• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাশিয়া বিশ্বকাপ-২০১৮

আলী দাঈই বিশ্বকাপে ইরানের অনুপ্রেরণা

স্পোর্টস ডেস্ক

  ০৮ মার্চ ২০১৮, ১৭:০৭

দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র ইরান। ইরান বিশ্বের সবচেয়ে পর্বতময় দেশগুলির একটি; এখানে হিমালয়ের পরেই এশিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ দামভান্দ অবস্থিত। দেশটির জনগণ জাতিগত ও ভাষাগতভাবে বিচিত্র হলেও এরা প্রায় সবাই মুসলিম। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এ অঞ্চলটি ইসলামের শিয়া মতাবলম্বীদের কেন্দ্র। ইরানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার আছে। পারস্য উপসাগরের অন্যান্য তেলসমৃদ্ধ দেশের মতো ইরানেও তেল রপ্তানি ২০শ শতকের শুরু থেকে দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।

জাফরি শিয়া ইসলাম ১৬শ শতক থেকে ইরানের রাষ্ট্রধর্ম। শিয়া মুসলিমরা আরব ও মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য সুন্নী মুসলিমদের সাথে হযরত মুহাম্মদের (সাঃ) উত্তরাধিকারী কে হবেন তা নিয়ে মতভেদ প্রকাশ করেন। ইরানের ১৯৭৯ সালের সংবিধান শিয়া ধর্মগুরুদের সরকারে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বমূলক পদে স্থান দেয়। ইরানের প্রায় ৯৩% মুসলিম শিয়া ধর্মাবলম্বী এবং এদের প্রায় সবাই জাফরি শিয়া মতবাদে বিশ্বাসী।

জাফরি শিয়ারা মনে করেন মুহাম্মদের ১২ জন উত্তরাধিকারী ইমাম আছেন। ইরানের বাকী জনগণ সুন্নী ধর্মাবলম্বী। অনেক সময় মিশ্র ধর্মের লোক নিয়ে গঠিত শহরে ধর্মীয় উৎসবের সময় ধর্মীয় উত্তেজনা পরিলক্ষিত হয়। সুফিবাদ বা ইসলামী আধ্যাত্ম্যবাদ ইরানীদের মধ্যে জনপ্রিয়। এছাড়াও ইরানে আর্মেনীয় ও আসিরীয় খ্রিস্টান, ইহুদী ও জরথুষ্ট্রবাদীদের ছোট ছোট সম্প্রদায় আছে। ১৯শ শতকে বাহাইবাদের আবির্ভাব ঘটে এবং এর বহু হাজার অনুসারী আছে, যদিও ১৯৭৯ সালে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি সরকারের রোষানলে পড়ে।

এখন পর্যন্ত মোট পাঁচবার বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পেয়েছে ইরান। ১৯৭৮, ১৯৯৮, ২০০৬, ২০১৪ এবং সর্বশেষ ২০১৮। ১৯৭৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে উঠে ভালো করতে পারেনি তারা। গ্রুপ পর্বে এক জয়ও পায়নি ইরান। ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচেই যুগোস্লাভিয়া হারিয়ে উৎসবে মাতোয়ারা হয় মধ্য পাচ্যের এই দেশটি। বিশ্বকাপের অর্জন বলতে এটুকুই। এরপর ২০০৬ এবং ২০১৪ বিশ্বকাপে জায়গা পেলেও গ্রুপ পর্বের কোনো ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পায়নি ইরান।

বর্তমান দল কেমন
ইরানের বর্তমান দলটা বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ। নতুন-পুরনো মিলে দারুণ কিছু ফুটবলার রয়েছে স্কোয়াডে। সর্দার আজমুন ও মেহদি তারেমি, আসকান দেজাঘার মতো বাঘা বাঘা তারকারা ইরানের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন। ২০১৫ সালের এশিয়ান কাপে ইরান দারুণ পারফর্ম করে। সে বছর ইরানের হয়ে আলো ছড়ান আসকান ও রেজা। এ ছাড়া দলে রয়েছে আলী রেজার মতো নামকরা গোলরক্ষক। রাশিয়া বিশ্বকাপে বড় দলগুলোর অঘটনের কারণ হতে পারে ইরান।

প্রধান কোচ
কার্লোস কুইরোজের অধীনে রাশিয়া যাচ্ছে ইরান। ক্যারিয়ারে তিনি একজন সফল কোচ। রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেও কোচিং করান এই পর্তুগীজ। ১৯৮৯-১৯৯১ পর্যন্ত পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ ছিলেন কার্লোস। সে সময় টানা দুইবার পর্তুগীজ যুবারা বিশ্বকাপ মুকুট উঁচিয়ে ধরে। এটাই কার্লোসের সবচেয়ে বড় সাফল্য। ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে নিজ দেশ পর্তুগালকে নকআউট পর্বে নিতে অনেক অবদান ছিল কার্লোসের। সবমিলে একজন ‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস’ কোচের ছায়ায় রাশিয়া বিশ্বকাপে নজর কাড়তে পারে ইরান।

ডাকনাম

:

টিম মেলি

অ্যাসোসিয়েশন

:

ফুটবল ফেডারেশন অব ইরান

কনফেডারেশন

:

এএফসি

সাব কনফেডারেশন

:

মধ্য এশিয়া

হেড কোচ

:

কার্লোস কুইরোজ

অধিনায়ক

:

এহসান হাজসাফি

সর্বাধিক ম্যাচ

:

জাভেদ নিকুনাম (১৫১)

সর্বাধিক গোলদাতা

:

আলী দাঈ (১০৯)

হোম ভেন্যু

:

আজাদী স্টেডিয়াম

বর্তমান র‌্যাংকিং

:

৩৩

বেস্ট রেজাল্ট

:

এশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন (৩) বার

বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ

:

১৯৭৮, ১৯৯৮, ২০০৬, ২০১৪, ২০১৮

সেরা খেলোয়াড়

:

আরও পড়ুন:

এএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইতালিয়ান ফুটবল সাম্রাজ্যে ইন্টার মিলান
টিভিতে আজকের খেলা
ক্রিকেট-ফুটবলকে টপকে দেশসেরার খেতাব অ্যাথলেটিকসের
ইনজুরি কাটিয়ে ফিরছেন বাংলার ফুটবলের রক্ষণসেনা
X
Fresh