জাতীয় নির্বাচনে সরাসরি প্রার্থী হতে সক্রিয় বিএনপির অর্ধশত নারী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অর্ধশতাধিক নারী প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। কৌশলে নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগও করছেন তারা। অপেক্ষা শুধু দলীয় সিদ্ধান্তের। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ থাকায়, নারীদের মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে দল সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করেন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ। তবে যোগ্যতার মাপকাঠিতে নারীদের মনোনয়ন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির নীতি নির্ধারকরা।
১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।
দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিতে আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়াও দলের যে কোনও দুঃসময়ে নেপথ্যে ভূমিকা পালন করেছেন অনেক নারী নেত্রী। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন পাবার আশায় সরব হয়ে উঠেছেন এসব ত্যাগী নেত্রীরা। দিনে দিনে নারীদের ক্ষমতায়ন বাড়ায়, কাজের মূল্যায়ন চান তারা।
মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ আরটিভিকে বলেন, রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ থাকায় নারীদের মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে দল সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। সংরক্ষিত আসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে নারীদের সরাসরি নির্বাচন করার সুযোগ দিলে জাতীয় নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
সুলতানা আহমেদ মনে করেন, প্রতিটি আসনেই সুযোগ পেলে নারীরা সরাসরি নির্বাচন করতে পারবে।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলছেন, বিএনপি নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। আর তাই জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও মূল্যায়ন করা হবে।
আর আরেক নেতা দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান মনে করেন, দলের প্রধান যেহেতু নারী, সেহেতু নারী কর্মীদের অবমূল্যায়নের কোনও সুযোগ নেই। তারা রাজনীতিতে পিছিয়ে নেই।
এসজে/ জেএইচ
মন্তব্য করুন