• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বংশমর্যাদায় এক গরুর দাম কোটি টাকা!
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ মেলায় নানা জাতের গরু নিয়ে হাজির হয়েছিল সাদিক এগ্রো। এর মধ্যে আমেরিকার ব্রাহামা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকানো হয় এক কোটি টাকা। ১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের গরুটি দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। গরুর দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসেন বলেন, গরুটির বংশমর্যাদার জন্য দাম বেশি। এই গরুটার বাবা, দাদা, দাদার বাবার পরিচয় আছে। মেলার আকর্ষণ ‘রোজু’ নামের গরুটির রং সাদার ওপর হালকা কালো শেড ছাপ ছাপ, ছোট শিং, নাকে নথ। গলায় স্বর্ণের আদলে তৈরি চেইনের সঙ্গে লকেট। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, গরুটার দাম এক কোটি চাওয়া হচ্ছে, এটার অনেক কারণ আছে। এক নম্বর হচ্ছে- এই গরুটার ১১০ বছরের পেডিগ্রি (বংশ পরম্পরা) আছে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, এই গরুটার বাবা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ব্লাড লাইন। এটা হচ্ছে আমেরিকান ভিয়েট ল্যাঞ্চের নোবেল সিরিজ, ওদের সবচেয়ে বেস্ট সিরিজ এটা। এই জাতের গরু কম খাদ্য খেয়ে দ্রুত বড় হতে পারে। মাংস কিংবা ওজনের চিন্তা করে না বরং এটা বংশমর্যাদাপূর্ণ গরু। এর জন্যই দাম বেশি। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলেও জানান ইমরান হোসেন।  সাদিক এগ্রোর মালিক আরও বলেন, মেলায় আমরা গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়াসহ অনেক প্রাণী নিয়ে এসেছি। শুধু যে বেচাকেনা করার জন্য এনেছি সেটি নয়, অনেক প্রাণী আছে মানুষ দেখেনি, তাই নিয়ে আসা। আজকে যেসব বাচ্চারা আসছে, এরা অনেকেই হয়তো উট দেখেনি, আজ দেখতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা আমাদের মেলার একটা অর্জন। এই প্রাণীগুলোর সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাও আমাদের একটা লক্ষ্য। এ ছাড়া সাদিক এগ্রোর আরেক কর্মকর্তা সৌরভ জানান, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গরু, ৪টি ছাগল, ৫টি দুম্বা, ৭টি ভুট্টি গরু মেলায় প্রদর্শন করছে। একেকটি দুম্বা ৪ লাখ করে আর ভুট্টি জাতের গরু ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৫

গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে আহত শতাধিক
হবিগঞ্জে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়েছে।  শুক্রবার (১২ এপ্রিল) আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ঈদের দিন দুপুরে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্রকরে পশ্চিমবাগ গ্রামের মিজান মিয়ার লোকজনের সাথে একই গ্রামের শামসু মিয়ার লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে শুক্রবার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে এক পক্ষ অপর পক্ষের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এতে নারী-পুরুষসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ৪৪ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে অন্যান্যদের আজমিরীগঞ্জ ও বাণিয়াচং হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার গরুকে ঘাস খাওয়ানো নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্য বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে আজ শিশুদের ফুটবল খেলার নিয়ে পুনরায় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। 
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৮

গরুর মাংস আমদানি নিয়ে বিরোধ, যা বলছে খামারিরা
বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানি করতে চায় ব্রাজিল। কোরবানির ঈদের আগে ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ সরকার। সম্প্রতি ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার ঢাকা সফরে এ বিষয় আলোচনায় আসে। ব্রাজিল দিতে চায় গরুর মাংস আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চায় জীবন্ত গরু আমদানি করতে। কিন্তু এর কোনোটাই চাচ্ছে না প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। দেশে প্রাণিজ আমিষ জোগানের দায়িত্বে রয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। সরকারি প্রতিষ্ঠানটি বলছে, দেশে গরুর মাংসের চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি। তাই আমদানির প্রয়োজন নেই। খামারিরা বলছেন, গরুর মাংসের দাম বেশি কারণ গো-খাদ্যের দাম বেশি। সরকারের উচিত গো-খাদ্যের দাম কমানোর ব্যবস্থা করা। তাহলে দেশেও সস্তায় মাংস উৎপাদন সম্ভব হবে। এদিকে ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস কিংবা জীবন্ত গরু আমদানি হতে পারে। এমন খবরে কপালে চিন্তার রেখা প্রান্তিক খামারিদের। তারা বলছেন, অনেক যুবক পড়াশোনা শেষে উদ্যোক্তা হয়েছেন। ডেইরি শিল্পে এসেছেন। গরু পালন করছেন। মাংস উৎপাদন করছেন। যদি বাইরে থেকে মাংস আমদানি করা হয়, তাহলে প্রান্তিক খামারিরা ধ্বংস হয়ে যাবে। গরু ও গরুর মাংস আমদানির বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে কিছুই জানায়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এমন দাবি প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক রেয়াজুল হকের। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ গরুর মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতি কুরবানির ঈদে অবিক্রিত থাকে কয়েক লাখ গরু। তিনি আরও বলেন, গত কুরবানিতে ২০ লাখ বড় পশু অবিক্রিত থাকে। এক্ষেত্রে লুকানোর কিছু নেই। আমদানির সুযোগ নেই। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে কুরবানির প্রাণির চাহিদা ছিল ১ কোটি ৪ লাখ, বিপরীতে জোগান ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ। একই কথা বলছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশনও। সংগঠনটির সভাপতির আহ্বান, গো-মাংস আমদানির মতো সিদ্ধান্ত না নিয়ে, সরকারের সস্তায় গো-খাদ্য সরবরাহের দিকে নজর দেয়া উচিত। ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালে রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ছিল গড়ে ৩০০ টাকা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মঙ্গলবারের হিসাব অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। অর্থাৎ ২০১৪ সালের তুলনায় এখন গরুর মাংসের দাম এখন ১৫০ শতাংশের বেশি। তবে ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন খুচরা বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। প্রসঙ্গত, ৭ মার্চ ঢাকায় সফরত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তখন গরুর মাংস রপ্তানির জন্য আগ্রহ দেখায় ব্রাজিল। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে জীবন্ত গরু আমদানি করতে চাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫১

প্রায় প্রতিদিনই বেশির ভাগ মানুষ গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাচ্ছে : হানিফ
প্রায় প্রতিদিনই বেশির ভাগ মানুষ গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। বুধবার (১০ এপ্রিল) দুুপুর ১২টায় কুষ্টিয়া শহরে নিজ বাসভবনে নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, মফস্বল শহরে আগে হয়তো মানুষ মাসে একদিন গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেত। এখন তো প্রায় প্রতিদিনই বেশিরভাগ মানুষ গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাচ্ছে।  ‘দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষের মনে ঈদের আনন্দ নেই’ বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, জনগণের মধ্যে ঈদের আনন্দ রয়েছে। গভীর রাতেও তারা ঈদের মার্কেটে ঘুরছে। ঈদ আনন্দ নেই শুধু বিএনপির। কারণ তারা অবৈধ পথে ক্ষমতায় যেতে পারেনি। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বেড়েছে।  মাহবুবউল আলম হানিফ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দৃশ্যমান উন্নয়ন অগ্রগতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটা ব্যাখ্যা করে বলার প্রয়োজন নেই। তবে এটি বিএনপি পছন্দ করে না। তাই তারা সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এ সময় কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির সভাপতি ডাক্তার মুসতানজীদ, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সেলিম তোহা, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৮

৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছে ছাত্রলীগ
