• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মুখে সিরাম ব্যবহারে এ ভুলগুলো করছেন না তো!
পার্টির আগে ত্বকের মলিনতা দূর হবে এই ফেশিয়ালেই
শীতের বিদায়ের এই সময়য়টাতে উৎসবের যেন কোনো কমতি নেই। পার্টি, পিকনিক একের পর এক চলতেই থাকে। কিন্তু এ দিকে শীতে ত্বকের অবস্থা একেবারে বেহাল হয়ে গিয়েছে। তার উপর সারা দিনের ক্লান্তি তো রয়েছেই। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে পার্লারে যাওয়ার সুযোগও হচ্ছে না। কিন্তু আনন্দ-অনুষ্ঠানে একটু সাজগোজ করে না গেলে কি হয়! তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু সময় বের করে যদি বাড়িতেই চকলেট ফেশিয়াল করে ফেলতে পারেন, তা হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ত্বক হয়ে উঠবে ঝলমলে। দেখে নিন কীভাবে করবেন চকলেট ফেশিয়াল- মাসে অন্তত একবার ফেসিয়াল করা দরকার। এতে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। পাশাপাশি ত্বকের উজ্বলতা বাড়ে। আর ফেসিয়ালে যদি চকলেট থাকে, তাহলে পাবেন দ্বিগুণ উপকারিতা। চকোলেট ফেসিয়াল ত্বকের জন্য উপকারী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টতে ভরপুর কোকো রয়েছে, যা ত্বককে ক্ষয়ের হাত থেকে প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে এবং ত্বকে উজ্বলতা এনে দেয়।  প্রতিদিনের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। দেখে নিন, মুখ থেকে সমস্ত মেকআপ, ময়লা ও তেল পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এরপর পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।  ডার্ক চকলেট গলিয়ে নিন। মাইক্রোওয়েভে ডার্ক চকলেট গরম করে নিতে পারেন। এরপর ডার্ক চকলেট ঘরের তাপমাত্রা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর এতে মধু ও টক দই মিশিয়ে দিন। মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান এবং ময়েশ্চাইরাইজিং এফেক্ট রয়েছে। টক দইয়ের মধ্যে এক্সফোলিয়েটিং উপাদান রয়েছে, যা ত্বক থেকে মৃত কোষ তুলে দেয়। এবার এই চকলেট ফেসপ্যাক মুখ ও গলায় মেখে নিন। এবার ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ফেসপ্যাক শুকিয়ে গেলে ভিজে হাতে মুখে স্ক্রাব ক্রুন। এটি ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং এক্সফোলিয়েট করবে।  ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ মুছে নিন। শেষে পছন্দের ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। পাশাপাশি ত্বক হয়ে উঠতে নরম ও কোমল। 
ঘরে বসেই দূর করুণ নাকের ওপর জমে থাকা ব্ল্যাকহেডস 
অল্প খরচে ঘরেই বানিয়ে নিন ফেস সিরাম
এক টুকরো শসাতেই মিলবে ঘন-কালো চুল
উৎসবের আমেজে ভালোবাসায় মুড়ে নিন ত্বককেও
অল্প বয়সে মুখে বলিরেখা? সমাধান এই ঘরোয়া ফেসপ্যাকেই
কফি এবং কলা, এই দুই উপাদান কিন্তু ত্বকের জন্য খুব উপকারি। ঝকঝকে ত্বক পেতে কফি এবং কলার তৈরি ফেসপ্যাকের জুড়ি মেলা ভাড়। কফি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। আর কলা ত্বক করে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। এই মিশ্রণের ফেসপ্যাক মুখমন্ডলের মধ্যে জমে থাকা মৃতকোষগুলোকে দূরে সরিয়ে ত্বককে আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কফি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। আর কলা ত্বক করে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। আর এই দুই উপাদান যখন মিলে যায়, তখন ম্যাজিক তৈরি হয়।  