জাতির পিতার বিখ্যাত তর্জনিটাই ভাঙলো দুর্বৃত্তরা!
১৯৭১ সালের সাতই মার্চের ভাষণে নিজের তর্জনি উঁচু করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এরপর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার তর্জনিটিও বিখ্যাত হয়ে পড়েছিল। সেদিনের পর অনেক কবি তাদের কবিতায় বঙ্গবন্ধুর সেই বিখ্যাত তর্জনিটির কথা লিখেছেন। আর সেই তর্জনিটাকেই যেন বারবার লক্ষ্য বানিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সময় তার বিখ্যাত তর্জনিটিও ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল ঘাতকেরা। এবারও যেন তারই পুনরাবৃত্তি ঘটলো কুষ্টিয়ায়।
কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের পর গণমাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা গেছে। তার ভাস্কর্যের মুখমণ্ডলের সঙ্গে সঙ্গে সেই বিখ্যাত তর্জনিটাও ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। যেন বঙ্গবন্ধুর উদ্ধত তর্জনির সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের আজন্ম ক্ষোভ।
গতকাল শুক্রবার রাতের কোনও একসময় কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এর প্রতিবাদে আজ শনিবার ভাস্কর্য চত্বরে বিক্ষোভ করেছে জেলা শ্রমিকলীগের নেতারা। শহরকে সৌন্দর্য করার জন্য এখানে ২০০৩ সালে জাতীয় ফুল শাপলার একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করে পৌরসভা। এরপর থেকে এটি শাপলা চত্বর হিসেবে পরিচিত।
এদিকে ভাস্কর্য ভাংচুরের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের নমুনা দেখেই বোঝা যায় এটি মৌলবাদীদের কাজ। তবে বঙ্গবন্ধুর এই বাংলায় মৌলবাদীদের ঠাঁই নাই। ’৭১ সালে ওরা এই বাংলাদেশটাকে মানেনি। আমরা সকলকে সঙ্গে নিয়ে ওইসব মৌলবাদীদের চিহ্নিত করে একে একে ধরে পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থা করব। ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগে আলোচনা চলছে। প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনে যাবে আওয়ামী লীগ।’
জেবি
মন্তব্য করুন