• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নোয়াখালীর দুই নাবিকের মুক্তিতে বাড়িতে স্বস্তি
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। নাবিকদের মধ্যে দুজন নোয়াখালীর— কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের নাবিক রাজু (২৭) ও চাটখিল উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদ (৪৩)। তাদের মুক্তিতে পরিবারে স্বস্তি ফিরেছে। স্বস্তি এলেও বাড়ি না-ফেরা পর্যন্ত উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে পরিবার। জানা গেছে, নাবিক রাজুর বাড়িতে এসে ঈদ করার কথা ছিল। ঈদের পর রাজুর বিয়ে উপলক্ষে নতুন ঘরের কাজও চলছে। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে রাজু সবার ছোট। গত বছরের নভেম্বরে শেষ দিকে রাজু সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে ওঠেন। এরপর প্রথম রমজান থেকে ছেলের জিম্মি দশায় পরিবারের সব চিত্র বদলে যায়। ঈদের দুইদিন পর রাজুর মুক্তিতে পরিবারে এখন আনন্দ বিরাজ করছে।     নাবিক রাজুর বাবা মাস্টার আজিজুল হক জানান, দীর্ঘ ৩২ দিন পর ছেলের মুক্তির খবরে আমরা পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরলাম। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে ২৩ নাবিককে উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাদের ধন্যবাদ।   অপরদিকে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে চাটখিলে নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদের ছোট পরিবার। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। ছালেহ গত বছর কর্মস্থলে ঈদ করেছেন। পরিবারের আশা ছিল এবার তাদের সঙ্গে ঈদ করবেন ছালেহ। কিন্তু স্বামী জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার খবরে স্বাভাবিক জীবন এলোমেলো হয়ে যায়। তিন মেয়েকে নিয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ তানিয়া আক্তার স্বামীর মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন। ঈদের দুইদিন পরে নাবিক ছালেহ’র মুক্তির খবরে স্বস্তি এসেছে তার মাঝেও। এখন স্বামীর ফিরে আসার প্রহর গুনছেন তিনি। তানিয়া আক্তার বলেন, সরকারের কার্যকর ভূমিকায় জলদস্যুদের জিম্মি দশা থেকে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের মুক্তিতে আমাদের সবার পরিবারের মাঝে স্বস্তি এসেছে। শঙ্কা কেটে সবার মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। তবে এখনও পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসবেন তারা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১২

জামিন পেলেন আদম তমিজী, মুক্তিতে বাধা নেই
সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন আদেশ দেন। আদালতে তমিজী হকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকির উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম। এর আগে, গত ৪ জানুয়ারি সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর দক্ষিণখান থানার মামলায় গ্রেপ্তার আদম তমিজী হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।  উল্লেখ্য, রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেন তমিজী। নিজেকে ইহুদি দাবি করে ইসরায়েলের সাহায্য চেয়েও ফেসবুক লাইভ করেন এই ব্যবসায়ী। এরই মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নিজের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি। ওই ঘটনার পর ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। গত ১৬ নভেম্বর আদম তমিজী হককে তার গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে আটক করতে যায় র‍্যাব। এ সময় আত্মহত্যার হুমকি দেন তিনি। এমনকি নিজের স্ত্রীকেও হত্যার হুমকি দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত কথা লেখার অভিযোগে আদম তমিজীর বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয় রাজধানীর দক্ষিণখান থানায়। পরে গত ১০ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।  কিন্তু তার আচরণ ও কথা অসংলগ্ন মনে হওয়ায় মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয় তাকে। আদালতে জানানো হয়, তমিজী হকের এলোমেলো কথাবার্তায় ডিবির মনে হয়েছে, তার চিকিৎসা প্রয়োজন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে জাতীয় মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় তমিজী হককে। মানসিক হাসপাতালে নয়জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে একটি বোর্ডও গঠন করা হয়।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৪

বিএনপি নেতা আলালের মুক্তিতে বাধা নেই
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে করা ছয় মামলার সবকটিতেই জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আর কোনো মামলা না থাকায় তার মুক্তিতে বাধা নেই। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল বিন আতিক তার জামিন মঞ্জুর করেন। মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি নেতা আলালকে আটক করার পর তাকে ছয় মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া তাকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এসব মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন করা হয়। তাকে কয়েকটি মামলায় হাজতি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সোমবার এগুলো প্রত্যাহারের আবেদন করব। আশা করি, সেদিনই তিনি কারামুক্তি পাবেন। গত ৩১ অক্টোবর শাহজাহানপুরের একটি বাসা থেকে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গত ১ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে ডিবি ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। এরপর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আরও পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে এসব মামলায় তার জামিন চাইলে আদালত মঞ্জুর করেন।  
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়