সব ধরনের স্কিনের জন্যই কলা-কফির ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যায়। ঘরোয়া উপায়েই বানিয়ে নিতে পারেন কলা-কফির ফেসপ্যাক। ত্বকের যেকোনও সমস্যার সমাধান ঘটবে এই ফেসপ্যাকের গুণে, এমনটাই আশ্বাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন ফেসপ্যাক তৈরির নিয়ম জেনে নেওয়া যাক- ১) হালকা গরম পানিতে এক চামচ কফি মিশিয়ে নিন। রাতে শোয়ার আগে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের বলিরেখা কমবে। ২) শুষ্ক ত্বকে দারুণ কাজ করে কলা। একটা কলাকে চটকে নিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিন। তার মধ্যে কফি মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে। ৩) হাঁটু, কনুই, বগলে যদি কালো ছাপ পড়ে তাহলে কলার খোসায় মধু, লেবুর রস মিশিয়ে ঘষে নিন। দেখবেন দ্রুত কালো ছোপ দূরে হবে। ৪) দিন দিন ঠোঁটের রং কালো হয়ে যাচ্ছে? কোনও চিন্তা নেই। কলার ছোট টুকরো করে নিন। তার মধ্যে অল্প কফি মিশিয়ে নিয়মিত ঠোঁটে লাগালেই কালো ছোপ দূর হবে। ৫) চোখের তলায় কালো ছোপ দেখা দিলে কফির সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিয়ে চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে নিন। ৬) কলার খোসার মধ্যে কিছু পরিমাণ কফি এবং মধু ঢেলে দিন। সেই খোসাটা নিয়ে স্ক্রাবারের মতো করে মুখে ঘষতে থাকুন কয়েক মিনিট। এতে ত্বক ঝকঝকে হবে এবং বলিরেখা পড়বে না। ৭) শুধু ত্বকের যত্ন নয়, চুলের যত্নেও কফি আর কলা দারুণ কাজ করে। উষ্ণ পানিতে কফি মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে।
প্রতিদিনের এই পানীয়তেই মিলবে ব্রণের সমস্যা
প্রতিদিন নিয়ম করে মুখে ফেস-ওয়াশ, স্ক্রাব শেষে ক্রিম মেখে যত্ন নেন অনেকেই। এ ছাড়াও নিয়ম করে মাসে একটা ফেসিয়ালও করেন। এত কিছুর পরও ত্বকের ট্যান (রোদে পোরা দাগ) যায় না। আসলে অনেকেই ত্বকের উজ্বলতা বাড়াতে অনেক কিছু লাগান, কিন্তু সঠিক উজ্বলতা পেতে খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রেও আনতে হবে পরিবর্তন। তবে শুধু ক্রিম মাখালেই ত্বক সুন্দর হবে এমন ধারনাটাও একেবারেই সঠিক নয়। মন থেকে নিজের যত্ন নিতে হবে, তবেই ত্বক সুন্দর হবে। জেনে নিন পানীয় বানানোর নিয়ম-  ত্বক ভালো রাখতে ভালো খাবারও খেতে হবে। তেল বেশি খাওয়া যাবে না। ফল, শাকসবজি এসব বেশি খেতে হবে। তেল চপচপে তরকারি খাবেন এমনটাও নয়। চিকেনের স্ট্যু খান, অল্প তেলে তরকারি বানিয়ে খান তবেই বেশি ভালো লাগবে। ত্বক সুন্দর করতে রান্নাঘর থেকে ডাল, বেসন, টকদই এসব বের করে নিয়ে মুখে মাখলেই চলবে না, সঙ্গে পেটকেও খাবার দিতে হবে। ভেতর থেকে ত্বক যাতে সুন্দর হয় সেইদিকে নজর রাখতে হবে। এতে ডিটক্সিফিকেশন ভালো হবে, মুখে কোনও রকম ব্রণের সমস্যা হবে না। ত্বকের সমস্যার জন্য দায়ী হরমোনও। এই হরমোন ঠিক রাখতে গেলেও আমাদের কিছু খাবার নিয়ম করে খেতে হবে। দেড় কাপ পানিতে বানিয়ে নিন এই ম্যাজিক পানীয়। একজন ডায়েটিশিয়ান তার ইস্টাগ্রাম পোস্টে এই পানির উপকারিতা ও বানানোর পদ্ধতি জানিয়েছেন। তার কথায় “ত্বকের দাগ-ছোপ-ব্রণ দূর করে ঝলমলে করে তুলবে এই একটি মিরাকল পানীয়।” পানি দারচিনির গুঁড়ো, এক চামচ মৌরি আর হাফ চামচ মেথি দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার তা ভালো করে ছেঁকে নিয়ে সকালে খালি পেটে খান এক গ্লাস। এতে শরীরের সব হরমোন ঠিক মত কাজ করবে। পেট পরিষ্কার থাকবে যে কারণে ত্বক ঝকঝকে হবে নিজ থেকেই। আসলে বয়স বাড়লে ত্বকে বলিরেখা দেখা যায়, কালো ছোপ পরে যায়। কারণ তখন অক্সিডেশন বেশি হয়। যে কারণে এই পানীয় খুবই ভালো সাহায্য করে। ত্বকের গঠনে সাহায্য করে কোলাজেন। দারচিনি, মৌরির মধ্যে থাকে সেই বিশেষ গুন যা কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে। ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায় না সেই সঙ্গে চামড়াও থাকবে টানটান। সব বয়সের সব মানুষ এই পানীয় খেতে পারেন।
সাবান ব্যবহারে যেসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়
