মানবতাবিরোধী অপরাধ
ঘোড়ামারা আজিজসহ ৬ জনের রায় যে কোনোদিন
একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা ও গাইবান্ধার সাবেক সংসদ সদস্য আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় যে কোনোদিন।
আজ (সোমবার) বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
এদিনে যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন আদালত।
আজিজ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু (৬১), মো. আব্দুল লতিফ (৬১), আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী (৫৯), মো. নাজমুল হুদা (৬০) ও মো. আব্দুর রহিম মিঞা (৬২)।
আসামিদের মধ্যে মো. আব্দুল লতিফ কারাগারে রয়েছেন। বাকি পাঁচ আসামি পলাতক।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন ও শেখ মোশফেক কবির।
পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম ও মো. শাহিনুর ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। আর আসামি আবদুল লতিফের পক্ষে আইনজীবী খন্দকার রেজাউল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
১২ অক্টোবর পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ফের যুক্তিতর্ক উস্থাপনের জন্য ২২ অক্টোবর দিন ঠিক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। আজ যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রাখেন আদালত।
২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর আজিজসহ এই ছয়জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়।
তদন্তের পর ৮৭৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা, এতে ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একাত্তরের ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর বর্তমান গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান আসামিরা।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল আজিজ মিয়া ২০০১ সালে চার দলীয় জোটের অধীনে জামায়াত থেকে গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ-১ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন।
জেএইচ
মন্তব্য করুন