ইফতার বাজারে বিক্রেতা থাকলেও নেই ক্রেতা (ভিডিও)
ইফতার বাজারে বিক্রেতা আছে, বাহারি ইফতারির পসরাও আছে; তবে ক্রেতা সামান্য। তারপরও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। কারো কারো মুখে মাস্ক দেখা গেলেও স্বাস্থ্যবিধির অন্যান্য ব্যবস্থা ছিল উপেক্ষিত। আর স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার নিয়েও ছিল ভোক্তাদের প্রশ্ন। এছাড়া ইফতার বলতেই যে ভাজা-পোড়া তারও ব্যতিক্রম ছিল না; জনস্বাস্থ্যবিদরা যাকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবেই আখ্যায়িত করেন।
দেশে চলছে লকডাউন। রাজধানী ছেড়েছে অনেকে। করোনা সংক্রমণও ঊর্ধ্বমুখী। সবমিলিয়ে পাড়ায়-মহল্লায় যে ইফতার বাজারের ধুম সেটা এবার দেখা যাচ্ছে না। সবখানেই হাতেগোনা দোকান। ক্রেতাও হাতেগোনা।
বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের জন্য ক্রেতা নেই। অফিস-আদালতসহ সব মার্কেট বন্ধ, ক্রেতা পাব কোথায়। তারপরও উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি। এ বিষয়ে ক্রেতারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি তেমন কিছুই মানা হচ্ছে না। হাতে গ্লাভস নেই, এভাবেই ইফতার দিয়ে দিচ্ছে।
স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার কিনা তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। বাজারে ইফতার মানেই ভাজা-পোড়ার সমারোহ। আর এগুলো যে স্বাস্থ্যকর নয় তা বরাবরই বলে আসছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নাজমুল হক ভুঁইয়া বলছেন, ভাজা-পোড়াতে সমস্যা থাকে। গ্যাস্ট্রিক, আলসারসহ অন্যান্য রোগ হয়ে থাকে। যারা এসব রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এছাড়া যাদের হৃদজনিত সমস্যা রয়েছে তাদেরও এড়িয়ে চলা উচিত ভাজা-পোড়া খাবার। সবার বাসায় তৈরি খাবার খাওয়া উচিত।
যেসব খাবার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে সেসব খাবারের প্রতি অভ্যস্ত হবার পরামর্শ দেন এই পুষ্টিবিদ।
এসআর/পি
মন্তব্য করুন