সুস্থ থাকার জন্য শুধু স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নয়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য নিয়মিত গোসল করা উচিত। অনেকেই গোসলের সময় প্রতিবারই সাবান ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন সাবান নানাভাবে আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে? তাই গোসল করার সময় প্রতিবার সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, ত্বক রুক্ষ হতে পারে। জেনে নিন কি ধরণের ক্ষতি হতে পারে- শুষ্কতা- অতিরিক্ত সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল কমে যেতে পারে। যা শুষ্কতা এবং রুক্ষতার কারণ হতে পারে। যাদের ত্বক শুষ্ক বা সংবেদনশীল তারা এই সমস্যাটি বেশি অনুভব করে থাকেন। জ্বালাপোড়া- কিছু সাবানে কঠোর রাসায়নিক, যেমন- রঙ এবং সুগন্ধ থাকে। যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করতে পারে। ত্বকে লালভাব, চুলকানি বা ফুসকুড়ি হতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এই সমস্যাগু্লো আরও গুরুতর হয়ে ওঠতে পারে। ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে- গোসলের সময় নিয়মিত সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পরিবর্তন হতে পারে। যার ফলে ত্বকে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভালো ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করে- বেশি সাবান ব্যবহার করলে ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। এ সময় ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি ভালো ব্যাকটেরিয়াও অপসারণ হয়ে যায়। অতিরিক্ত সাবান ত্বকের মাইক্রোবায়োম মেরে ফেলতে পারে। যা ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে। ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়- সাবান দিয়ে প্রতিদিন গোসল করলে ত্বকের আদ্রতা কমে যায়। বিশেষ করে গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কেড়ে নিতে পারে। ফলে ত্বকের ক্ষতি ছাড়াও শুষ্কতা, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি দেখা দেয়। সাবানের এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়াতে কিছু টিপস মেনে চলুন-  > গোসলের জন্য, মৃদু সাবান বেছে নিন। যা আপনার ত্বকের জন্য উপকারি। > অতিরিক্ত অ্যাডিটিভ বা সুগন্ধযুক্ত শক্ত সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। > শুধুমাত্র হাত, আন্ডারআর্মস, কোমরসহ শরীরের প্রয়োজনীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শরীরের অন্য এলাকায় পানি ব্যবহার করুন। > গোসলের পরে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার হবে। ত্বক শুষ্কতা থেকে মুক্তি পাবে। > গোসলের সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে ত্বক খুব বেশি শুষ্ক হবে না।
ত্বকের ক্ষতি করে যেসব প্রাকৃতিক উপাদান 
রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর আস্থা বাড়ছে। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে রূপচর্চার আগ্রহ এখন প্রত্যেকের। হলুদ, নিমপাতা, ঘৃতকুমারী কিংবা অ্যালোভেরা প্রায়ই ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করা হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারেই ত্বক ভালো থাকবে এই ধারণা একদম ভুল। কারণ প্রাকৃতিক এসব উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী হলেও সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে অথবা পরিমাণে বেশি ব্যবহার করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্ব করা উচিত। জেনে নিন বিস্তারিত: চিনি- ত্বকের জন্য চিনির ব্যবহার খুব পরিচিত। কিন্তু বেশি মাত্রায় এটি ব্যবহার করলে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। ত্বক ভালোভাবে স্ক্রাব না করে মরা কোষ দূর করতে চিনি ব্যবহার করেন অনেকে। এটি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। চিনি ঘা এর মতো ক্ষত তৈরি করতে পারে যা ত্বককে অনেক বেশি শুষ্ক করে দেয়। লেবুর রস- লেবুতে ক্ষারের পরিমাণ বেশি। ত্বকের যত্নে অনেকে লেবুর রস ব্যবহার করেন। বয়সের ছাপ দূর করতেও কার্যকরী। কিন্তু লেবুর কারণে ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন