গার্মেন্টস স্টাফ বাসে যাত্রীবেশে ডাকাতি
গার্মেন্টসের স্টাফ বাসে যাত্রী বেশে ডাকাতির ঘটনায় দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই ঢাকা জেলা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার ধামরাই ও ঘিওর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার ছোট পয়লা গ্রামের মৃত আঃ মুন্নাফের ছেলে লালন সরদার (২৮) ও টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার জয়নাতলী গ্রামের মৃত আঃ রহিমের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৮)। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে লালন সরদার শুক্রবার আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৪ জুলাই রাত অনুমান দুইটার দিকে গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট যাওয়ার জন্য সাভার থানার হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি অফিস স্টাফ লেখা বাসে ওঠেন মামলার বাদী মাইদুল ইসলাম। বাসে ওঠার সাথে সাথে বাস চালকসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন লোক বাদীর হাত, পা, চোখ বেঁধে বাসের মাঝে শুইয়ে এলোপাতাড়ি মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল সেট, কাপড় চোপড়, নগদ টাকা ও বিকাশে থাকা টাকাসহ প্রায় ৫৬ হাজার টাকা নিয়ে বাদীকে হাত, পা বেঁধে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সাভার থানার তুরাগ নদীর পাড় সংলগ্ন রিকু ফিলিং স্টেশন এর বিপরীত পাশে ফেলে রেখে বাস নিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে ভিকটিম মাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাভার থানায় অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে আসামি করে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করে (মামলা নং–৫৬, ২৫/১০/২০২০/ধারা- ৩৯৫/৩৯৭ দঃ বিঃ)। মামলাটি পিবিআই স্বউদ্যোগে গ্রহণ করে পিবিআই ঢাকা জেলার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সালেহ ইমরানকে তদন্তভার প্রদান করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সালেহ ইমরান জানান, গত কোরবানির ঈদের কিছুদিন আগে এই গ্রুপটি গার্মেন্টসের স্টাফ বাস নিয়ে ডাকাতিতে নামে। মূলত গার্মেন্টস ছুটির পর শ্রমিকদের পৌছে দিয়ে মধ্য রাতে তারা এই কাজটি করে। বাসটি চালাতেন লালন সরদার। তার কাছ থেকে বাদীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। সে আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সালেহ ইমরান আরও জানান, লালন এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধামরাই থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বাস এবং সহযোগী আলমগীর নামের এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনদিনের রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তারকৃত লালন ও আলমগীরের দেওয়া জবানবন্দী থেকে জানা যায়, ওই ঘটনায় পলাতক অন্যান্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে একাধিক ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় পলাতক অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।
কেএফ/পি
মন্তব্য করুন