• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভারতকে হারানো অসম্ভব কিছু না: মুশফিক

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:২৩

এমন কথা তো মুশফিকুর রহিমের মুখেই মানায়। 'আমরা যদি বেসিক ঠিক রেখে খেলতে পারি তবে ভারতে হারানো সম্ভব'- বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে হারানোর পর এমনটাই বলছিলেন মুশফিক। ১২ রানে যখন তিন উইকেট নেই বাংলাদেশের ঠিক তখনই রুদ্রমূর্তি হয়ে উইকেটে শক্ত জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে।

ব্যাটিং ধস থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এই জুটি ১২ রান থেকে দলীয় রান নিয়ে যান ১৫৬ রানে। মিঠুনের ৬০ রানে বিদায়ে ভাঙ্গে জুটির। ততক্ষণে মুশফিকও অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন নিজেকে। কিন্তু কি দুর্ভাগ্য তার, ৯৯ রানের মাথায় বুঝি খেই হারাতে হলো মি: ডিপেন্ডেবলকে! এই ১ রানের ব্যথাটা হয়তো এতক্ষণে ভুলে গেছেন দলের জয়ে।

ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়েই খেলে যাচ্ছেন এশিয়া কাপে। ম্যাচ যত বাড়ছে, মুশফিকের ব্যথাটাও বাড়ছে পাজরে। তাতে কি, দেশের জন্য জান বাজি রাখতেও তো চিন্তা করেন না মাশরাফি-মুশফিকরা।

সরফরাজ আহমেদের ক্যাচ ধরতে যেভাবে ডাইভ দিলেন তখন আর কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না কিংবা, শোয়েব মালিককে ফেরাতে যেভাবে শূন্যে ভেসে যেভাবে ক্যাচটা নিলেন সেটা তো অবিশ্বাস্য।

সাত বার ছুরিকাঁচির নিচে যেয়ে যার দুইটা পা ক্ষত বিক্ষত তার কাছে এসব আর অবিশ্বাস্য না।শূন্যে ক্যাচ নিয়ে যখন মাটিতে পড়লেন ততক্ষণে আঙ্গুল ফেটে রক্তও বের হচ্ছিল।

ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছেড়েছেন ঠিকই কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আবার হাজির হলেন মাঠে। ডান হাতের দুই আঙ্গুল তখন ব্যান্ডেজে প্যাঁচানো। এভাবেই করলেন আরও দুই ওভার বোলিং।

দলের সিনিয়র খেলোয়াড়ের কাছে যদি এমন অনুপ্রেরণা পাওয়া যায় তখন জুনিয়ররাও ঠিকই নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দিতে চাইবে।

সৌম্য সরকার ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও বল হাতে সৌম্য যেন নিয়মিত বোলার হয়ে উঠলেন। ৫ ওভার করে ১৯ রান দিয়ে নিলেন ১ উইকেট।

যাকে দলের পার্ট-টাইম বোলার বলা হয় সেই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও এদিন ১০ ওভার করে পূরণ করলেন সাকিবের না দলে না থাকার অভাব।

সবমিলে বলা যায় দিনটা ছিল বাংলাদেশেরই। আফগানিস্তানকে হারানোর পর যে উচ্ছ্বাসটা দেখিয়েছিল বাংলাদেশ কিন্তু, পাকিস্তানকে হারানোর পর দেখা যায়নি তেমন কিছুই। মুশফিকরা হয়তো জমা রেখেছেন ফাইনাল ম্যাচের জন্য।

পাকিস্তানকে হারিয়ে উজ্জীবিত মুশফিকের আশা ফাইনালেও বাজিমাত করবে বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা গত দুই ম্যাচে ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলেছি। এভাবে খেলতে পারলে ভারতকে হারানো অসম্ভব কিছু না কিন্তু, ভারতের সঙ্গে সেটা না পারলেও ফাইনালে নিজেদের বেসিক খেলাটা খেললে অসম্ভবও না।

৯৯ রানের আউট হয়ে ফিরেছেন। ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরির এতো কাছে গিয়েও হতাশ হতে হয়েছিল। মাঠ ছাড়ার সময়ই সেটি টের পাওয়া যায়। তবে মুশফিক জানালেন ভিন্ন কিছু।

জয় পাওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ডান-হাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, আউট হবার পর আমার হতাশাটা ছিল দলের কারণেই। ড্রেসিং রুমে ফিরেও বারবার বলছিলাম যে একজন সেট ব্যাটসম্যানের অন্তত ৪৮ ওভার পর্যন্ত খেলা উচিত। কারণ নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য ওদের (পাকিস্তান) বোলিং আক্রমণ খেলা সহজ নয়। দেখেছেন আজকেও যে শেষ ২০ ওভারে আমরা মাত্র ১১০ রানের মতো করতে পেরেছিলাম। এজন্যই আমার কাছে হতাশার ছিল। কিন্তু দলের জয়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন :

এমআর/ওয়াই

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh