• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পরীক্ষা স্থগিত করল বুয়েট
ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাগুলো স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বুয়েট প্রশাসন। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে কবে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বুয়েট প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঈদ ও নববর্ষের ছুটির পর গত বুধবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ওই ব্যাচের ১ হাজার ২৭৯ জনের মধ্যে মাত্র ৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এই ৮ জনের মধ্যে আবার ৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বৃহস্পতিবার ২২তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৩০৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কোনো শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অংশ নেননি। আজও ২০ ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী অংশ নেননি। তাছাড়া ঈদের আগে অনুষ্ঠিত কয়েকটি পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী অংশ নেননি। শিক্ষার্থীরা কোনো পরীক্ষায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশ না নেওয়ায় বুয়েট প্রশাসন আজ এই সিদ্ধান্ত নিলো।  প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ  মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকেই বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি। যার পরিপ্রেক্ষিতে তার হলের সিট বাতিল করে বুয়েট প্রশাসন। পরে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে গেলে সিট ফেরত দিতে ও ছাত্ররাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে দৃশ্যমান আন্দোলন না করলেও পরীক্ষা বর্জন করে যাচ্ছেন।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১১

সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে বুয়েট শিক্ষক সমিতির উদ্বেগ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বুয়েট শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ। সোমবার (৮ মার্চ) বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম মনজুর মোরশেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ মার্চ থেকে উদ্ভূত ঘটনাবলিতে (রাত্রি দ্বিপ্রহরে একটি ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের বুয়েট ক্যাম্পাসে অনাহুত আগমন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ দাবি, সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বুয়েটছাত্রের বহিষ্কার দাবি, উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে যথাযথ আচরণ না করা, টার্ম-ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন, ১ এপ্রিল হাইকোর্ট কর্তৃক বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধে জারিকৃত আদেশ স্থগিতকরণ, শিক্ষার্থীদের অব্যাহত আন্দোলন এবং একাডেমিক কার্যক্রমে স্থবিরতা) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (প্রবিশিস) উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে কিছু পর্যবেক্ষণ সন্নিবেশ করছে- প্রথমত, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রেজিস্ট্রারের। সবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানানো যাচ্ছে। নিষিদ্ধ-ঘোষিত সংগঠনের ইমেইল প্রেরণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এ ব্যাপারে জাতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণের আহ্বান জানাচ্ছি। দ্বিতীয়ত, সাংগঠনিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে দেওয়া জরুরি বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করার যে রায় গত ১ এপ্রিল হাইকোর্টে দিয়েছেন তার বিপরীতে আপিল করার বিষয়টিতে প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগী হবেন এবং এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতি সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। তৃতীয়ত, ২০১৯ পরবর্তী বছরগুলোতে বুয়েটে শিক্ষা কার্যক্রম অবাধে চলেছে এবং সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ বজায় ছিল। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা, নিরাপদ রাখা, বিদ্যাচর্চা অক্ষুণ্ণ রাখা ইত্যাদি আমাদের সবার দায়িত্ব। শিক্ষক সমিতি এমন পরিবেশই প্রত্যাশা করে। এমন অবস্থায় বর্তমান অচলাবস্থা নিরসন এবং স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবি জানাচ্ছে শিক্ষক সমিতি। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং নিষ্কলুষ ক্যাম্পাস আমাদের সবার কাম্য। সব অংশীজনের সহযোগিতা ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে অচিরেই সে অবস্থা ফিরে আসবে বলে শিক্ষক সমিতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫১

বুয়েট শিক্ষার্থী দীপের হত্যাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা!
