পরিবারের অমতে বিয়ে করে কীভাবে ক্ষমা পাওয়া যায়
আরটিভির সরাসরি ইসলাম নিয়ে প্রশ্নোত্তরমূলক বিশেষ অনুষ্ঠান ‘শরিফ মেটাল প্রশ্ন করুন’। এ অনুষ্ঠানে কোরআন ও হাদিসের আলোকে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়। এবারের পর্বে উত্তর দিয়েছেন ইসলামী চিন্তাবিদ হাফেজ মুফতি কাজী মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
প্রশ্নঃ পিতামাতার অবাধ্য হয়ে বিয়ে করলে, পরে কীভাবে আল্লাহ ও পিতামাতার ক্ষমা পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ ছেলেদের জন্য বিয়ের আগে পিতামাতার অনুমতি নেয়া ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বাধ্য নয়। ছেলেরা পিতামাতার অনুমতি নিয়ে বিয়ে করাটা উত্তম সামাজিকতা এবং আল্লাহর পছন্দনীয় কাজ। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে তা জরুরি। মেয়েদের পিতামাতার অনুমতির বিষয়ে হাদিসে আছে, যেকোনো মেয়ে তার অভিভাবকের অনুমোদন ছাড়া বিয়ে করলে, সেটি বাতিল, বাতিল, বাতিল।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: মৃত ব্যক্তির নামে কোরবানি হবে কী?
--------------------------------------------------------
কাজেই মেয়েদের ক্ষেত্রে অবশ্যই তার পিতা কিংবা অভিভাবক যিনি থাকেন তার অনুমতিক্রমে বিয়ে করতে হবে। যদি তার বংশের কোন অভিভাবক না থাকে তাহলে রাষ্ট্রীয় অভিভাবক যেমন কাজী বা কোনো বিচারক বা আদালতে নিজেকে সম্পন্ন করে তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে নিজের বিয়ে সম্পন্ন করবেন। আর ছেলেরা যদি পিতামাতার অনুমতি না নিয়ে বিয়ে করে তাহলে গুনাহ হবে না তবে মা বাবার দোয়া নিয়ে তাদের মনকে জয় করার চেষ্টা করা তার জন্য কর্তব্য।
প্রশ্নঃ আমার ছোট ভাই আমাদের মামাতো বোনকে পছন্দ করে, এখন আমার বাবা এবং আমার বড় ভাই রাজি হচ্ছে না। সব দিক থেকে দুইজনই উপযুক্ত। তারা দুইজনই একজন আরেকজনকে ছাড়া বিয়ে করবে না। এক্ষেত্রে করণীয় কী?
উত্তরঃ এক্ষেত্রে মামাতো ভাইয়ের ভাই বা পিতা যদি রাজিও না থাকেন তাহলে শরীয়তের দিক থেকে এই বিয়ের বৈধতা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এখানে পিতা বা বড় ভাইয়ের অসন্তুষ্টি তার বিয়ের বৈধতা নষ্ট করবে না। কিন্তু মামাতো বোনের পিতার অনুমোদন অবশ্যই লাগবে। যদিও ওলামাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন, সাবালিকা নারী নিজের পছন্দমত বিয়ে করতে পারে। কিন্তু যেহেতু নবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সরাসরি হাদিস আছে এ বিষয়ে, সে বিষয় থেকে বাঁচার জন্য হলেও পিতার অনুমোদন লাগবে।
আরও পড়ুন:
এমকে
মন্তব্য করুন