'কবিতাকুঞ্জ'র পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী পরী মনি
ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা পরী মনি কবি নির্মালেন্দু গুণের 'কবিতাকুঞ্জ'র পাশে দাঁড়ালেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কবি নির্মালেন্দু গুণ ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, কবিতাকুঞ্জের আর্থিক সহায়তার জন্য ১ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছেন পরী। কবির ফেসবুক স্ট্যাটাস আরটিভি অনলাইন পাঠকদের জন্য নিচে তুলে ধরা হলো।
মন্তব্য করুন
জানা গেল ভাইরাল তরুণ-তরুণীর মারধরের কারণ
ঈদের দিন কালো পোশাক পরা তরুণ-তরুণীর মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। অবশেষে জানা গেছে তাদের মারধরের কারণ।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া শৌলা সড়কের। সম্পর্কে ওই তরুণ-তরুণী স্বামী-স্ত্রী।
৪৬ সেকেন্ডে ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে রাস্তায় এক তরুণীকে দফায় দফায় মারধর করছেন। সাদা পায়জামা ও কালো পাঞ্জাবি পরা এক তরুণ এক তরুণীর হাত ধরে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। ওই তরুণের পেছনের দিকে পাঞ্জাবি অর্ধেক ছেড়া। হেঁটে যাওয়ার একপর্যায়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে তরুণীকে কিলঘুষি মারছেন তরুণ। সেই সঙ্গে চুল ধরে টানাটানিসহ দফায় দফায় তরুণীকে বিভিন্নভাবে আঘাত করে ফেলে দিচ্ছেন। রাস্তায় বহু মানুষ চলাচল করলেও তরুণীকে সাহায্য করেতে এগিয়ে আসছে না কেউ।
জানা গেছে, নির্যাতিত তরুণী বাউফলের কালাইয়ার মিলন মিয়ার মেয়ে মিম আক্তার। আর ওই তরুণ উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম। গত এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। ঈদের দিন কামরুল শ্বশুরবাড়ি আসেন। পরে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলে তার স্ত্রী মিম তার পিছু নিলে রাস্তায় তাদের মাঝে মারামারি, ধস্তাধস্তি ও টানাটানির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ভিডিওটি এমনই ভাইরাল হয়েছে যে থানায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে নির্যাতিত তরুণীর পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবুও পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।
ঈদের দিন তরুণ-তরুণীর মারধর, মিম ফিরলেন শ্বশুরবাড়ি
ঈদের দিন কালো পোশাক পরা তরুণ-তরুণীর মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে জানা যায়, পটুয়াখালীর বাউফলের ওই তরুণ-তরুণী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। অভিমান থেকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। এবার পুলিশ ও চেয়ারম্যানের সমঝোতায় শ্বশুরবাড়ি ফিরে গেছেন মিম।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাউফল উপজেলা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামূল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাউফল থানা থেকে ফোন পেয়ে আমি গিয়ে দেখি কামরুল ও মিমকে থানায় এনেছে পুলিশ। পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়ে সমঝোতার জন্য আমার জিম্মায় দিয়ে দেন। আমি তাদের অবিভাবকদের নিয়ে ইউপিতে বসি। দুই পক্ষ মিলেমিশে থাকতে চায়, তাই মিমকে তার শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেই।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি এবং তাদের থানায় ডেকে এনে বিষয়টি ফয়সালার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিন্মায় দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ওই তরুণী বাউফলের কালাইয়ার মিলন মিয়ার মেয়ে মিম আক্তার। আর ওই তরুণ উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম। গত এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা ঢাকায় থাকতেন। কামরুল ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঈদের আগের দিন কামরুল ও মিম ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। ঈদের দিন কামরুল তার স্ত্রীকে নিয়ে নিজের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা বললে মিম রাজি হয়নি। সে বলে, আমি কেন তোমার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবে, দরকার হলে তোমার মা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবে। পরে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলে তার স্ত্রী মিম তার পিছু নিলে রাস্তায় তাদের মাঝে মারামারি, ধস্তাধস্তি ও টানাটানির ঘটনা ঘটে।