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভক্তির সুযোগ নিয়ে আবারও বিভিন্ন গ্রুপে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বুয়েটে নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীরা। সম্প্রতি ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পক্ষে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়ার পাশাপাশি বুয়েটে মৌলবাদী শক্তির হামলায় নিহত আরিফ রায়হান দ্বীপকে কেন্দ্র করে গুজব ও ঘৃণামূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে তার হত্যার ন্যায্যতা প্রমাণ করে বেশ কিছু পোস্ট করা হয়েছে ‘বুয়েটে আড়িপেতে শোনা’ নামের ফেসবুক গ্রুপে। ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলে দীপের মাথায় ও পিঠে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ওই বছরের ২ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আর এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন মেজবাহ নামের উগ্রবাদী বুয়েটের এক শিক্ষার্থী। যিনি হেফাজতে ইসলামের সমর্থক ছিলেন বলে জানা গেছে।    দীপের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল রাজনীতির সক্রিয় কর্মী ছিলেন দীপ। তাকে হত্যার আগে বিভিন্নভাবে তার নামে ও প্রগতিশীল রাজনীতির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুৎসা রটানো হয়। আর এরপরই তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। একইরকম ঘটনা ঘটেছিল বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ও তৎকালীন ছাত্রলীগের তন্ময় আহমেদের সঙ্গেও। ২০১৩ সালে তিনিও শিবিরের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তন্ময় আহমেদ জানান, হামলার আগে তার বিরুদ্ধেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন গুজব ও উসকানিমূলক লেখালেখি শুরু হয়েছিল। সাম্প্রতিককালে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বিরোধী তৎপরতা শুরু হলে আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠে বুয়েটে গোপনে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করা ছাত্র শিবির, হিযবুতসহ মৌলবাদী গোষ্ঠী। তারা অবস্থান নেয় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে। তবে বিচারবিভাগের আদেশের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে ছাত্র রাজনীতির পক্ষে বুয়েটের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা সরব হলে মৌলবাদী গোষ্ঠীর নিশানায় উঠে আসে তারা। এর মধ্যে আরিফ রায়হান দ্বীপকে হত্যা নিয়ে সকল পক্ষের শিক্ষার্থীরা যখন সরব এবং এ ধরণের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সকল শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলনে একাতাবদ্ধ হয়ে মৌলবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তখনই মৌলবাদী গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ সময় আবারও দ্বীপকে নিয়ে নানা ঘৃণামূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফেসবুক পোস্ট করতে থাকে তারা। (এই লিংকে একাধিক পোস্ট রয়েছে: https://drive.google.com/drive/folders/159x4fHVZHSlniOU5zUjdb3klUJJM_T-h?usp=sharing ) বুয়েটের আড়িপেতে শোনা গ্রুপের একটি পোস্টে দেখা যায়, আরিফ রায়হান দ্বীপকে নির্যাতনকারী হিসেবে চিহ্নিত করে, তার মৃত্যুতে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা রক্ষা পেয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়। এই পোস্টটি ছিল অ্যানোনিমাস। ঠিক তেমনি অ্যাননিমাস অপর এক পোস্টে বলা হয়, হেফাজতের জন্য খাবার তৈরি করা ইমামকে বহিষ্কারের পেছনে দ্বীপের যেই ভূমিকা ছিল, তার জন্য তাকে যে হত্যা করা হয়েছে সেটা হওয়ারই ছিল। শাহবাগ আন্দোলনকালে মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রগতিশীল ছাত্রদের যেই জোট কাজ করেছে, সেখানে বুয়েট থেকে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল আরিফ রায়হান দ্বীপের। তাকে হত্যার এমন ন্যায্যতা প্রদান বিষয়ক পোস্ট বুয়েটিয়ানদের গ্রুপে কিভাবে অনুমতি পায় তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এই প্রগতিশীল জোটের সাবেক ছাত্রনেতারা। বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ফ্রন্টের তৎকালীন সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন বলেন, কোনো হত্যাকেই জাস্টিফাই করার কখনই সুযোগ নেই। বুয়েটে দ্বীপকে যেভাবে হত্যা করা হলো, সেটি আলোচনায়ও এলো না খুবভাবে। এটা আরও বেশি আলোচনা হওয়া দরকার ছিল। ওই সময় সারাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি যেভাবে আক্রমণ করছিল, তার মধ্যে মৌলভীবাজারেও ছাত্রফ্রন্টের নেতার ওপর হামলা হয়েছিল। আরও অনেক হামলার ঘটনা ঘটেছিল। একটা প্যানিক তৈরি করা হচ্ছিল, যাতে মৌলবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমন করা যায়, ভয় দেখানো যায়, শাহবাগ কেন্দ্রিক মানুষের যে ঢল, তরুণ, যুবকদের ঢল তারা যাতে ভয় পায় সে চেষ্টা চলছিল।  ‘যদি ধরেও নেই, হেফাজতের জন্য খিঁচুড়ি রান্নার ঘটনায় দ্বীপের প্রতিবাদের কারণে ইমামকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে, সেটি অনৈতিক কিছু না। ২০০১ সালে ইকসু নির্বাচনের পরে ইকসুতে ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্ব ছিল। প্রত্যেক ক্রিয়াশীল সংগঠন সেখানে ছিল। ইকসু ও প্রত্যেক ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন বসে আমরা লিখিত একটা রেজ্যুলিউশন নিয়ে এসেছিলাম, বুয়েটে কোনো মৌলবাদী সংগঠন কাজ যাতে না করতে পারে। ইকসু দ্বারা লিখিত একটা স্টেটমেন্ট ছিল বুয়েটে মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আমরা এলাউ করব না। এরকম একটা জায়গায় যদি হেফাজতে ইসলাম, যারা একটা মৌলবাদী গোষ্ঠী তাদের জন্য বুয়েটকে ব্যবহার করে, তাদের জন্য কেউ যদি খিঁচুড়ি রান্না করতে চায় বা করেও সেটা কেন একজন সচেতন ছাত্র প্রতিবাদ করবে না। অবশ্যই করা উচিৎ। সে যদি এ কারণে প্রতিবাদ করে সেটির ন্যায্যতা দেওয়া উচিৎ। কারণ ওর প্রতিবাদ যৌক্তিক ছিল। এটাকে কেন্দ্র করে কেউ যদি তার হত্যাকে জাস্টিফাই করতে চায় তাহলে এর চেয়ে ন্যাক্কারজনক অবস্থান হতে পারে না। যারা এ কথা বলছে, তারা কোন চিন্তার মানুষ কিভাবে এটা ভাবে তা আমি জানি না। একটা হত্যাকে জাস্টিফাই করছে।’ ছাত্র মৈত্রীর তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, দ্বীপের হত্যাকাণ্ডকে কোনোভাবেই জাস্টিফাই করা যায় না। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ যদি বলে ওই হত্যা প্রয়োজন ছিল বা ন্যায়সঙ্গত ছিল তাহলে তার মস্তিষ্ক বিকৃত। কোনো হত্যাকাণ্ডই কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ যদি ন্যায়সঙ্গত বলে সে সুস্থ মানুষ নয়। ওই সময় আমার বাসায়ও জঙ্গি হামলা হয়েছিল। তারা একটা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। করেছিলও। শাহবাগ আন্দোলনে ‘স্লোগান কন্যা’ হিসেবে পরিচিত পাওয়া বামপন্থি ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি লাকী আক্তার বলেন, শাহবাগ আন্দোলনের সময় একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এই দ্বীপ হত্যাকাণ্ড। এটা প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ওপর একটি আঘাত। তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। মৌলবাদী সংগঠন কর্তৃক নৃশংস হত্যার ঘটনা দেখা গেছে অনেক জায়গায়। বুয়েটের ছাত্র রাজনীতির যে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে, মৌলবাদের উত্থান ঘটেছে, এটা তারই একটি চিত্র। এ জন্য আমরা বলেছি, মৌলবাদী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে শিবিরের রাজনীতিও আমরা নিষিদ্ধ চাই। এটা আমাদের পুরোনো দাবি। কোনো হত্যাকে জাস্টিফাই করার সুযোগই নেই। বরঞ্চ এ ঘটনা যখন ঘটেছে, এর মধ্য দিয়ে ওইখানকার মৌলবাদ বা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের যে বক্তব্য ছিল, তাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা ছিল খুবই নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা। এটা মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই। দ্বীপ হত্যাকাণ্ড বা তন্ময় আহমেদকে হত্যার উদ্দেশ্যে যে নৃশংস হামলা হয়, তার আগে যেভাবে তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও উস্কানিমূলক ছড়িয়ে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে। ঠিক একইভাবে বর্তমানে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির পক্ষে থাকাদের নিয়ে ঘৃণামূলক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বুয়েটের আড়িপেতে শোনা ও শিবিরের বাঁশের কেল্লা গ্রুপে। প্রকাশ করা হচ্ছে তাদের ব্যক্তিগত পরিচয়। এসব পেজে এভাবে পরিচয় প্রকাশের কারণে জীবননাশের শঙ্কায় আছেন ওই সব শিক্ষার্থী ও সাবেক বুয়েটিয়ানরা। বুয়েটের আড়িপেতে শোনা গ্রুপে দেখা যায়, আন্দোলনে সাড়া না দিয়ে এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ায় তার নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে শিবিরের বাঁশের কেল্লা গ্রুপে দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীর পরিচয়, ব্যক্তিগত ঠিকানা বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সাংবাদিক শিবিরকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন, যার শিরোনাম ছিল ‘ইফতারের আড়ালে সক্রিয় হচ্ছে শিবির’।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৪

মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের যে বার্তা পাঠাল হিযবুত তাহরীর
