• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রেড ক্রিসেন্টের নতুন চেয়ারম্যান এম ইউ কবীর চৌধুরী
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী। ২৮ এপ্রিল থেকে আগামী তিন বছর সংগঠনটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আদেশ, ১৯৭৩ (রাষ্ট্রপতির ১৯৭৩ সনের ২৬ নং আদেশ-এর ১০ (১) আর্টিকেল এ বর্ণিত ক্ষমতাবলে অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরীকে ৩ (তিন) বছর মেয়াদে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব স্নেহাশীষ দাশ স্বাক্ষরিত অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরীকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ১৯৭৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং একই কলেজে ১৯৭৬ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীকালে তিনি ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি থেকে এক্সিলেন্ট গ্রেডে চর্ম ও যৌনরোগে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন।  অতঃপর গ্লাসগো রয়েল কলেজ ফেলোশিপ সনদ এবং আমেরিকান কলেজ অব এনজিওলজি থেকে এ্যাসোসিয়েট ফেলো নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজির আর্ন্তজাতিক ফেলো হিসাবে সংযুক্ত আছেন এবং প্রতি বছর আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন।  তিনি লন্ডনের সেন্টথমাস হসপিটালে স্কিন প্যাথলজি, আমেরিকার হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে লেজার ও দিল্লির এইমস থেকে স্কিন সার্জারিসহ স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কানাডার অটোয়া ইউনিভার্সিটি ও আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব মিসিসিপি মেডিকেল সেন্টারে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসাবে বিভিন্ন সময়ে পাঠদান করেন। বর্তমানে তিনি এম. এইচ. শমরিতা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। উল্লেখ্য, তিনি ২০০৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র চিকিৎসক হিসাবে কানাডার অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ‘Kabir’s Dermatology in Practice’ ও ‘A Treatise on Topical Corticosteroids in Dermatology’ সহ অনেক প্রসিদ্ধ গ্রন্থের প্রণেতা। তিনি বৃক্ষমানব খ্যাত আবুল বাজানদারের চিকিৎসায় অন্যতম স্কিন ও লেজার সার্জন হিসাবে অংশগ্রহণ করেন এবং জটিলরোগের সফল চিকিৎসা করে বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেন।   সোসাইটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী ১৯৫১ সালের ৩০ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা গোলাম কাদির চৌধুরী ও মা রোকেয়া কাদির চৌধুরী।  তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ভাটিপাড়া ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা প্রদান করার পাশাপাশি শহীদ মুক্তিযোদ্ধার জানাজা ও সমাধির ব্যবস্থা করেন।  তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসাবে দায়িত্বরত অবস্থায় বঙ্গবন্ধু পরিবারের আহত সদস্যদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। চিকিৎসাবিদ্যায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক ডা. এম. ইউ. কবীর চৌধুরী ২০২০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।  এছাড়া তিনি ভারতের অল ইন্ডিয়া মহাত্মা গান্ধী ইন্সস্টিটিউট অব কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২৩ সালে ‘মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার’ লাভ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন। সর্বোপরি, অধ্যাপক ডা. এম. ইউ. কবীর চৌধুরী প্রায় ৫০ বছরের কর্মজীবনে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজসহ ঢাকার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে বিনামূল্যে পাঠদান করেন। তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একজন আজীবন সদস্য।
১৫ ঘণ্টা আগে

