• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মাশরাফির ডাবল হ্যাটট্রিকে আবাহনীর জয়

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৬ মার্চ ২০১৮, ১৭:১১

প্রিমিয়ার লিগের ৪৫তম ম্যাচে নাজমুল হাসান শান্তর সেঞ্চুরি ও মাশরাফির হ্যাটট্রিক সহ ছয় উইকেটে জয় তুলে নিয়ে শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে আবাহনী লিমিটেড। আবাহনী এদিন নিজেদের ৮ম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামে।

সকালে ফতুল্লা’র খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে আবাহনীর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা রেখেই ব্যাটিংয়ে নামে আবাহনী।

ব্যাটিংয়ে নেমে আবাহনীর দুই ওপেনার আনামুল বিজয় ও সাইফ হোসেন সতর্ক শুরু করেন। দু’জন মিলে উদ্বোধনী জুটিতে তুলে নেন ৩৯ রান। ৯.৫ ওভারের সময় আনামুল বিজয় ৩৯ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে শফিউলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরত যান।

এর পরই ওয়ানডাউনে খেলতে নামেন নাজমুল হোসাইন শান্ত। আগের ৭ ম্যাচে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। সাইফ-শান্ত’র জুটি ভাঙে ৬৪ রানের মাথায়। সাইফ আউট হন ৬৪ বলে ২৪ রান করে। ১৫ ওভারে ৬৪ রানে দুই উইকেট গেলেও অশান্ত হননি শান্ত।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: তিন বছর পর জাতীয় দলে গেইল ঝড়
--------------------------------------------------------

শান্ত তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে একের পর এক জুটি গড়েন নাসির, মোসাদ্দেক, মিথুনদের সাথে। নাসির করেন ৪৪ বলে ২৫ রান, মোসাদ্দেকের ব্যাটে ১৯ আর মিথুনের ব্যাটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান। ১৭৬ বলের ইনিংসে ১৩৩ রানে অপরাজিত থেকেই আবাহনীর ইনিংস শেষ করেন শান্ত। তার শত রানের ইনিংসে ছিল ১১টি চার আর ৩টি ছয়। নির্ধারত ওভার শেষে আবাহনীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২৯০ রান।

অগ্রনী ব্যাংকের পক্ষে সালমান হোসাইন ও আল আমিন হোসেন ২টি এবং আব্দুর রাজ্জাক ১ উইকেট লাভ করেন।

আবাহনীর দেয়া ২৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আগ্রনী’র শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস ও আজমির আহমেদ। আজমির ফিরেন ৪২ বলে ২১ রান করে ফিরে গেলে ভাঙে ৫১ রানের জুটি। এরপরই অগ্রনীর ব্যাটসম্যানদের আশা যাওয়ার মিছিল শুরু হলেও একপাশ আগলে রাখেন শাহরিয়ার নাফিস। জুটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান রাজা আলি দিদারের সাথে। এই জুটি থেকে আসে ১৪৬ রান। নাফিস তুলে নেন শত রান। দিদার আউট হন ৭৭ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে।

শারিয়ার নাফিস ১৫৬ বলে ১২১ রান করে ৪৩ ওভারের সময় আউট হন। তার ইনিংসে ছিল ১৩টি চার আর ৩টি ছয়। ততক্ষনে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে পড়ে আবাহনী।

ঠিক তখনই শুরু হয় মাশরাফির জাদু। আবাহনীর হয়ে খেলা মাশরাফি এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন। ইনিংসের শেষ ওভারে পরপর চার বলে চারটি উইকেট তুলে নেন তিনি। ওভারের দ্বিতীয় বলে ধীমান ঘোষ, তৃতীয় বলে আব্দুর রাজ্জাক, চতুর্থ বলে শফিউল ইসলাম ও পঞ্চম বলে ফজলে রাব্বীকে সাজঘরে ফেরান তিনি। মাশরাফি বিন মুর্তজা ৯.৫ ওভার বল করে ৪৪ রান দিয়ে মোট ছয়টি উইকেট নেন।

শেষ পর্যন্ত ৪৯.৫ বলে ২৭৯ রানে অলআউট হয় অগ্রনী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ১১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা আবাহনী লিমিটেড।

আবাহনীর হয়ে মাশরাফি হ্যাটট্রিকসহ ৬টি, আরিফুল হাসান সবুজ ২টি, মনন শর্মা ও সানজামুল ইসলাম ১টি করে উইকেট নেন। অনবদ্য সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচ সেরা হন আবাহনীর নাজমুল হাসান শান্ত।

আরও পড়ুন:

এএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ছেলে আব্রামকে ক্রিকেট শেখাতে ব্যস্ত শাহরুখ
এলপিএলের নিলামে নাম দিলেন তামিমসহ যেসব ক্রিকেটার
নারী ক্রিকেটের প্রচারণায় তিন স্কুলে জ্যোতি-মারুফারা
বাংলাদেশে পৌঁছেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল
X
Fresh