ও জ্বালাপোড়া হতে পারে। তাই লেবুর রস ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা ভালো। পরিমাণে বেশি দেওয়া যাবে না। বেকিং সোডা- মানসিক চাপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে গোসলে অনেকেই বেকিং সোডা ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এর ক্ষারীয় মাত্রা ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই সাবধানতার সঙ্গে এটি ব্যবহার করুন। ডিমের সাদা অংশ- ত্বকের কুচকানো ভাব দূর করতে ও ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখতে অনেকেই ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করেন। ডিমের মধ্যে সেলমোনেলা নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই এটি ব্যবহার না করাই ভালো।  অ্যাপল সিডার ভিনেগার- অনেকেই ব্রণ, খুশকি ও ত্বকের রুক্ষতা কমাতে অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এটি অনেক বেশি অ্যাসিডিক হওয়ায়, ত্বকে মারাত্মক রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এ ধরনের প্রতিক্রিয়া এড়ানোর জন্য অ্যাপল সিডার ভিনেগার পানি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
গরম পানিতে দূরে থাকবে যে সমস্যাগুলো
গরম বা ঠান্ডা পানি পান করলে শরীর সুস্থ ও পানির পরিমাণ ঠিক থাকে। কেউ কেউ দাবি করে গরম পানি শরীরের কিছু কিছু কাজ ঠান্ডা পানির তুলনায় বেশি ভালো করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ গ্লাস, দিনের যেকোনো সময় খাবারের ৩০ মিনিট আগে বা পরে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করা উচিত। নিয়মিত হালকা গরম পানি পান করলে তারুণ্যকে ধরে রাখা যায়। এ ছাড়াও ত্বকে জমাট বাধা তেল ও ধুলোবালি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদরা বলেন, ঈষদুষ্ণ পানি পান করলে পেট পরিষ্কারসহ শরীরের অতিরিক্ত চর্বি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ত্বক থাকে প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল। যেসব শারীরিক সমস্যায় গরম পানি খেলে উপকার পাওয়া যায় সেগুলো হলো- মাইগ্রেন, উচ্চ রক্তচাপ, নিম্ন রক্তচাপ, হাঁটু, গোড়ালিতে ব্যথা, বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা, হুটহাট হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি-হ্রাস, মৃগী রোগ, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, কাশি, পেটের সমস্যাসহ আরও অনেক জটিল রোগে গরম পানি বেশ কার্যকর। জেনে নিন গরম পানির কিছু উপকারিতা- গলা ব্যথায় গরম পানির কোনো তুলনা হয় না। গলা ব্যথা হলে বেশ কয়েকটা আদা কুঁচি দিয়ে পানি ফুটিয়ে সেই পানি পান করলে গলায় আরাম পাওয়া যায় এবং খুব তাড়াতাড়ি গলার ব্যথাও দূর হয়ে যায়। গরম পানি পান করলে ডাইজেস্টিভ সিস্টেম বা হজম ক্ষমতা বাড়ে। হজমের সমস্যা দূর করতে পারে এক কাপ গরম পানি। শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে গেলে সবাই অস্বস্তি বোধ করে। মেদ ঝরাতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হয়। এর পাশপাশি প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করবেন। পানিতে লেবুর রস ও মধু দিতে পারেন। এক সপ্তাহেই দেখবেন মেদ কমবে ঝটপট। অন্যদিকে, গরম পানি খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার সুযোগই থাকে না। পিরিয়ডের সময়ে মেনস্ট্রয়াল ক্র্যাম্পের প্রকোপ কমাতে গরম পানির কোনো বিকল্প নেই। এই সময় গরম পানি পান করা শুরু করলে অ্যাবডোমিনাল মাসলের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ব্যথা খুব কম সময়ে কমে যায়। যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত হালকা গরম পানি খেতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হালকা গরম পানি পান করলে ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া গরম পানি স্কিন সেলের ক্ষত