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদের নতুন কমিটি গঠন
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদে গঠিত হলো ব্যবস্থাপনা পর্ষদের নতুন কমিটি। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহাবের অনুমতিক্রমে অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন ব্যবস্থাপনা পর্ষদের বিদায়ী কমিটির সদস্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। নতুন ব্যবস্থাপনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল। ট্রেজারার পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম। ২০২৪-২০২৬ মেয়াদে ব্যবস্থাপনা পর্ষদ এর সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত হন মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল, এ্যাড. সোহানা তাহমিনা, মো. মস্তাক আহমদ পলাশ, রবীন্দ্র মোহন সাহা (রবি), মো. আব্দুল হামিদ, এ্যাড. মাহাবুবার রহমান তালুকদার, রাজিয়া সুলতানা লুনা, আলহাজ্ব গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু, এ্যাড. শিহাব উদ্দিন শাহিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নূর মোহাম্মদ (দুলু), মফিজুর রহমান বাবলু, রেহানা আশিকুর রহমান। আগামী তিন বছরের জন্য সোসাইটির পরিচালনা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম পরিচালনায় ভূমিকা রাখবেন নতুন এই ব্যবস্থাপনা পর্ষদ।  বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং সারাদেশে রেড ক্রিসেন্টের ৬৮টি ব্রাঞ্চের মধ্যে ৬৭টি ব্রাঞ্চের নির্বাচিত ডেলিগেটদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয় নতুন এই কমিটি। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বরগুনা জেলা রেড ক্রিসেন্ট এর সেক্রেটারি ও ডেলিগেট অ্যাড. মো. আবদুল মোতালেব মিয়া এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খুলনা জেলা রেড ক্রিসেন্ট এর সেক্রেটারি ও ডেলিগেট মকবুল হোসেন মিন্টু এবং চুয়াডাঙ্গা রেড ক্রিসেন্ট এর সেক্রেটারি ও ডেলিগেট মো. শহিদুল ইসলাম শাহান। রাষ্ট্রপতির ১৯৭৩ সালের ২৬নং আদেশের ধারা ৯ (১) অনুযায়ী তিন বছর মেয়াদে এই ব্যবস্থাপনা পর্ষদ বা ম্যানেজিং বোর্ড গঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে ও সেবার পরিধি বাড়াতে প্রতি তিন বছরের জন্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হয় সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ। সোসাইটির অর্ডিনারি সাধারণ সভা (ওজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহাব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, সোসাইটির মহাসচিব, উপ-মহাসচিব, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকবৃন্দ, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস এন্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজের (আইএফআরসি) হেড অব ডেলিগেশন অ্যালবার্টো বোকানেগ্রা ও বিভিন্ন পার্টনার ন্যাশনাল সোসাইটির প্রতিনিধিবৃন্দ।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৬

রেড ক্রিসেন্ট’র স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
নানা আনুষ্ঠানিকতায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।  স্বাধীনতার ৫৩ বছর পুর্তির এ আয়োজনের মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা ও রেড ক্রিসেন্ট পতাকা উত্তোলন, জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, হাসপাতালে রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ ও রক্ত সংগ্রহ কার্যক্রম। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৯টায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর-উর-রহমান ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য সিকদার নূর মোহাম্মদ দুলু। সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম উত্তোলন করেন রেড ক্রিসেন্ট পতাকা। পরে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।  মো. নূর-উর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত করতে প্রত্যেককে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। মহান স্বাধীনতা দিবসে রেড ক্রিসেন্টকে একটি আদর্শ মানবিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে যুব-স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।  এ সময় সামাজিক অবক্ষয়ের এই সময়ে যুব স্বেচ্ছাসেবকদের সততার সঙ্গে কাজ করে আগামী প্রজন্মের জন্য দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পরামর্শ দেন সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য সিকদার নূর মোহাম্মদ দুলু।  মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, উন্নতির সবগুলো সূচকেই বাংলাদেশের অগ্রগতি দৃশ্যমান। উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এ ধারা অব্যাহত রেখে আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ দেশ গড়াই হোক আমাদের অঙ্গীকার।  দিবসটি উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতায় সোসাইটির উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন। সোসাইটির সদর দপ্তরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন সোসাইটির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও যুব-স্বেচ্ছাসেবকরা।  এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের মাঝে উন্নত খাবার বিতরণ করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে রক্ত সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।  
২৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৪

