মালয়েশিয়ায় জাল পাসপোর্ট তৈরির হোতা এক বাংলাদেশিসহ আটক ২৬
মালয়েশিয়ায় জাল পাসপোর্ট তৈরির অভিযোগে এক বাংলাদেশিসহ ২৬ জনের একটি চক্রকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন।
সোমবার রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ অভিযানে রাজধানী কুয়ালালামপুরের শ্রী পেতালিং ও আম্পাং থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
ইমিগ্রেশনের পক্ষ এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৫০ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশিই এই চক্রের হোতা। একই সঙ্গে এটি মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় পাসপোর্ট জালিয়াতির সিন্ডিকেট বলেও উল্লেখ করা হয়।
দেশটির জনপ্রিয় পত্রিকা দ্যা স্টার অনলাইন প্রথম পাতায় গুরুত্বসহকারে এই খবরটি প্রকাশ করেছে।
ইমিগ্রেশনে পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রায় এক যুগ আগে ওই ব্যক্তি মালয়েশিয়ায় আসেন। গেলো দুই বছর ধরে তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হয়েছেন পাসপোর্ট জালিয়াতি, সার্টিফিকেট তৈরি ও ভুয়া পারমিট তৈরি করে। তিনি বাংলাদেশ ছাড়াও, সিঙ্গাপুর, লুক্সেমবার্গ, কানাডা, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ভারত, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ার পাসপোর্ট তৈরি করে আসছেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: আমার দেবার যে সময় এসেছে
--------------------------------------------------------
ইমিগ্রেশনের প্রধান দাতুক শ্রী মুস্তাফার আলি বলেন, আমরা এরইমধ্যে ওই সমস্ত দেশগুলোর হাইকমিশনে বিষয়টি অবগত করেছি। পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার ডলারের বিনিময়ে তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট তৈরি করতেন। আন্তর্জাতিক একটি চক্রের সঙ্গেও তিনি জড়িত। এটি অবশ্যই আমাদের দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ এবং আমরা এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
আটকের সময় ওই বাংলাদেশির কাছে প্রায় এক’শ পারমিটসহ পাসপোর্ট পাওয়া গেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। একই সঙ্গে মালয়েশিয়াজুড়ে তার যে সিন্ডিকেটটি কাজ করছে তার তদন্তে নেমেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। খুব শিগগিরই তাদেরকেও খুঁজে বের করে আটক করা হবে বলে জানানো হয়।
আটকদের মধ্যে কয়েকজন নারীসহ পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়ান নাগরিক রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, কুয়ালালামপুরের শ্রী পেতালিংয়ে ভাড়া বাসাতে সপরিবারে বসবাস করতেন ৫০ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি। তিনি যে বাসায় থাকতেন তার পাশের বাসাতে থাকতো পরিবার। সেখানেও পাসপোর্ট তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া যায়। পরে তার পরিবারের সদস্যদেরও আটক করা হয় বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
বাংলাদেশি এই ব্যক্তি তার জালিয়াতি লুকানোর জন্য নামে মাত্র আরও বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেছে বলে জানান ইমিগ্রেশন প্রধান মুস্তাফার আলি।
তিনি ২০০৫ সালে ভ্রমণ ভিসায় পরিবার নিয়ে মালয়েশিয়ায় বেড়াতে এসে জালিয়াতির মাধ্যমে এখানেই থেকে যান। সিন্ডিকেটটি নকল সার্টিফিকেট তৈরি করে বিভিন্ন কাজে যোগদানের জন্য বাংলাদেশিদের সহযোগিতা করছে বলে জানান মুস্তাফার আলি।
তিনি জানান, আমরা এখনও তদন্ত অব্যাহত রেখেছি এই জন্য যে, এঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত আছে এবং অন্য যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে? আমরা পর্যায়ক্রমে সব খুঁজে বের করবো।
আরও পড়ুন:
জেএইচ
মন্তব্য করুন