• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নিজেদের সেরা সাফল্য চায় অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক

  ১৯ মার্চ ২০১৮, ১৭:১১

১৮৫৮ সালে টম ও তার কাজিন এইচ.সি.এ. হ্যারিসন, ডাব্লিউ.জে. হ্যামেরস্লি ও জে.বি. থম্পসন মিলে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নতুন এ খেলাটিকে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন। এরই ফলশ্রুতিতে ওই বছরের ৭ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ফুটবল ক্লাব ‘দি মেলবোর্ন ফুটবল ক্লাব’। একই বছর স্কচ কলেজ ও মেলবোর্ন গ্রামার স্কুলের মধ্যে ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এ ম্যাচটিকে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এরপরই দেশটিতে ফুটবল খেলাটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ফুটবল দলকে ডাকা হয় ‘সকারুজ’ নামে। ক্যাঙ্গারুর জন্য জগৎ বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ায় ফুটবল খেলার স্বীকৃত প্রচলনকারী একজন টম উইলস। বিলেত ফেরত এই ক্রীড়াবিদ ইংল্যান্ডের রাগবি স্কুলের ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। সেই সাথে ছিলেন প্রতিভাবান ক্রিকেটারও। ১৮৫৭ সালে দেশে ফেরেন তিনি। এসময় তিনি ক্রিকেটারদের মাঝে ফুটবল খেলা চালু করার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে শীতকালীন অবসরে ক্রিকেটারদের ফিট রাখতে ফুটবল ম্যাচ খেলানোর প্রস্তাব করেন তিনি।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: সালাহর ৪ গোলে বিধ্বস্ত ওয়াটফোর্ড
--------------------------------------------------------

মেলবোর্ন ফুটবল ক্লাব প্রথম অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলের জন্য নীতিমালা তৈরি করে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি নীতিমালা এখনো চালু আছে। ১৮৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় গিলং ফুটবল ক্লাব। ১৮৯৬ সালে ৮টি দল নিয়ে ভিক্টোরিয়ান ফুটবল লিগ চালু হয়। ১৯০৮ সালে রিচমন্ড বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। অবশ্য ১৯১৪ সালে তারা ভিক্টোরিয়ান ফুটবল লিগ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। পরবর্তীতে আরো চারটি দল লিগে অংশ নেয়।

প্রথম দিকে ভিক্টোরিয়াকে কেন্দ্র করেই ফুটবল লিগ অনুষ্ঠিত হতো। ১৯২২ সালে গঠন করা হয় অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ফুটবল দল। একই বছরই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে যায় তারা। কিউইদের বিপক্ষে ২ ম্যাচে হার ও একটি ড্র করে অস্ট্রেলিয়া।

১৯৫১ সালে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে হারের মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭-০ গোলে হারে তারা। তবে ১৯৫৬ সালের মেলবোর্ন অলিম্পিকের আগ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া বড় কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার সুযোগ পায়নি। ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ফুটবল ফেডারেশন অস্ট্রেলিয়া’। দেশটি ১৯৬৩ সালে ফিফা’র সদস্যপদ লাভ করে।

১৯৭৪ সালে পশ্চিম জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপপর্বে পূর্ব জার্মানিকে ২-০ গোলে হারায় তারা। তবে পশ্চিম জার্মানির কাছে ৩-০ গোলে হেরে ও চিলির সাথে গোলশূন্য ড্র করে বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নেয় সকারুজরা।

যেভাবে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া
২০১৭ সালের ২৩ মার্চ ইরানের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং। ওই ম্যাচে ইরানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে সকারুজরা। এরপর পরবর্তী দুই ম্যাচে আরব আমিরাত ও সৌদির বিপক্ষে জয়লাভ করে অস্ট্রেলিয়া। দুই ম্যাচে জয়লাভের পর আবার টানা দুই ম্যাচে পরাজয়বরণ করতে হয় যথাক্রমে ব্রাজিল ও জার্মানির বিপক্ষে। এরপর জুনে চিলি ও ক্যামেরুনের বিপক্ষে ড্র, আবার জাপানের বিপক্ষে ২-০ গোলের পরাজয়। অবশেষে ১৫ নভেম্বর ২০১৭ তে হন্ডুরাসকে ৩-২ গোলে হারিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে সকারুজরা।

ডাকনাম

:

সকারু

অ্যাসোসিয়েশন

:

ফুটবল ফেডারেশন অস্ট্রেলিয়া

কনফেডারেশন

:

এএফসি (আফ্রিকা)

সাব কনফেডারেশন

:

এএফএফ (দক্ষিণ এশিয়া)

হেড কোচ

:

ব্রেট ভ্যান মারউইক

অধিনায়ক

:

মিলে জেডিনাক

সর্বাধিক ম্যাচ

:

মার্ক শোয়ার্জার (১০৯)

সর্বাধিক গোলদাতা

:

টিম কাহিল (৫০)

হোম ভেন্যু

:

বর্তমান র‌্যাংকিং

:

৩৭

বেস্ট রেজাল্ট

:

২০০৬ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ড

বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ

:

১৯৭৪, ২০০৬, ২০১০, ২০১৪, ২০১৮

সেরা খেলোয়াড়

:

আরও পড়ুন:

এএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফুটবল খেলা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা, যুবক নিহত
ইউরোর আগে নিষিদ্ধ হতে পারে স্পেনের ফুটবল!
বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সামর্থ্য নেই বাফুফের, তাপদাহের মধ্যে মেয়েদের খেলা
ইতালিয়ান ফুটবল সাম্রাজ্যে ইন্টার মিলান
X
Fresh