মস্কোর রেড স্কয়ারে ভাষণ দিলেন পুতিন
নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর মস্কোর রেড স্কয়ারে ভাষণ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেইনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখলের দশম বর্ষপূর্তিতে রেড স্কয়ারে জড়ো হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, আপন দেশের সৈকতে ফিরে এসেছে এই উপদ্বীপ। রুশ বাহিনীর দখল করা দনবাস এবং ইউক্রেইনের অন্যান্য অংশকেও ‘নতুন রাশিয়ার’ অংশ বলে বর্ণনা করেছেন পুতিন। উপস্থিত লোকজন এ সময় রাশিয়া, রাশিয়া ধ্বনিতে স্লোগান দেয়। পুতিনের সংক্ষিপ্ত ভাষণের পর জাতীয় সংগীত গওয়া হয়। এরপর পুতিন উপস্থিত জনতাকে নির্বাচনে জয় এনে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। এরপর শুরু হয় কনসার্ট। কনসার্ট শেষ হয় দেশাত্মবোধক গান এবং কবিতার মধ্য দিয়ে। পুতিন ভাষণে বলেন, ক্রাইমিয়া হচ্ছে, সর্বোপরি এর জনতা। সেভাস্তোপোল এবং ক্রাইমিয়ার জনগণ আমাদের গর্ব। রেড স্কয়ারের সমাবেশে তিনি জানান, রোস্তভ থেকে অধিকৃত দোনেৎস্ক, মারিউপোল এবং বারদিয়ানস্ক পর্যন্ত রেলওয়ে লাইন দক্ষিণ এবং পূর্ব ইউক্রেইনে নতুন করে চালু করা হয়েছে। এখন সেটি ক্রাইমিয়ার বন্দরনগরী সেভাস্তোপোল পর্যন্ত বাড়ানো হবে। ক্রাইমিয়া ১০ বছর আগে রাশিয়া দখল করে নিলেও উপদ্বীপটি আন্তর্জাতিকভাবে ইউক্রেইনের অংশ হিসাবে স্বীকৃত। পুতিন তার ভাষণে রাশিয়ার রেস্তোভ-অন-ডন থেকে ক্রাইমিয়ায় নতুন রেলওয়ে চালুর ঘোষণা দেন। ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখল করে রাশিয়া। রাশিয়ার মূল ভূখন্ড থেকে ক্রাইমিয়া পর্যন্ত একটি সেতু চালু হয় ২০১৮ সালে। কিনতু ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সেতুটি বারবার হামলার শিকার হয়েছে। এই রেলওয়ে হবে সেই সেতুরই বিকল্প পথ। রেড স্কয়ারে জনতার উদ্দেশে পুতিন বলেন, আমরা এভাবেই একসঙ্গে হাতে হাত ধরে এগিয়ে যাব। এটি কথায় নয় কাজে করে দেখানো হবে। এতে সত্যিই মজবুত হব আমরা।
১৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৬

নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করেছে রেড ক্রিসেন্ট
যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা ও রেড ক্রিসেন্ট পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ভবনে আলোকসজ্জা, শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। দিবসটি উপলক্ষে রোববার সকাল ৯টায় সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে জাতীয় পতাকা এবং রেড ক্রিসেন্ট পতাকা উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম জাতীয় পতাকা ও ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান রেড ক্রিসেন্ট পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় সোসাইটির বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালকবৃন্দসহ সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং যুব-স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন। পতাকা উত্তোলনের পরপরই জাতীয় সদর দপ্তর চত্বরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। তারই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ আজ উন্নত বিশ্বের কাতারে এগিয়ে যাওয়ার যে স্বপ্ন দেখছে, তা বাস্তবায়নে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে। পরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান সোসাইটির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। এদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের আয়োজনে জাতীয় সদর দপ্তরের শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সোসাইটির মহাসচিব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আজকের শিশুদের প্রস্তুত করতে হবে। প্রতিযোগিতা শেষে দুটি বিভাগে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।  পরে ঢাকা রক্ত কেন্দ্রের উদ্যোগে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টসহ সারাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল সদস্যের আত্মার শান্তি কামনায় আয়োজন করা হয় বিশেষ দোয়া মাহফিলের। এছাড়াও দেশের ৬৪ জেলার ৬৮টি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট পৃথক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করে।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৩