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য ৫৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছে ছাত্রলীগ। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সার্বিক সহযোগিতায় ঈদের আগের দুদিন পর্যন্ত এ মাংস বিক্রি কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে ছাত্র সংগঠনটি।  সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভনের নিজস্ব উদ্যোগে ভর্তুকিমূল্যে এ মাংস বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়।  বাজারে গরুর মাংসের চড়া দাম থাকায় সাধারণ ক্রেতারা সকাল থেকেই শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্বল্পমূল্যে মাংস কিনতে ভিড় করেন। এ সময় ৪৩০ জন ক্রেতার মাঝে ৫৫০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস এবং ১০১ কেজি পোলাও চাল বিক্রি করা হয়।  ক্রেতারা জানান, সাধারণ মানুষ যখন ঊর্ধ্বমুখী বাজারে হিমশিম খাচ্ছে এমন সময় স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস কিনতে পেরে তারা অনেক খুশি।  ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঈদের আগে দুদিন প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই মাংস বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।  প্রসঙ্গত, মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য রমজানের প্রথম দিন থেকে ভর্তুকিমূল্যে ছোলা, তেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করে জেলা ছাত্রলীগ।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৭

ঈদের দুপুরে মুখরোচক গরুর ভুনা মাংস
ঈদের প্রস্তুতি ঘরে ঘরে শুরু হয়ে গেছে। এবার ঈদের খাবার কী হবে তা নিয়ে চলছে আয়োজন। ঈদে সাদা পোলা, মুরগি মাংসের পাশাপাশি গরুর মাংস বা খাসির মাংস তো থাকেই। অনেকে চিকেন বিরিয়ানি বা বিফ তেহারিও রান্না করেন। তবে সাদা পোলাও বা গরম ভাতের সঙ্গে গরু বা খাসির মাংস ভুনার মজাই আলাদা। ঈদের গরুর মাংসটা ভিন্নভাবে কষিয়ে রান্না করতে পারেন। তাহলে ঝাঝালো স্বাদও পাওয়া যাবে। এছাড়া ঈদের খাবারে যদি খিচুড়ি রান্না হয় তবে ঝাল ভুনা মাংসতো আরও সুস্বাদু লাগবে। চলুন দেখে নেই ঈদে কীভাবে ভিন্নভাবে গরুর ভুনা রান্না করা যাবে। যা যা লাগবে: গরুর মাংস, টক দই, আদা বাটা, রসুন বাটা, মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, জিরার গুঁড়া, বাদাম বাটা, চিলি ফ্লেকস, সরিষার তেল, টমেটো সস, আস্ত গরম মশলা, গরম মশলা গুড়া, পেয়াজ কুচি, তেল, লবণ যেভাবে বানাবেন: প্রথমে গরুর মাংস ভালো করে ধুয়ে নিন। গরুর মাংস ম্যারিনেট করতে ১/৩ কাপ টক দইয়ের সঙ্গে মেশান দেড় টেবিল চামচ আদা বাটা, দেড় টেবিল চামচ রসুন বাটা, স্বাদ মতো মরিচের গুঁড়া, ২ চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দেড় চা চামচ জিরার গুঁড়া, ১ চা চামচ বাদাম বাটা, ১ চা চামচ চিলি ফ্লেকস, ২ টেবিল চামচ সরিষার তেল, ২ টেবিল চামচ টমেটো সস ও স্বাদ মতো লবণ দিয়ে মেখে নিন। মাংস ম্যারিনেট করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এবার চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে দিন। এদে তেল গরম করে নিন। এতে আস্ত গরম মসলা ভাজুন। ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি দিয়ে লালচে করে ভাজুন। এবার ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে দিন। ৫/৭ মিনিটের মতো কষিয়ে নিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট রান্না করুন। মাংস থেকে পানি বের হবে। একটু নেড়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। মাংস সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পানি কমে এলে আরও যোগ করুন। তবে কম পানি দিবেন। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে ১ চা চামচ গরম মসলার গুঁড়া ও কয়েকটি আস্ত কাঁচা মরিচ ৫ মিনিট দমে রাখুন। এরপর পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে যাবে গরুর কষা মাংস।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৭

গরুর মাংসের কেজি ৫৯৫ টাকা, ক্রেতাদের ভিড়
