ক্লান্ত সাকিব নাকি রশিদ জুজু
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয়। সেটাই গতরাতে প্রমাণ করে ছাড়লো সাকিবরা। ভয়কে জয় কর না হয়ে ব্যাপারটা ভয়ের জয় দাঁড়ালো।
সিরিজ শুরুর আগে অনুশীলন ক্যাম্প থেকেই যেন রশিদ খান আতঙ্কে কাঁপছিল গোটা দল। প্রথম ম্যাচে সেটার প্রমাণই দিল ১১ জন!
গা গরমের ম্যাচে রশিদ, মুজিবরা ছিল না তাতেও ৮ উইকেটের বিশাল হার।
সাকিব অবশ্য প্রস্তুতি ম্যাচের কথা মনেই রাখতে চাননি। মনে রাখলেও কথা দিয়ে ঢাকতে চেয়েছেন। ঢেকেছেনও।
দেরাদুনের অচেনা উইকেটে ৩ পেসার নিয়ে নেমেছিল খেলতে। টস জিতে আগে বোলিংও নিয়েছেন। হয়তো প্রস্তুতি ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে হারের কথা মনে করেই!
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : খেলা বন্ধ করে ইফতার করলেন তিউনিশিয়ার খেলোয়াড়রা
--------------------------------------------------------
যাই হোক তিন পেসারে দূর্দান্ত না হলেও দূর্ধর্ষ হলো। শেষ পর্যন্ত ৩ পেসার মিলে ১০ ওভারে দিলেন ১১০ রান।
আর ৪ স্পিনার মিলে দিলো মাত্র ৪৫ রান। জায়েদ-রাজুরা যেখানে রানের বন্যা বইয়েছেন সেখানে রিয়াদ-মোসাদ্দেকরা লাগাম টেনেছেন রানের।
এক ওভারে ১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেও পরে আর বোলিংয়ে আসতে হয়নি রিয়াদকে। কেন রিয়াদকে আর ওভার করানো হয়নি তার কারণটা অধিনায়ক খোলাসা করলেন ম্যাচ শেষে।
সাকিব বলেন, সিদ্ধান্তটা কঠিন ছিল। আমি যদি রিয়াদকে আবার বোলিং করাতাম, যদি সে ছয় খেয়ে যেত তখন আপনারাই প্রশ্ন তুলতেন কেন তাকে বল দিলাম।
দেশে থাকতে তামিমের মাথায় ভালোমতো ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল রশিদ আর মুজিবের ভয়টা। সেই তামিম খেই হারালেন মুজিবের বলে। ইনিংসের প্রথম বলে কিনা লেগ বিফোরের ফাঁদে! তামিমের সাথে বড্ড বেমানান দেখা গেলো।
সৌম্যকে বসিয়ে লিটনকে খেলানো হল। দলে স্থায়ী হওয়ার জন্য লিটন তার সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টাও করেছেন।
সাকিব করেছেন ১৫ বলে ১৫ রান। দলের বিপর্যয়ে নবীর বলে তিনিও নিজেকে হারিয়ে ফেললেন।
রশিদের করা প্রথম বলে মুশফিক যে সুইপ করতে গেলেন সেটা দেখে মনে হবে, কোচ হয়তো গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মুশফিককে বলে আসছেন রশিদের বল পেলেই সুই্প শট খেলবা। সুইপ ছাড়া আর কোনও পথ নেই। হারের সামনে দাঁড়িয়ে মুশফিকের এমন অকল্পনীয় আকাঙ্খা হতাশ করে ভক্তদের।
সাব্বিরতো এলেন আর গেলেন। তিনিও রশিদকে আটকাতে চেয়েছিলেন। তবে কাজ হয়নি। ম্যাচটা এখানেই শেষ।
অধিনায়কের অধিনায়কত্বটা নাকি মনপুত হয়নি সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ বুলালেই বোঝা যায়।
আইপিএলে টানা ম্যাচ খেলে ক্লান্ত নাতো সাকিব! নাকি রশিদ-মুজিবদের ভয়টা তার ভেতরেও ঢুকে গেছে।
পরের ম্যাচে বাঘেরা ফিরে আসুক বাঘের মতোই। তামিম-সাকিবরা রশিদদের ভয় পায়না সেটা প্রমাণের পালা বাকি দুই ম্যাচ।
আরও পড়ুন :
এমআর/এএ
মন্তব্য করুন