রাষ্ট্রায়ত্ত চারটিসহ ৯ ব্যাংক রেড জোনে
ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে চারটিরই আর্থিক অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। এর ফলে ব্যাংক চারটি রেড জোনে পড়েছে। এছাড়া দেশের ৪টি বেসরকারি ব্যাংক ও বিদেশি একটি ব্যাংক আছে এ তালিকায়। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকস হেলথ ইনডেক্স (বিএইচআই) অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি বিভাগ অর্ধবার্ষিক পারফরেমেন্সের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করছে। রেড জোনে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক হলো- বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংক। এছাড়া বেসরকারি খাতের চারটি ব্যাংকও রয়েছে এ জোনে। এগুলো হলো- পদ্মা ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও এবি ব্যাংক। এ ছাড়া রেড জোনে পড়েছে  বিদেশি ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইয়েলো জোনে আছে ২৯টি ব্যাংক এবং গ্রিন জোনে আছে ১৬টি ব্যাংক। গ্রিন জোন সূচকের দিক থেকে ভাল পারফরমেন্সকে বোঝায় এবং ইয়োলো জোন বোঝায় মধ্যবর্তী অবস্থানকে। গ্রিন জোনে থাকা ব্যাংকগুলো হলো- প্রাইম ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ব্যাংক আলফালাহ, ব্যাংক এশিয়া, সিমান্তো ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক, উরি ব্যাংক, এইচএসবিসি, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন , সিটি ব্যাংক এনএ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। অপরদিকে ইয়োলো জোনের ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ওয়ান ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক , এনআরবিসি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক।
১১ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৫

রেড ক্রিসেন্টের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস পালন
যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সাথে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় পতাকা ও রেড ক্রিসেন্ট পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে শুরু হয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। সদর দপ্তর ছাড়াও দেশের ৬৪ জেলায় ৬৮টি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে পৃথক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে দিবসটি। সকাল ৯টায় জাতীয় সদর দপ্তরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর-উর-রহমান এবং রেড ক্রিসেন্টের পতাকা উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সুলতান আহমেদ। পরে ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সোসাইটির বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালকবৃন্দসহ সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং যুব-স্বেচ্ছাসেবকরা। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মো. নূর-উর-রহমান বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তির আন্দোলনের আলোকবর্তিকা। এই ভাষণই মূলত এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে অনুপ্রাণিত করেছে। আজ বিশ্ব পরিমন্ডলে এই ভাষণ ঐতিহাসিক ভাষণ হিসেবে স্বীকৃত এবং জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত।” সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সুলতান আহমেদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ আজও একইভাবে আমাদের উজ্জীবীত করে এবং প্রেরণা যোগায়। আমরা যেন সেই প্রেরণা নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের স্বার্থে কাজ করি।” পরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন রেড ক্রিসেন্টের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং যুব-স্বেচ্ছাসেবকরা।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৫