কুড়িগ্রামের উলিপুরের পাঁচপীর বাজারে গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রির খবরে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে। শুধুমাত্র কমদামে গরুর মাংস কেনার জন্য দীর্ঘ লাইনে  দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককে। ক্রেতারা কিনতে পারছেন সর্বনিম্ন ১০০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ১ কেজি মাংস। জেলার উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর বাজারে এ স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করছে স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন।   বাজার দর থেকে কেজিতে ১২৫ টাকা কমে বিক্রি করা হচ্ছে এসব মাংস। এমনকি ৩০ টাকাতেও কেনা যাচ্ছে গরুর মাংস। কমদামে মাংস কিনতে সাধারণ ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। শনিবার প্রথম দিনে মাত্র দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয় ৩০০ কেজিরও বেশি মাংস। আসন্ন ঈদের আগে কমদামে এ মাংস কিনতে পেয়ে এসব মানুষ অনেক খুশি।  মাংস কিনতে আসা আমজাদ মিয়া জানান, বাজারের চেয়ে প্রায় ১২৫ টাকা কম দামে গরুর মাংস কিনতে পারছি। ভালো গরু জবাই করেছে। ঈদ পর্যন্ত বিক্রি করা হবে। আজ কিনেছি পরে আরও কিনতে আসব।  যতিনের হাট এলাকা থেকে আসা সবুর আলী জানান, এখানে ৫৯৫ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে এটা শুনে মাংস কিনতে এসেছি। আসলে সব সময় কমদামে মাংস বিক্রি করা হলে আমাদের জন্য ভালো হতো। সংশ্লিষ্টরা জানান, ভালোলাগা থেকে সাধারণ মানুষের পাশে দাড়াতে তারা স্বেচ্ছা শ্রমে কাজ করছেন। হাটে গরু কেনা থেকে মাংস বিক্রি পর্যন্ত তারা বিনা পরিশ্রমে কাজ করছেন।  স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাজ্জাত হোসেন জানান, রমজান মাস এলেই গরুর মাংসের চাহিদা বেড়ে যায়। এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাংসের দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে করে সাধারণ মানুষজন গরুর মাংস কিনে খেতে পারেন না। তাই ঈদের আগে গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ আয়োজন করা হয়েছে। ঈদের আগ পর্যন্ত বাজারের পাশাপাশি গ্রামেও ৫৯৫ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০০

বাংলাদেশকে ৪৯৫ টাকায় গরুর মাংস দিতে চায় ব্রাজিল
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানিতে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস সাড়ে চার মার্কিন ডলারে (৪৯৫ টাকা) বাংলাদেশকে দিতে চায় লাতিন আমেরিকার এই দেশটি। কূটনীতিক সূত্র জানিয়েছে, রোববার (৭ এপ্রিল) ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসবেন। তখন বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে। ২০২৩ সালে বিশ্বের ১২৬টি দেশে গরুর মাংস রপ্তানি করেছিল ব্রাজিল। গত বছর ব্রাজিল ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গরুর মাংস রপ্তানিকারক দেশ। ঢাকা ও ব্রাজিলের কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, মাউরো ভিয়েরার সফরকে সামনে রেখে গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস। এ সময় তিনি গরুর মাংস রপ্তানির বিষয়টি আলোচনায় তুলেছেন। ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে সে দেশের গরুর মাংস রপ্তানিকারক সমিতির একাধিক জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধির ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। দুই দিনের সফরে ঢাকা এসে রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন মাউরো ভিয়েরা। সোমবার (৮ এপ্রিল) তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এই প্রথম ব্রাজিলের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরে আসছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গত মঙ্গলবার তার দপ্তরে সাংবাদিকদের সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ব্রাজিল থেকে আমরা ভোজ্যতেল ও অন্যান্য পণ্য আমদানি করি। দক্ষিণ আমেরিকায় আমাদের রপ্তানি অনেকটাই এখনো আন–এক্সপ্লোরড রয়ে গেছে। ব্রাজিল বড় দেশ, তাদের ক্রয়ক্ষমতাও বেশি। ফলে তাদের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর কারিগরি সহযোগিতার রূপরেখা চুক্তি ও ক্রীড়া খাতে সহযোগিতা, বিশেষ করে ফুটবলের বিকাশে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার বিষয়ে ব্রাজিল এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১১৮টি দেশের সঙ্গে একটি রূপরেখা চুক্তি সই করেছে। এবারের সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে কারিগরি সহযোগিতার ওই রূপরেখা চুক্তি সই হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, চুক্তিতে কোন কোন খাতে সহযোগিতা হবে, তা চিহ্নিত করা হবে। পরে নির্দিষ্ট খাতের আওতায় প্রকল্প নিয়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের কারিগরি সহযোগিতার রূপরেখা চুক্তিতে রয়েছে কৃষি, জ্বালানি, পানিসম্পদ, বনায়ন, শিক্ষ ও মৎস্যসম্পদ খাত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম ঢাকা সফরে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ই মূলত প্রাধান্য পাবে। ব্রাজিলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য তিন বছরের মধ্যে ১৫০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে এ মুহূর্তে ২৭০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ভোজ্যতেল, চিনি ও তুলার আমদানিতে অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে। ব্রাজিলের পক্ষ থেকে এ সফরে ইথানল রপ্তানি, তুলার রপ্তানি বাড়ানো, পোলট্রি ও ফিশ ফিড ও গরুর মাংস রপ্তানির বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওষুধ ও তৈরি পোশাক রপ্তানি, ইথানল আমদানি বা দেশে ইথানল উৎপাদনে সহায়তা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা ও সামুদ্রিক পর্যটনে সহায়তার ওপর জোর দেওয়া হবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩০

এবার গরুর মাংস বয়কটের ডাক
রমজান মাসের শুরুতেই শুরু হয় মিষ্টি ও রসালো ফল তরমুজের মৌসুম। সারাদিন রোজা থাকার পর রোজাদারদের ইফতারে ফলটির চাহিদা থাকে। আর এই সুযোগ নিয়ে হুহু করে দাম বাড়িয়ে পিস থেকে কেজিতে তরমুজ বিক্রি শুরু করে বিক্রেতারা। ফলে সপরিবার খাওয়ার মতো একটি তরমুজের দাম পড়ে ৬০০-৮০০ টাকা। চলতি রমজানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরমুজ বয়কটের ডাক দেয় সাধারণ মানুষ। ফলে অর্ধেক দামে তরমুজ বিক্রি করলেও ক্রেতা পাচ্ছে না বিক্রেতারা। তরমুজ বয়কটে এর দাম নিয়ে কারসাজি বন্ধ হওয়ায় এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছে সাধারণ মানুষ। কারণ, রোজার শুরু থেকেই গরুর মাংসের দাম বেড়েই চলেছে। প্রথমদিকে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি থাকলেও শুক্রবার (২৯ মার্চ) তা ৭৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে, গত ১৫ মার্চ গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা বেঁধে দিয়েছে সরকার। তাতে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই মাংস ব্যবসায়ীদের। এবার এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে জনগণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছেন নেটিজেনরা। এছাড়া হাজার হাজার বাংলাদেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী তাদের ফেসবুকের টাইমলাইনে কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করছেন। যা রীতিমত ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া একটি পোস্ট হবহু তুলে ধরা হলো- তরমুজের ভাব বেড়েছিল আমাদের আম জনতার বয়কটে তার দাম এখন হাতের নাগালে। এভাবে গরুর মাংসও খাওয়া বাদ দিন,বয়কট করুন ১ বা ২ বা ৩ মাস। দেখবেন, সেটাও হাতের নাগালে চলে আসবে। ক্রেতা না কিনলে দাম বাড়িয়ে কয়দিন কাটা গরুর মাংস রাখবে ফ্রিজে! কম দামে ক্রেতা না কিনলে কতদিন চড়া দাম হাকাবে! ক্রেতাই যদি না থাকে কিসের সিন্ডিকেট! আমরা সব চাইলেই পারি! লাগবে শুধু একতা! চলেন, তরমুজের পরে এবারে গরুর মাংসের দাম কমাই। ভাইরাল হওয়া আরেকটি পোস্ট- আমি গরুর মাংস কিনলাম। বলল যে, দেশের মানুষ ভাত পায়না, গরুর মাংস কেনে। গরুর মাংসের ম্যালা দাম, আসুন গরুর মাংস বয়কট করি।  এদিকে গরুর মাংসের দাম বাড়া নিয়ে খামারিদের দুষছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, বড় খামারিদের কারসাজিতে বাজারে গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না । দুর্মূল্যের এ বাজারে স্বল্পমূল্যে যারাই গরুর মাংস বিক্রি করতে চাচ্ছেন, তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে খামারিদের অসাধু চক্র। একদিকে কোরবানিকে কেন্দ্র করে বাজার থেকে গরু উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে হুমকি আর চাপ এসে হাজির হচ্ছে স্বল্পমূল্যের বিক্রেতাদের জীবনে। খামারিদের এই সিন্ডিকেট ভাঙা গেলে ৫০০ টাকায়ও গরুর মাংস কিনতে পারতো ক্রেতা সাধারণ; আবারও মাসে অন্তত একবার হলেও গরুর মাংসের স্বাদ নিতে পারতো মধ্যবিত্ত পরিবার। এ বিষয়ে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসা ব্যবসায়ী খলিল বলেন, সরকার ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশের অনুমতি দিলে মাংসের দাম ৫০০ টাকায় নেমে আসবে। অন্তত ১০ দিন ভারতীয় গরু দেশে আনা হলে গরুর মাংস ৫০০ টাকা বিক্রি করা সম্ভব।
৩০ মার্চ ২০২৪, ০৯:২২

বড় খামারিদের কারসাজিতে ৫০০-তে নামছে না গরুর মাংস 
বাজারে গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বড় খামারিদের কারসাজিতে। দুর্মূল্যের এ বাজারে স্বল্পমূল্যে যারাই গরুর মাংস বিক্রি করতে চাচ্ছেন, তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে খামারিদের অসাধু চক্র। একদিকে কোরবানিকে কেন্দ্র করে বাজার থেকে গরু উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে হুমকি আর চাপ এসে হাজির হচ্ছে স্বল্পমূল্যের বিক্রেতাদের জীবনে। খামারিদের এই সিন্ডিকেট ভাঙা গেলে ৫০০ টাকায়ও গরুর মাংস কিনতে পারতো ক্রেতা সাধারণ; আবারও মাসে অন্তত একবার হলেও গরুর মাংসের স্বাদ নিতে পারতো মধ্যবিত্ত পরিবার।  খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বলের মতো স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস বিক্রেতাদের মতো এবার মাংস ব্যবসায়ী সমিতিও স্বীকার করলো, ৫০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি সম্ভব। কিন্তু এর জন্য আগে খামারিদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।  সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের দাম বেঁধে দেওয়া ২৯ পণ্যের তালিকায় গরুর মাংস রাখা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম।  গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি জানান, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী ফার্মার অ্যাসোসিয়েশন যে কোনো সময় গরু কিনতে পারে, এই সুযোগটাই অসাধু খামারিরা নিচ্ছে। সামনে কোরবানি, খলিল মাংসের দাম কমিয়ে দেওয়ায়, গরুর দাম কমে গেছে। এতে সারা দেশের খামারিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা বাজার থেকে গরু উঠিয়ে নিয়েছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙলে মাত্র ৫০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব। এদিকে রাজধানীর বাজারে যখন গরুর মাংসের দাম ৭০০-৭৫০ টাকা, তখন শাহজাহানপুরের খলিল গোশত বিতানে ৫৯৫ টাকা দরে মাংস কিনতে  দীর্ঘ লাইন দিচ্ছেন ক্রেতারা। মাঝে হঠাৎ গরুর দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে ১০০ টাকা বাড়িয়ে মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েও দুদিনের মাথায় তা থেকে সরে আসেন ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। লোকসান হলেও নিজের কথা রাখতে ২০ রোজা পর্যন্ত আগের দামেই বিক্রি করছেন মাংস। দাম ১০০ টাকা বাড়ানোর কারণ হিসেবে খলিল তখন বলেছিলেন, ‘বড় খামারিদের কাছে হেরে গেছি। বড় বড় খামারিরা ঈদ ও কোরবানিকে সামনে রেখে হাট থেকে গরু উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাই ইদানিং গরুর দাম বাড়ছে।’ খলিলের মতো ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করে এলেও সম্প্রতি নিজের দোকানে গরুর মাংসের দাম ৩৫ টাকা বাড়িয়েছেন মিরপুর ১১ এর উজ্জ্বল। তার গোশত বিতানে বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৩০ টাকায়। বড় খামারিদের কারসাজির কথা উঠে এসেছে তার বক্তব্যেও।   সপ্তাহ দেড়েক আগেই বাজারে ৫০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তখন তিনি বলেছিলেন, পথের হাটের ইজারা ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং পরিবহন সমস্যা দূর করা গেলে ৫০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব। আর সিন্ডিকেট ভাঙতে শাহজাহানপুরের খলিলের মত, ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশের অনুমতি যেন দেয় সরকার। অনুরোধ জানিয়ে খলিল সাংবাদিকদের মাধ্যমে বলেন, সরকার যেন মাংস ব্যবসায়ীদের কথা শোনে। অন্তত ১০টা দিনের জন্য ভারতীয় বর্ডার খুলে দেয়। যাতে ভারতীয় গরু দেশে আনা যায়। তাহলে গরুর মাংস ৫০০ টাকাতেও বিক্রি করা সম্ভব।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়