• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে পোস্ট, যুবককে পিটুনি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার কারণে আল আমিন মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনতা। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার আউলিয়া বাজারে স্থানীয় জনগণ অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলে তিনি মতবাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।  এ সময় সেখানে উপস্থিত সাধারণ মানুষ উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেন। পরে বিজয়নগর থানা ও আউলিয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ওই যুবককে বিজয়নগর থানা হেফাজতে নিয়ে যান। অভিযুক্ত যুবক আল আমিন মিয়া উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত প্রচারণা কিংবা উসকানিমূলক বিভিন্ন পোস্ট করতেন এ যুবক। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলে তিনি মতবাদের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত সাধারণ মানুষ উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেন। এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত যুবককে পুলিশের হেফাজতে আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৪

চাঁদা আদায় করতে গিয়ে পিটুনি খেলেন ২ মৎস্য কর্মকর্তা
ভোলার মনপুরায় জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন ২ মৎস্য কর্মকর্তা। মেঘনায় অভিযানের নামে চাঁদা দাবি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়রা এই গণধোলাই দেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত দুই মৎস্য কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেন। এই ঘটনার জেরে মনপুরা থানায় শ্লীলতাহানীর চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ করেছেন এক বিধবা নারী। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ৭ টায় উপজেলার ১ নম্বর মনপুরা ইউনিয়নের ঢাকার লঞ্চ ঘাট-সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা মৎস্য অফিসের মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান ও ক্ষেত্র সহকারী মনির হোসেন অভিযানের নামে মেঘনায় জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল। জেলেরা নিয়মিত চাঁদা দিলেও মাঝে মধ্যে তারা জেলেদের জাল পুড়িয়ে দিতো। এতে দিনদিন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জেলেরা। মঙ্গলবার সকালে ফের অভিযান করতে গিয়ে উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের জেলেদের কাছে চাঁদা আদায়ের জন্য ট্রলারে ধাওয়া করে তারা। ধাওয়া খেয়ে জেলেরা নদী তীরবর্তী এক বিধবা নারীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ সময় দুই মৎস্য কর্মকর্তা বিধবা নারীর ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করতে চাইলে ওই নারী বাধা দেয়। এ সময় জেলেসহ ওই নারীকে মারধর করে। জেলেদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে ক্ষুব্ধ হয়ে দুই মৎস্য কর্মকর্তাকে গণধোলাই দেয়। পরে মনপুরা থানা পুলিশ খবর পেয়ে আহত দুই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেয়। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অফিসের মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মো. মাহামুদুল হাসান জানান, অবরোধকালীন নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। মেঘনা নদীতে পেতে রাখা জালের কাছে গেলে জেলেরা স্পিডবোটযোগে এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমি ও আমার সহকর্মী মনির হোসেন গুরুতর আহত হই। পরে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। উপরস্ত মহলের নির্দেশনা মেনে এ ব্যাপারে মনপুরা থানায় অভিযোগ করা হবে। উক্ত ঘটনায় ওই বিধবা নারী মনপুরা থানায় এসে দুই মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্তি দায়িত্ব) মারুফ হোসেন মিনার জানান, অনুমতিসাপেক্ষে আমাদের মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা ও ক্ষেত্র সহকারী অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় জেলেরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দুজনে গুরুতর আহত হয়। এ ব্যাপারে উপরস্ত মহলের পরামর্শক্রমে থানায় অভিযোগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  এ ব্যাপারে মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের জেলেদের সঙ্গে মৎস্য কর্মকর্তাদের মারামারি ঘটনার জেরে এক বিধবা নারী থানায় এসে অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকেও অভিযোগের প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পর্যালোচনা করে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪২

নামাজ পড়তে ডাকায় শিক্ষককে পিটুনি
বরগুনার আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার ২ শিক্ষার্থীকে ফজরের নামাজ পড়তে ডাকায় শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে (২৫) পিটিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, প্রতিদিনের মতো মাদরাসার সকল শিক্ষার্থীকে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য ঘুম থেকে উঠতে বলেন শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি। এতে ওই মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হাফেজ ইমাম হোসেন (১৮) ও হাফেজ জিহাদ হোসেন (১৭) ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষককে গাছের গুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ সময় তার পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেন তারা।  পরে শিক্ষক রাফিকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। তার অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. জায়েদ আলম ইরাম তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।  ওই ঘটনার পরপরই মাদরাসার সকল ছাত্র মাদরাসা থেকে পালিয়ে যান।  অভিযুক্ত হাফেজ ইমাম হোসেন উপজেলার হলদিয়ার রাওঘা গ্রামের মামুন মৃধার পুত্র। অপর অভিযুক্ত হাফেজ জিহাদ হোসেনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলার আমখোলা গ্রামে।  আহত শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি বলেন, ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমাম হোসেন ও জিহাদ আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমার পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকাও ওরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমি ওই ছাত্রদের শাস্তি দাবি করছি। মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ওমর ফারুক জিহাদী বলেন, ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে অভিযুক্ত ওই ২ শিক্ষার্থী গাছের গুঁড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে। আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়