৪৬ সেকেন্ডে ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে রাস্তায় এক তরুণীকে দফায় দফায় মারধর করছেন। সাদা পায়জামা ও কালো পাঞ্জাবি পরা এক তরুণ এক তরুণীর হাত ধরে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। ওই তরুণের পেছনের দিকে পাঞ্জাবি অর্ধেক ছেড়া। হেঁটে যাওয়ার একপর্যায়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে তরুণীকে কিলঘুষি মারছেন তরুণ। সেই সঙ্গে চুল ধরে টানাটানিসহ দফায় দফায় তরুণীকে বিভিন্নভাবে আঘাত করে ফেলে দিচ্ছেন। রাস্তায় বহু মানুষ চলাচল করলেও তরুণীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে না কেউ।
ছাদ থেকে লাফ দিয়ে ইউটিউবার তরুণ-তরুণীর আত্মহত্যা
ভারতে একটি বহুতল ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দীর্ঘদিনের লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা তরুণ-তরুণী। পেশায় তারা দুজনই ইউটিউবার ছিলেন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
জানা গেছে, দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার বাহাদুরগড়ের একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্টের সাত তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা গরভিত (২৫) ও নন্দিনী (২২) জুটি। দুজনেই কনটেন্ট ক্রিয়েটর ছিলেন, তাদের নিজস্ব চ্যানেল চালাতেন এবং ইউটিউব এবং ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মের জন্য শর্ট ফিল্ম তৈরি করতেন। কয়েকদিন আগে দেরাদুন থেকে বাহাদুরগড়ে উঠেছিলেন এই জুটি। রুহিলা রেসিডেন্সির সপ্তম তলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন তারা, যেখানে তারা তাদের পাঁচ সতীর্থকে নিয়ে থাকতেন তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকাল ৬টা নাগাদ আত্মঘাতী হন ওই দম্পতি। শুটিং শেষে দেরি করে বাড়ি ফেরেন তারা, অজ্ঞাত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এরপর এ ঘটনা ঘটায় তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তবে এই দম্পতি চরম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
একটি ফরেনসিক দলও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়, তারা দম্পতির সিদ্ধান্তের দিকে পরিচালিত পরিস্থিতি তদন্তের জন্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। ঘটনাটি কেন ঘটেছে তা বোঝার জন্য ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগবীর বলেন, আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানুষের সেবা করাই হোক নতুন বছরের অঙ্গীকার : জয়
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি।
জয় লিখেছেন, সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। সকল প্রকার ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে থেকে মানুষের সেবা করাই হোক নতুন বছরে আমাদের অঙ্গীকার।
এদিকে, এক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীকে ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’-এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আসুন, নতুন বছরে অতীতের সকল ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পিছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বর্ষ পরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সকল ভাই-বোনকে জানাই বঙ্গাব্দ ১৪৩১-এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।
কবি সুফিয়া কামালের ভাষায় উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন-
‘পুরাতন গত হোক! যবনিকা করি উন্মোচন
তুমি এসো হে নবীন! হে বৈশাখ! নববর্ষ!
এসো হে নতুন।’
শুভ নববর্ষ।
হঠাৎ উধাও ফেসবুকের টাইমলাইন
ফেসবুকে নিজের বা কোনো বন্ধুর প্রোফাইলে ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে একটি লেখা, ‘নো পোস্ট অ্যাভেইলবল’। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে ব্যবহারকারীরা এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তবে ঠিক কী কারণে এই সমস্যা সে সম্পর্কে এখনো কিছুই জানা যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, ফেসবুকের সার্ভারে কারিগরি সমস্যার কারণে সাময়িকভাবে এমনটা হয়েছে। যা কিছু সময়ের মধ্যেই সমাধান হবে। তার আগে নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল, এই মর্মে পোস্ট দিচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা। অধিকাংশরই কথা একই। টাইমলাইনে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।আপনাদেরও কী একই সমস্যা?