সবুজ পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকারে যুব রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্প
‘তরুণ নেতৃত্বে হোক সবুজ পৃথিবীর অঙ্গীকার' প্রতিপাদ্যে গাজীপুরের মৌচাকে শুরু হলো জাতীয় সদর দপ্তর যুব রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্প ২০২৪। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রায় সাড়ে ৪শ’ যুব স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেয় এতে। তিন দিনব্যাপী এই ক্যাম্প চলবে আগামী ৫ মার্চ ২০২৪ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত। রোববার (৩ মার্চ) সকালে জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাঠে ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য মোহাম্মদ আতিকুল হক শামীম। স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রকৃতি সংরক্ষণের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরিতে রেড ক্রিসেন্ট অঙ্গীকারবদ্ধ। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও বন উজাড়ের বিরূপ প্রভাবের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনে সংঘঠিত দুরযোগ মোকাবিলায় যুব স্বেচ্ছাসেবকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কার্যকলাপের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে দেশব্যাপী সবুজায়ন আন্দোলন জোরদার করতে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।    স্বাধীনতার মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথমদিনের কর্মসূচী। পরে জাতীয় পতাকা ও রেড ক্রিসেন্টের পতাকা উত্তোলন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ কুচকাওয়াজে অংশ নেয় স্বেচ্ছাসেবকরা। মানবতার শক্তিতে উদ্ভাসিত হয়ে সবুজ পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকারে গ্রহণ করা হয় শপথ। 
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৬

রেড ক্রিসেন্টের গোলটেবিল  / দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান
‘দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পরিবর্তনশীল জলবায়ু অভিযোজন এবং সরকারের সহযোগী হিসেবে রেড ক্রিসেন্টের ভূমিকা’ শীর্ষক জাতীয় গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস)।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর লেক ক্যাসেল হোটেলে বিডিআরসিএস ও জার্মান রেডক্রসের সহযোগিতায় বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীদারদের উপস্থিতিতে এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন বিষয়ে রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলো অংশীদারদের অবহিত করা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং বিডিআরসিএসের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। সামগ্রিক দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে বেশকিছু সুপারিশ উঠে আসে বৈঠকে। একইসাথে জরুরী সাড়াদানে প্রতিবন্ধকতাসমূহ চিহ্নিত করে উত্তরণের উপায়ও খুঁজে বের করার বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। এসব সুপারিশসমূহ ভবিষ্যতে রেড ক্রিসেন্টের ভূমিকাকে আরো জোরদার করতে সক্ষম হবে। গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এটিএম আবদুল ওয়াহ্‌হাব বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ। দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারী বেসরকারী ও উন্নয়ন সংস্থাসমূহের সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি কারণ সমন্বয় ছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব নয়। আজকের এই সংলাপের মধ্য দিয়ে দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার হবে বলে আমি মনে করি।’ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান। উপকূলীয় এলাকায় সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্টের যুব স্বেচ্ছাসেবকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুর্যোগে সাড়া প্রদান করে যা সর্বমহলে প্রসংশিত উল্লেখ করে তিনি বলেন স্বেচ্ছাসেবার কোন বিকল্প নেই। শুধু সরকার নয়, প্রতিটি বেসরকারী ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে দক্ষ ও সুপ্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকদল গঠন করা গেলে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা অনেকটাই সহজ হবে বলে জানান তিনি। বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পরিচালক আহমাদুল হক, সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম, উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ, আইএফআরসি’র হেড অব ডেলিগেশন আলবার্টো বোকানেগ্রা, জার্মান রেড ক্রসের হেড অব ডেলিগেশন গৌরব রয়, সোসাইটির বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকবৃন্দ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ কৃষি আবহাওয়া তথ্য সেবা, পরিবেশ অধিদপ্তর, প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর, জাতিসংঘ ও এর অঙ্গসংস্থাসমূহ, বিশ্বব্যাংক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০১

রেড ক্রিসেন্টে চাকরির সুযোগ
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। প্রতিষ্ঠানটির প্রজেক্ট অফিসার পদে একাধিক লোকবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। যা যা প্রয়োজন- প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ৩টি শিক্ষাগত যোগ্যতা: ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বা সোশ্যাল সায়েন্স বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। অন্যান্য যোগ্যতা: দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৫ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক কর্মক্ষেত্র: অফিসে প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়) বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩৫ বছর বেতন: ৬০,০০০-৬৫,০০০ টাকা (মাসিক) অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী কর্মস্থল: ঢাকা, কক্সবাজার (কুতুবদিয়া) আবেদন যেভাবে: আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়