নাজমুল হুদার চার বছরের কারাদণ্ড
সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে চার বছরের কারাদণ্ড ও আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।একই সঙ্গে আদালত তাকে ৪৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই মামলায় নাজমুল হুদার স্ত্রী সিগমা হুদার তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে সিগমা হুদার কারাগারে থাকাকালীন সময়কে সাজা বলে গণ্য করে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে বাকিটা মওকুফ করা হয়েছে।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। আর নিজের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এ রায়ের ফলে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদাকে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে কারাগারে যেতে হবে।
অপরদিকে নাজমুল হুদা সাংবাদিকদের জানান, আমি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করব।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার মালিকানাধীন সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘খবরের অন্তরালে’র জন্য জনৈক মীর জাহের হোসেনের কাছ থেকে দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন তারা।
২০০৭ সালের ২৭ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মামলাটিতে নাজমুল হুদাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২০ মার্চ নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা আপিল করলে তাদের খালাস দেন হাইকোর্ট।
পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ০১ ডিসেম্বর খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ১৩ এপ্রিল আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনও খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। এরপর হাইকোর্টে এ মামলার পুনঃশুনানি শুরু হয়।
এমকে
মন্তব্য করুন