আইপিইউ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন
যুদ্ধের কারণে ২৩ কোটি শিশুর জীবন বিপন্ন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলা যুদ্ধের কারণে বর্তমানে ২৩ কোটি শিশুর জীবন বিপন্ন। অন্যদিকে ধনী ও দরিদ্রের ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় শিশু অধিকার কর্মী ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী।
রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে গভর্নিং কাউন্সিল সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনের পরই সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
কৈলাস সত্যার্থী বলেন, আমরা যখন এই সম্মেলন করছি তখন ২৭০ মিলিয়ন শিশু স্কুলে যেতে পারছে না। ২১ মিলিয়ন মানুষ বিক্রি হয়ে শ্রমদাসে পরিণত হয়েছে। এটা মেনে নেয়া যায় না।
তিনি বলেন, একদিকে ১শ’মিলিয়ন শিশু দাসত্ব, পাচার ও শিক্ষাবঞ্চনাসহ বিভিন্ন সহিসংতার শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে ১শ’ মিলিয়ন তরুণ চাচ্ছেন পৃথিবীকে বদলে দিতে। পৃথিবীকে বদলে দেয়ার শক্তি, সামর্থ ও আদর্শ তাদের আছে। আমরা কি এই তরুণদের পাশে দাঁড়াতে পারি না?
এই নোবেল বিজয়ী আরো বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৯ হাজার শিশু ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের কারণে মারা যাচ্ছে। প্রকৃত অর্থে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। ২৭ লাখ শিশু এই মুহূর্তে স্কুলে যাচ্ছে না। আড়াই লাখ শিশু পাচারের শিকার হচ্ছে। অসমতা আমাদের জীবনসঙ্গী এমন একটি ধারণা আছে। অথচ আমাদের হাতে রয়েছে ডিজিটাল অভ্যুত্থান।
তিনি বলেন, বর্তমানে ২৩০ মিলিয়ন শিশু পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে জেগে উঠেছে। তারা শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধেও নিজেদের রক্ষা করছে। অথচ এ বিষয়টি এমডিজিতে ছিল না, পরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বৈষম্য দিনে দিনে বাড়ছে। গেলো কয়েক দশক আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন সিইও বেতন পেত ২০ জন শ্রমিকের সমান। আর এখন বৈষম্য বেড়ে ১:২০০ তে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের ৫০ শতাংশ মানুষের সমপরিমাণ সম্পদ রয়েছে মাত্র ৮ জন ধনীর কাছে।
এইচটি/ এএইচসি/জেএইচ
মন্তব্য করুন