সারিয়ে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে ত্বক টান টান হয়ে ওঠে এবং বলিরেখাও হ্রাস পায়। ফলে বয়সের কোনো ছাপই ত্বকের ওপর পড়তে পারে না। চুল পড়া, অকালপক্কতা, খুসকি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে হালকা গরম পানি। সারাদিন ধরে গরম পানি পান করলে নানা কারণে স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসে। ফলে খুশকির প্রকোপ কমে যায়। এছাড়া, গরম পানি খাওয়া শুরু করলে প্রতিটি হেয়ার সেলের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এতে চুলের সৌন্দর্য বাড়ে চোখে পরার মতো। যারা মানসিক অবসাদে ভুগছেন তারা হালকা গরম পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন ভালো বোধ করবেন। গায়ে, হাত-পায়ে ব্যথা হলে হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে গোসল করুন। এছাড়া ত্বকের সমস্যায় ভুগলে, গরম পানিতে নিমপাতা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেটা দিয়ে গোসল করলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। আর দাঁতে ব্যথার সমস্যা থাকলে দিনে অন্তত ৩ বার হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলে সুফল মিলবে। গলার ব্যথা দূর করতে গরম পানিতে সামান্য মধু ও ২ এক ফোঁটা লেবুর রসও দিতে পারেন এতে তাড়াতাড়ি গলার ব্যথা কমে যাবে। রক্ত চলাচলে গরম পানি অনেকটাই সাহায্য করে। নিয়মিত গরম পানি পান করলে ঠিক করে রক্ত চলাচল হতে পারে। এতে শরীরে ব্যথা বেদনাও কম হয় ও মেটাবলিজমও ঠিক থাকে।
মেকআপের সময় ব্রাশ ব্যবহার করবেন নাকি ব্লেন্ডার
পার্টি হোক বা বিয়েবাড়ি কিংবা সাধারণ ঘুরতে যাওয়া, পেশাদার মেকআপ আর্টিস্টের কাছে সাজার সুযোগ না থাকলেও কম বেশি সবাই মেকআপ করতে পছন্দ করেন। কিন্তু আনকোরা হাতের স্পর্শে যাতে কিম্ভূতমার্কা রূপের সৃষ্টি না হয় তার জন্য দরকার কিঞ্চিৎ মেকআপ ব্যাকরণ জানা। যেমন- রঙ উজ্জ্বল করতে, মুখের দাগছোপ ঢাকতে প্রত্যেকেই ফাউন্ডেশন ব্যবহার করেন। কিন্তু ঠিক মতো প্রলেপ দেওয়ার ট্রিকস না জানায় দাগ ঢাকার বদলে মুখ দেখে মনে যেন দেওয়ালে রঙ করা হয়েছে। তবে সামান্য নিয়ম অনুসরণ করলেই সাজ হবে একেবারে নিঁখুত। ফাউন্ডেশন বাছাই সাজ নিখুঁত হওয়ার জন্য দরকার সঠিক রঙের ফাউন্ডেশন। এই জিনিসটি কেনার সময় হাতে নয়, চোয়ালে লাগিয়ে বাছাই করুন। ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী ফাউন্ডেশন আলাদা আলাদা হয়। যেমন তেলতেলে ত্বকের জন্য অয়েল-ফ্রি, ম্যাট ফিনিশ ফাউন্ডেশন দরকার। কেনার আগে সেলস গার্ল বা প্রোডাক্ট বিবরণ পড়ে নিন। ফাউন্ডেশন লাগানোর আগে মুখ পরিষ্কার করলেই হবে না। ত্বকের পিএইচ বজায় রাখতে তার আগে হালকা ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে হবে বা হাইড্রেটিং মিস্ট স্প্রে করে নিতে হবে। তাতে মুখ হবে মসৃণ। এরপর আসে মূল ধাপ ত্বকে ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই। পেশাদাররা একেকজন একেক পদ্ধতি ব্যবহার করেন কিন্তু অ্যামাচার মানুষদের জন্য মেকআপ প্রসাধনী ব্যবহারে সেরা পদ্ধতিই ব্যবহার করা উচিত। হাতের আঙুল অনেকে মনে করেন হাত দিয়েই ক্রিমের মতো ফাউন্ডেশন মাখাও সহজ কিন্তু এতে সব জায়গায় সমান হয় না। তবে হালকা মেকআপ বা নো মেকআপ লুকের ক্ষেত্রে আঙুলে করে ফাউন্ডেশন নিয়ে হালকা হাতে মুখে ছড়িয়ে দেওয়া সেরা পদ্ধতি। তবে ভারী মেকআপের ক্ষেত্রে এভাবে নিখুঁত টান আনা সম্ভব নয়। ব্রাশের টান ফাউন্ডেশন লাগানোর জন্য বাজারে যে মোটা বিশেষ ধরনের ব্রাশ পাওয়া যায়, তা দিয়ে পুরো মুখে রঙ করার মতো মেকআপ মেলানো সহজ। মেকআপে তেমন পটু না হলেও এই পদ্ধতিতে সমানভাবে মেকআপ করা সম্ভব। স্পঞ্জের কামাল ফাউন্ডেশনের জন্য মেকআপ আর্টিস্টরা বিশেষ শেপের স্পঞ্জ ব্যবহার করেন। মেকআপ ব্লেন্ড করার এটাই আদর্শ পদ্ধতি। কয়েক পোঁচ ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রে স্পঞ্জ ব্যবহার করে ব্লেন্ড করার পদ্ধতি সহজ ও সেরা।