• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ডা. সাবরিনার মনগড়া রিপোর্টের বিষয়ে আবেদনের শুনানি রোববার

আরটিভি নিউজ

  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৫৭
Dr. Sabrina Arif Chowdhury
ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। ছবি সংগৃহীত

করোনা টেস্ট না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগের মামলার কিছু নথি চেয়ে ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর আবেদনের ওপর আদেশের জন্য আগামী রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ও বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী এবং আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন।

এ মামলায় নিম্ন আদালতে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী, তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় গত ২০ আগস্ট।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, তানজিলা পাটোয়ারী, জেবুন্নেসা, বিপ্লব দাস, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু ও শফিকুল ইসলাম রোমিও। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন বলেন, এ মামলার মূল অভিযোগ হলো করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট। আমরা ভুয়া রিপোর্টের সেই নথিগুলো চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু নিম্ন আদালত সেটি খারিজ করে দিয়েছেন। এখন উচ্চ আদালতে এসেছি নথি চেয়ে। পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশও চেয়েছি। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ঠিক করেছেন।

তাদের বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী। অভিযোগপত্রটি দেখার পর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত সেটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। এরপর বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে আসে।

মামলার অভিযোগপত্রে সাবরিনা ও আরিফুলকে জালিয়াতি, প্রতারণার মূল হোতা এবং বাকি ৬ জনকে অপরাধে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক।

গত ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে তেজগাঁও থানায় আগেই আরিফুলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরদিন গত ১৩ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। সাবরিনার রিমান্ড চলাকালেই গত ১৫ জুলাই কারাগারে থাকা তার স্বামী আরিফুলকে ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। এরমধ্যে গত ১৭ জুলাই সাবরিনাকে ফের ২ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। রিমান্ডে নিয়ে ২ জনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

গত ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থানা হাজতে থাকা অবস্থায় আরিফুলের ক্যাডার বাহিনী পুলিশের উপর হামলা ও থানা ভাঙচুর চালায়।

কেএফ/জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যুথীর জামিন আবেদনের শুনানি নিতে হাইকোর্টের অপারগতা প্রকাশ
ডা. সাবরিনার বিচার শুরু
‘ভুয়া ভুয়া’ বলার পরেও স্টক আউট ডা. সাবরিনার বই!
এবার বইমেলায় ডা. সাবরিনাকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে দুয়োধ্বনি
X
Fresh