• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অপহরণের ২০ দিন পর উদ্ধার হলো কিশোরী 
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার উম্মে খাদিজা রুমা (১৬) নামের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে অপহরণের প্রায় ২০ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে অপহরণকারী জাকির হোসেনের বাড়ি নিজমেহের থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।  বিকেলে পিবিআই চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের মিডিয়া সেল থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। অপহৃত ওই কিশোরী শাহরাস্তি উপজেলার মেহের উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। রুমা উপজেলার পূর্ব উপলতা গ্রামের মইনুল ইসলাম মিন্টুর মেয়ে। গত ১১ মার্চ তাকে মেহের প্রগতি সংঘের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। কিশোরীর বাবা মইনুল ইসলাম মিন্টু চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণকারী নিজমেহের এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে জাকির হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত ওই মামলাটির দায়িত্ব দেন পিবিআইকে। পিবিআই মামলাটি সিডিউলভুক্ত করে তদন্ত করার দায়িত্ব দেন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সফিকুল ইসলামকে। সর্বশেষ পিবিআই চাঁদপুর কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. ইউনুছ খন্দকারে নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলমগীর ও কনস্টেবল মো. সোলাইমানসহ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অপহৃত কিশোরীকে আসামির বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পিবিআই। পুলিশ পরিদর্শক মো. ইউনুছ খন্দকার জানান, অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে সোমবার দুপুরে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে উপস্থিত করা হয়। আদালত ওই কিশোরীকে তার বাবার জিম্মায় প্রদান করেন।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৯

ট্রেনের নিচে পড়েও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল কিশোরী 
নরসিংদীতে ট্রেনের নিচে পড়ে গেলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে এক কিশোরী। ট্রেন আসতে দেখে ওই কিশোরী রেললাইনে শুয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ট্রেনটি তার ওপর দিয়েই চলে যায়। ট্রেন চলে যাওয়ার পর সে অক্ষত অবস্থায় উঠে বসে।  শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন ও আরশীনগর রেলক্রসিংয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে ঘিরে ধরার পরও আনুমানিক ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী তার নিজের নাম জানায়নি। শুধু জানায়, সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের টাওয়াদী গ্রামের গাবগাছতলা এলাকার হালিম মিয়ার মেয়ে সে।   ওই কিশোরীর শরীরের কয়েক জায়গায় ছিলে যায়। তাকে উদ্ধার করা লোকজন এমনটি করার কারণ জানতে চাইলে, শুধু বাবার নাম এবং ঠিকানা জানানোর পর সে চুপ হয়ে যায়। পরে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন তারা। নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার জানান, ট্রেনের নিচে শুয়ে পড়ে বেঁচে যাওয়া কিশোরী মেয়েটিকে সাড়ে ৫টার দিকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার হাত-পায়ের কয়েক জায়গা ছিলে গিয়েছিল।  নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নাজিউর রহমান বলেন, নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করার জন্যই শুয়ে পড়েছিল ওই কিশোরী। তবে ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে গেছে। রেলপুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৮

কিশোরী ধর্ষণের দায়ে দুজনের যাবজ্জীবন
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় কিশোরী ধর্ষণ মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন এবং এক তরুণকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন ওই উপজেলার মোমিনপুর উত্তরপাড়া এলাকা মিঠুন মণ্ডল (২৩) এবং আশরাফুল ইসলাম (২৩)। এ ছাড়া ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছাব্বির হোসেন (১৮) ওই এলাকার বাসিন্দা। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি মিঠনকে ৫০ হাজার ও আশরাফুলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় রায়ে। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩১ মে সকালে ওই উপজেলায় একটি মাঠে মামাতো বোনদের সঙ্গে ছাগল চড়াতে যায় ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরী। দুপুরে কথার ছলে আশরাফুল ও ছাব্বিরের সহযোগিতায় তাকে একটি আখ খেতে নিয়ে ধর্ষণ করে মিঠুন। ওই কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে মিঠুন ও আশরাফুলকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনার পরদিন কিশোরী নিজে বাদী হয়ে মিঠুন, আশরাফুল এবং ছাব্বিরকে আসামি করে নলডাঙ্গা থানায় মামলা করে। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৩০ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মোশারফ হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার আদালত এ রায় দেয়।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৫

বিয়ে করতে এসে পুলিশ হেফাজতে দুই কিশোরী
নাটোরের একডালা মডেল হাইস্কুলের এক ছাত্রীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় সিলেটের দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীর। এরপর দুই ছাত্রীর পরিচয় প্রেমে পরিণত হয়। সাত মাস প্রেম করার পর ওই মাদ্রাসাছাত্রী নাটোরে স্কুল ছাত্রীর বাসায় চলে আসলে পুলিশ তাদেরকে হেফাজতে নেয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। সিলেট থেকে আসা মাদ্রাসা ছাত্রী জানান, ৭ মাস আগে তাদের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। পরে তারা সমকামী বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। স্কুল ছাত্রী তাকে বিয়ে করার কথা বললে সে তাকে বিয়ে করতে আসে। অপর ছাত্রী জানায়, বিয়ে করে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। নাটোর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকেলে তারা একে অপরকে বিয়ে করতে চাইলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা সন্ধ্যায় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসে। অপ্রাপ্ত বয়স হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:২০

বিটিএসের টানে ঘর ছাড়া ৩ কিশোরী উদ্ধার
দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড বিটিএসের টানে ঘর ছাড়া রাজধানীর তিন কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টায় তাদেরকে টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই কিশোরীরা হলেন- ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রিজওয়ানা রিজু, জান্নাতুল আক্তার বর্ষা ও রুবিনা আক্তার মিম।  জানা গেছে, রাজধানীর মেরাদিয়ার ওই ৩ কিশোরী বাসা থেকে পালানোর ৩ দিন আগে সিদ্ধান্ত নেয়, নিজেরা গার্মেন্টসে চাকরি করে টাকা জমাবে। সেই টাকা দিয়ে কোরিয়া গিয়ে বিটিএস সদস্যদের বিয়ে করবে। তাদের কাছ থেকে বিটিএস সাদৃশ্য বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। খিলগাঁও থানার ওসি সালাউদ্দিন  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে তাদেরকে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। এতে কাউকে আটক করা যায়নি। এ বিষয়ে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে। এর আগে ২৯ জানুয়ারি দুপুর থেকে তারা ঘর ছেড়ে চলে যায়। এরপর খিলগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করে নিখোঁজ হওয়া ৩ কিশোরীর পরিবার। তাদের মধ্যে একজন একটি চিঠি লিখে যায়। তাতে সে জানায়, মা-বাবার অবহেলায় বিটিএসের সদস্য জাংকুককে বিয়ে করতে বদ্ধপরিকর।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়