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের ইমেইল দিয়েছে নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠন হিজবুর তাহরীর। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাতে এ মেইল পাঠানো হয়। মেইলটির শিরোনামে লেখা রয়েছে, ছাত্রলীগের আগ্রাসন থেকে আমাদের মেধাবী সন্তানদের কে নিরাপত্তা দেবে? সেখানে আরও বলা হয়, বর্তমানে বুয়েট ক্যাম্পাস সরকারের গুন্ডাবাহিনী দ্বারা পদদলিত হচ্ছে। সরকার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার আভাস দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিকে দমন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইমেইলের শেষে হিজবুত তাহরীরের পক্ষ থেকে এ সরকারের বিরুদ্ধে সেনা হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়, যা এই উগ্রবাদী সংগঠনটি নিয়মিতই করে আসছে। এ প্রসঙ্গে এক ফেসবুক পোস্টে বুয়েটে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় আহমেদ লেখেন, কিছুক্ষণ আগে রাত ১২ টায় বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীদের হিজবুততাহরীরের খিলাফত প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে মেইল। একই সঙ্গে আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিশ্চিত করেছে হিজবুত তাহরীর। বুয়েট শিক্ষার্থীদের কাছে হিজবুত তাহরীরের ইমেইল নতুন কিছু নয়। অভিযোগ রয়েছে, বুয়েটে নীরবে জঙ্গি কার্যক্রম বা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে হিবুজত তাহরীর। এর আগেও এই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনটির পক্ষ থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক আউটলুক ইমেইলে পাঠানো হয়েছে হিযবুত তাহরীরের ইমেইল। প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইলে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার বার্তা পাঠানো হলেও সর্বশেষ তথ্য অনুসারে সকল শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর ধরে একাধারে প্রেরণ করা হয় এসব ইমেইল। এছাড়া বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির পক্ষে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্যাম্পাসের ভেতরে বেশ কিছু স্থানে হিজবুত তাহরীর কিউআর কোডসহ তাদের জিহাদি বার্তার পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছে যা নিয়ে কোন প্রতিবাদ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। গত ২৯ মার্চ থেকে ফের ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বুয়েটে আন্দোলন শুরু হয়। এ আন্দোলনের বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। যেখানে উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই।  এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয় গত ২৮ মার্চ। ছাত্রলীগের সভাপতি বুয়েটে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের কমিটি দিচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তার সঙ্গে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়। তবে তাদের পক্ষ থেকে বুয়েটে জামায়াতে ইসলামির ছাত্র সংগঠন শিবির ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের কার্যক্রম নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। পরে গণমাধ্যমে একপাক্ষিক আন্দোলন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন ও মৌলবাদী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে একাত্মতা প্রকাশ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের শুরুর দিকে গণমাধ্যমে প্রচারিত হিজবুত তাহরীর ও ছাত্র শিবির নিয়ে প্রকাশিত খবরকে অপপ্রচার বলে চালানোর চেষ্টা করেন বুয়েটের বর্তমান ও সাবেক কিছু শিক্ষার্থী। তারা এনিয়ে  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যও করে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৪

বুয়েট থেকেই শুরু হবে ছাত্রলীগের আধুনিক রাজনীতি : সাদ্দাম
বুয়েট থেকেই ছাত্রলীগের আধুনিক রাজনীতি শুরু হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।  বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব রাজনৈতিক সংগঠন ও তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এ রায়ে বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির বিজয় হয়েছে উল্লেখ করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, বুয়েটের মর্যাদা ধরে রেখে সুষ্ঠু ও  নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি শুরু করবে ছাত্রলীগ। প্রয়োজনে সব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদের সঙ্গেও আলাপ করে সাংস্কৃতি চর্চা শুরু হবে। ক্যালেন্ডার তৈরি হবে।  জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির আহ্বান জানিয়ে সাদ্দাম এরপর বলেন, বুয়েটের মর্যাদা ক্ষুণ্ন  হতে দেবে না ছাত্রলীগ। বুয়েট থেকেই শুরু হবে ছাত্রলীগের আধুনিক ও পরিবর্তিত রাজনীতি। বাইরে থেকে নেতৃত্ব তৈরি হবে না, নিজেরাই নেতৃত্ব করবে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। বুয়েট থেকে হবে মডেল ছাত্র রাজনীতির শুরু।  আলোচনা সাপেক্ষে ছাত্রলীগ বুয়েটে নিজেদের কমিটি দেবে উল্লেখ করে এ ছাত্রনেতা আরও বলেন, বুয়েটে কমিটি গঠনে তাড়াহুড়া নেই। শিক্ষক সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করে সুবিধাজনক সময়ে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হবে।  