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিমন আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে আমার এক বন্ধু কী ছবি পোস্ট করেছে, তা দেখতে তার প্রোফাইলে যাই। কিন্তু গিয়ে দেখি কোন পোস্ট নাই। তাকে ফোন দিলে বলে, সে পোস্ট রিমুভ করে নাই। পরে আরেকজনের কাছে শুনে দেখি তারও একই অবস্থা।
একই সুর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মাহমুদের কথাতেও। তিনি বলেন, মোবাইলে ফেসবুক ব্যবহার করার সময় দেখি টাইমলাইন থেকে সব উধাও। কী আজব ব্যাপার! অন্যদের পোস্ট দেখে জানতে পারি, আসলেই সমস্যাটি হয়েছে।
প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সাইট থেকে জানা যায়, মাঝেমধ্যেই এমন ত্রুটি দেখা দেয় ফেসবুকে। তবে তা আবার দ্রুত ঠিকও হয়ে যায়। আশা করা যাচ্ছে, এবারও তেমনটাই হবে।
বারের সামনে চুলোচুলি, ভাইরাল সেই ৩ নারী গ্রেপ্তার
রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে সম্প্রতি কয়েকজন নারীর চুলোচুলি ও মারামারির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
গ্রেপ্তার তরুণীরা হলেন- শারমিন আক্তার মিম, নুসরাত আফরিন বৈশাখী ও ফাহিমা ইসলাম।
হারুন অর রশীদ বলেন, বারের সামনে কয়েকজন নারীর মধ্যে হাতাহাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করেন।পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত ৩ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে, গত ১৪ এপ্রিল বারের সামনে সাদা পোশাক পরা নারী ও লাল শাড়ি পরা এক নারীর মধ্যে হাতাহাতির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এতে দেখা যায়, হাতাহাতির সময় চিৎকার করছিল নারীরা। কয়েকজন পুরুষ তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
বন্ধুর স্ত্রীকে শাড়ি উপহার দিয়ে সমালোচনার মুখে ব্যারিস্টার সুমন
ত্রাণভাণ্ডারের শাড়ি দুই বন্ধুর স্ত্রীকে উপহার দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট ও মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন।
জানা গেছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৪০০টি শাড়ি, ৪৮টি থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক বরাদ্দ পান হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক। যা ছিল তার নির্বাচনি এলাকার গরিব ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য। সেখান থেকে সুমন তার এসএসসি-৯৫ ব্যাচের আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের গাদি শাইল গ্রামের পশু চিকিৎসক আব্দুল মুকতি ও গেরারুক গ্রামের মো. সানু মিয়ার স্ত্রীকে শাড়ি দেন। এরপর তার বন্ধু সানু আহমেদ ও আব্দুল মুকতি এ শাড়ি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, যা সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
সানু আহমেদ তার পোস্টে লিখেছেন, ব্যারিস্টার সুমনের দেওয়া আমার বউয়ের জন্য যাকাতের সুতি শাড়ি, যার বাজার মূল্য প্রায় ২৮০ টাকা। পিএস সোহাগের কারসাজি। আমার বউ এসব শাড়ি পরে না। আগামীকাল একজন অসহায় মানুষ দেখে শাড়িটি দিয়ে দিব। আর দুলালের কথায় কেন ৯৫ বন্ধু শুনতে হবে!?
অপর বন্ধু আব্দুল মুকতি লিখেছেন, ঈদের আগের রাত ১২টার সময় আমার বউয়ের জন্যে শাড়িটি পাঠাইছে ব্যারিস্টার সুমন, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হানের মাধ্যমে। তবে ব্যারিস্টার সুমন হয়তো জানে না, সেটা নিখুঁত পরিচালনা করেছে পিএস সোহাগ। বাড়িতে নিয়ে খুলে দেখি, এটা যাকাতের শাড়ি, ততক্ষণাৎ ফেরত পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা না না-পেয়ে, যাদের জন্য যাকাত খাওয়া প্রযোজ্য এমন একজন অসহায় মহিলাকে দান করে দিলাম। যারা আমার পোস্টে নেগেটিভ কমেন্ট করেছেন, তাদের কাছে বলছি, চোখের পানি আর বুক ফাটা কান্না কি এমনি এমনি আসে!?
এরপর ওই পোস্টে নানা ধরনের মন্তব্য শুরু হয়। শফিকুর রহমান সাপু নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, শুরুতেই এ অবস্থা না জানি ৫ বছরে কি হবে।
রিপন আমিন লিখেছেন, আপনি যথেষ্ট স্বাবলম্বী। যাকাতের শাড়ি কেন আপনার বউ পাবে? আপনিই বা কেন নিতে যাবেন? আপনার কি ভাবির জন্য শাড়ি কেনার তৌফিক নেই। দামী শাড়ি হলে বিষয়টা সোস্যাল মিডিয়ায় না এনে নীরবে ভাবিকে গিফট করতেন। এখানে দু’জনই সমান অপরাধী। আপনি কেন নিলেন? সোহাগ ভাই কেন দিলেন?।
হযরত আলী নামে এক মন্তব্য করেছেন, দুই নাম্বারি চলছে। আলী আক্কাস নামে আরেক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, সরকারি শাড়ি নিজের মানুষ মনে করে দিয়েছেন সুমন ভাই।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক গণমাধ্যমে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে গত ২০ বছর আমার আসনের কোনো সংসদ সদস্য তা প্রকাশ করেননি। এবার প্রথম আমি এই তালিকা জনগণের মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকাশ করি। প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার আমার দুই উপজেলায় বিতরণের জন্য যাদের দায়িত্ব দেই, তাদের একজন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান। তিনি তার এক বন্ধুর স্ত্রীকে এ শাড়ি বিলি করেন। আবার তারাই একই শাড়ি অন্যজনকে দিয়ে ফেসবুকে এ প্রচারণা চালান। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, একটা পক্ষ আছে, যারা আমার ত্রুটি খুঁজে বেড়ায়। এ পক্ষই এখন এ শাড়ি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।