফ ভাই, এ কঠিন, কঠোর, ভারাক্রান্ত, ভাগাভাগি দায়িত্বপালন আপনি আর আমি মিলে অনেক করেছি। কিন্তু এটা একটু বেশি কঠিন হলো। সবসময় পাশাপাশি থেকে করেছি তো, এবার করতে হলো পৃথিবীর দুই প্রান্ত থেকে।’

১৯৫২ সালের ৩১ অক্টোবর ফরিদপুর রাজবাড়ীতে জন্ম নেন কাজী আরিফ। বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম শহরে। সেখানেই তার পড়াশোনা, রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্যে হাতেখড়ি হয়।

১৯৭১ সালে ১ নম্বর সেক্টরে মেজর রফিকের কমান্ডে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন কাজী আরিফ। যুদ্ধ শেষে বুয়েটে পড়াশোনা শুরু করেন। এর পাশাপাশি শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চাও চালিয়ে যান তিনি।

এইচএম/

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh