• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় চলতি অর্থবছরে ৩১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাজে ভিন্নতা আছে। পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে কাজ করতে হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। গভীর সমুদ্রবন্দর, বে-টার্মিনাল, পায়রা বন্দরের ফার্স্ট টার্মিনাল ইত্যাদি কাজ শেষ হলে অর্থনীতিতে আরও সমৃদ্ধি আসবে। ওয়াটার ওয়েকে আরও বেশি স্মুথ করতে পারলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আরো ওপরে দৃষ্টিতে আসবে। সঠিক সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। সময়মত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারা বড় ধরনের দুর্বলতা। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। প্রকল্পের কাজ সময় মতো সম্পন্ন করা ও অর্থের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পের ডিপিপি সঠিকভাবে তৈরি করতে হবে। পরবর্তীতে ডিপিপি পরিবর্তন করা-সঠিক নয়। নদী খননের ড্রেজ মেটেরিয়াল কোথায় ফেলা হবে এটি একটি সমস্যা। বিচার বিশ্লেষণ করে ডিপিপি ফর্ম করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাসমূহের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ২০২৩-২৪ এর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে ২৮টি এডিপিভুক্ত, তিনটি নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্প। এজন্য বরাদ্দ পেয়েছে ১০,১৪৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৯,৪৭৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ ৬৭৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত ২৮টি প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ১৪টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দুটি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চারটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) একটি, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের একটি, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তরের একটি এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির একটি প্রকল্প। নিজস্ব অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি প্রকল্প।
২০ মার্চ ২০২৪, ১১:২৩

চলতি অর্থবছরে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন ৪০৭৫০১ জন
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে বার্ষিক আয়কর বিবরণী (রিটার্ন) জমা দিয়েছেন চার লাখ ৭ হাজার ৫০১ জন ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা। অনলাইনে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী (রিটার্ন) জমার আগ্রহ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ইতোমধ্যে অনেক বেশিসংখ্যক করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রিটার্ন দাখিল করা যাবে। এর আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরের পুরো সময় জুড়ে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৭২ হাজার। চলতি অর্থবছরে অনলাইনে রিটার্ন জমার সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে এনবিআরের সদস্য (আয়কর) এ কে এম বদিউল আলম বলেন, নতুন আয়কর আইনে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল অনেক সহজ করা হয়েছে। এছাড়া অনলাইনে রিটার্ন জমার সঙ্গে সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র বা ট্যাক্স সার্টিফিকেট পেয়ে যাচ্ছেন করদাতা। এসব কারণে করদাতাদের মধ্যে এখন অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের আগ্রহ বেড়েছে। তিনি জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন জমার সংখ্যা চার লাখ ৭ হাজার ৫০১-এ পৌঁছে গেছে। চলতি অর্থবছরে এর সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বদিউল আলম বলেন, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজ করার জন্য এনবিআর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম অনেক শক্তিশালী করেছে। সরকারের অন্যান্য সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে শক্তিশালী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারলে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।  তিনি বলেন, অন্যান্য সংস্থাগুলোর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় কোম্পানি করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে সেটি আগামী ছয় মাসের মধ্যে চালু করা যাবে বলে আশা করছেন তিনি। তিনি আরও বলেন , অনলাইনে রিটার্ন দাখিল পদ্ধতিকে করদাতাদের কাছে জনপ্রিয় করতে এনবিআর ব্যাপকভিত্তিক প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে। সকল করদাতা যখন জানতে পারবে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া সহজ এবং রিটার্ন দাখিলের সঙ্গে সঙ্গে রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্র পাওয়া যায়, তখন এর প্রতি করদাতাদের আগ্রহ আরও বাড়বে। উল্লেখ্য, নতুন কর আইন অনুযায়ী ৪৩ ধরনের সেবা গ্রহণ করতে রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দেখাতে হবে। বর্তমানে দেশে কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিআইএন) সংখ্যা প্রায় ৯৪ লাখ।  সূত্র : বাসস
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়