সংবাদ সম্মেলনে এরপর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। ঘোষণা অনুযায়ী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বীর আবাসিক হল ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বুয়েট শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রলীগ। আধুনিক, স্মার্ট, পলিসি নির্ভর নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সংগঠনটি। এরপর সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী ও জঙ্গীবাদী কালোছায়া থেকে বুয়েটকে মুক্ত করতে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া বুয়েটে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আলোচনায় বসা হবে প্রশাসনের সঙ্গে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৫

আদালতের রায়ের বিষয়ে যা বললেন বুয়েট উপাচার্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট স্থগিত করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সত্যপ্রসাদ মজুমদার বলেছেন, ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে হাইকোর্ট যা বলেছেন, তা আমাদের মানতে হবে।  সোমবার (১ এপ্রিল) এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। আদালতের আদেশের পর বুয়েট উপাচার্য বলেন, হাইকোর্ট আদেশে যা বলছেন তা আমাদের মানতে হবে। আদালতের আদেশ আমাদের জন্য শিরোধার্য। আমাদের আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করা যাবে না। আমরা এখনো হাইকোর্টের আদেশ পাইনি। আদেশ পেলেই আমরা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করব। বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা আজ সোমবার স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত। আদালতের এ আদেশের ফলে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা থাকছে না আর। ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েট কর্তৃপক্ষের দেওয়া ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’র বৈধতা নিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম আজ রিট আবেদনটি করেন। ইমতিয়াজ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৯

সুনসান নীরব বুয়েট ক্যাম্পাস, ক্লাসে নেই শিক্ষার্থী
ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসসহ ৬ দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুয়েট ক্যাম্পাস একেবারেই সুনসান নীরব। কোনো শিক্ষার্থীর আনাগোনা নেই। দু-একজন শিক্ষার্থীকে দেখা গেলেও তারা ব্যক্তিগত কাজে এসেছেন বলে জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিরাপত্তা প্রহরী বলেন, সকাল থেকে ক্লাসে কোনো শিক্ষার্থী আসেনি। গত তিন দিন ধরে এই অবস্থা চলছে। ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসসহ ৬ দফা দাবিতে গত শনিবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। রোববার বুয়েটের ২০তম ব্যাচের এক হাজার ২১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ২১৪ জনই টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেননি বলে জানানো হয়েছে। গত ২৮ মার্চ রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এর প্রতিবাদে শুক্রবার (২৯ মার্চ) আন্দোলনে নামেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। পরে বুয়েটে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আংশিক দাবি মেনে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির হলের সিট বাতিল করা হয়। অন্যদিকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার দাবিতে রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ। এরপর সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। এদিকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সোমবার বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বি রিটটি দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৫

বুয়েট ইস্যুতে দেশব্যাপী মানববন্ধনের ঘোষণা ছাত্রলীগের
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনতে দেশব্যাপী মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ।   রোববার (৩১ মার্চ) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলে সিট ফিরিয়ে দেওয়া, বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালু করা, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাধাদানকারী বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিচারের আওতায় আনা এবং বুয়েটসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী তৎপরতার মূলোৎপাটন করার দাবিতে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মাদরাসায় মানববন্ধন আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে ছাত্রলীগ। বুয়েটকে ‘সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া’ মুক্ত করে ছাত্র রাজনীতিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অবস্থান ও কর্মসূচি ঘোষণার লক্ষ্যে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করবে।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১০

টাঙ্গুয়ার হাওরে গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম 
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে গত বছরের জুলাইয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ৩৪ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এই দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।  সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, বুয়েটে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে, সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মৌলবাদী গোষ্ঠী একের পর এক রাষ্ট্রবিরোধী দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। আজকে বুয়েটে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির কণ্ঠ বন্ধ করে সেখানে তারা স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছে। আজকে বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে সেই ১৯৭১ সালের পরাজিত অপশক্তি জামায়াত-শিবির অন্ধকারে কার্যক্রম পরিচালিত করে জঙ্গীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করার চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৩১ জুলাই সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে বুয়েটের ৩৪ জন শিবির ক্যাডার রাষ্ট্রবিরোধী গোপন বৈঠক করে ষড়যন্ত্রের অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। বুয়েট প্রশাসন এখনো সেই ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করেনি। আমরা সুস্পষ্টভাবে বুয়েট প্রশাসনকে বলতে চাই, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। অবিলম্বে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে যে কালো আইন বুয়েট প্রশাসন তৈরি করেছে সেটি প্রত্যাহার করতে হবে। বুয়েট প্রশাসন দাবি না মানলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।  কর্মসূচি থেকে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করার অপরাধে যে ৩৪ জন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়েছিল এদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড খুঁজলে দেখা যাবে এরা জামায়াতের প্রত্যক্ষ মদদে ষড়যন্ত্র করতেই সেখানে গিয়েছিল। তারা শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা এবং শিবিরের ক্যাডার। সেই সময় আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম, এই ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে স্বাধীনতার পক্ষের এই সরকারকে উৎখাত করার জন্য একত্রিত করা হয়েছিল। এই ৩৪ জনকে অবিলম্বে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করতে হবে। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের উপদেষ্টা ভাস্কর রাশা, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক কবীর চৌধুরী তন্ময়সহ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের অন্যান্য নেতারা।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৭

বুয়েট প্রশাসনকে এবার ছাত্রলীগের আল্টিমেটাম
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে রাব্বির সিট ফেরত দিতে বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র সংগঠনটি।   রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রলীগের পক্ষে এ আল্টিমেটাম দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি। তিনি বলেন, আমাদের এক ভাই ৭ মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতা দিবসের প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ায় তার হলের সিট কেঁড়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের ভাই রাব্বির সিট ফেরত দেওয়ার দাবি জানাই। অন্যথায়, যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা হবে, তাদেরকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।  তিনি আরও বলেন, জামিনে মুক্ত সিলেটের টাঙ্গুয়ার হাওরে শিবির ও জঙ্গি সদস্যরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন, তাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বুয়েট শিবিরসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের কমিটি থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো প্রোগ্রামে অংশ নিলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আমাদের দাবি, বুয়েট ক্যাম্পাসে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে। প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সঞ্চলনা করছেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বাঙলা কলেজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইউনিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশে সমবেত হয়েছেন।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৪:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়